দেশের সকল ভাষ্কর্য বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিলেও -
স্বাধিনতা বিরেধিরা কোনোদিনও নৌকায় ভোট দেবে না -
মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ প্রথম দিন থেকে যখন গোটা বাঙালি জাতি স্বাধিনতার জন্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে -
০২ মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ ডাকসু নেতৃবৃন্দ স্বাধিন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে -
তারপর থেকে সারা দেশে সেই পতাকা রাত দিন উড়তে থাকে -
০৩ মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ পল্টন ময়দানে স্বাধিন বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ করা হয় ছাত্র লিগ ও ডাকসুর নেতৃত্বে -
০৪ - ০৬ মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ ছাত্র ইউনিয়ন “ছাত্র ব্রিগেড” রাজপথে সামরিক প্রশিক্ষণের মার্চপাস্ট প্রদর্শন করে -
(যে মিছিলের ছবিতে বোনদের অংশ গ্রহণ ছিলো অগ্রভাগে)-
০৭ মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ জাতির পিতার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধিনতার ঘোষণার পরে আর কেউ ঘরে বসে থাকেনি -
সকলেই যার যেমন সামর্থ্য প্রশিক্ষণ নিয়েছে ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে -
দেশ স্বাধিনের জন্যে সরাসরি মাঠে নেমেছে -
২৩ মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ পাকিস্থানের “প্রজাতন্ত্র দিবসের” পরিবর্তে -
স্বাধিন বাংলাদেশের পতাকা উত্তেলন, গার্ড অব অনার, মার্চপাস্ট, গেরিলা বাহিনির যুদ্ধের প্রশিক্ষণ মহড়া প্রদর্শন করে ছাত্র লিগ পল্টন ময়দানে -
২৫ মার্চ, ১৯৭১ খৃঃ মধ্য রাতে বিনা উষ্কানিতে, বিনা শতর্ক বার্তায় ঘুমন্ত ঢাকাবাসিকে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ, লুটপাট শুরু করে -
তারপার সারা দেশে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, হিন্দু নিধন, দেশান্তরিত করা -
হেন জঘন্য অপরাধ নেই, যা পাকিস্থানি হানাদার বাহিনি করেনি দীর্ঘ ০৯ মাস এই বাংলাদেশে -
তারপরেও মুসলিম লিগ, জামায়েতে ইসলামি, হেফাযতে ইসলাম (সকল কওমি মাদ্রাসা ও নুরাণি মাদ্রাসা), সকল পির, মসায়েক, আলেম, ওলামা, ঈমাম, মোয়াজ্জিন, মৌলভি, মওলানা বিবেককে পদ দলিত করে পাকিস্থানি বাহিনিকে সহায়তা করেছে -
পাকিস্থানি বাহিনির পক্ষে ফতোয়া দিয়েছে -
(এর ব্যতিক্রম ছিলেন হাতে গোনা গুটি কতক) -
সেই দেশে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি আওয়ামি লিগ যতোই হাইকোর্টের সামনের ভাষ্কর্য সরাক -
দেশের সকল ভাষ্কর্য বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দিলেও -
কোনো দিন তারা নৌকায় ভোট দেয়নি, দেবেও না -
আওয়ামি লিগ যতোবারই নির্বাচনে জিতেছে -,
দল নিরপেক্ষ সাধারণের (Floating Vote বলে যাকে) ভোটে জিতেছে -
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৫