খুড়িমণি তেড়ে মেরে হেঁকে ডেকে
চোরটারে চাটা মারে।
হিঁদেল বেঁকে ককে ছেড়ে ছুড়ে
খক খক খাকে খেঁকে।
পেখুয়ার পাখনায় পীড়াপীড়ি পূরবীর,
ভুলুয়ার ভোলাগান ভুলভাল ভোরবীর।
জয়িতাদের জয়গান জহুরীর জড়োয়াতে।
হাটুরেরা হাঁটে হাটে হাতরেখে হাঁড়িয়াতে।
কুচেকালী কেউটেটা কড়া নাড়ে কবরেতে।
খুড়িমণি খেপে চলে খড়মের খবরেতে।
শেষে হাঁদারাম হিঁদেলটার হিলে হোল হুলিয়াতে,
পাঠশালে পাটি পেতে পড়ে পুলিশের পিলেতে।
মুখের জড়তা কাটানোর জন্য এবং ছোটদের কম প্রচলিত কিছু শব্দের সাথে পরিচিত করানোর জন্য এই ছড়াটা লিখেছিলাম। ছড়ার অর্থটা নিচে লিখে দেয়া।
ব্যাখ্যাঃ- খুড়িমণি হোল কাকী এবং হিঁদেল হোল সিঁধেল চোর। খুড়িমণি চোর দেখে তেড়ে গিয়ে মারতে লাগলো এবং হাঁকডাক করতে লাগলো। চোর মার খেয়ে বেঁকে গিয়ে ককিয়ে উঠে হাত পা ছুড়ে খক খক করতে লাগলো খেঁকে গিয়ে মানে রেগে গিয়ে। এমন দৃশ্যে পেখুয়ার পাখনায় মানে বাড়ির পোষা মুরগী বা কবুতর বা অন্য পাখি হতে পারে, পাখা ঝাপটাতে লাগলো।ভুলুয়া মানে কুকুরও ঘেউ ঘেউ করতে লাগলো। এই ঘেউ ঘেউটা ভৈরবী রাগের মত ভারী, কিন্তু আসলে তো তা নয়, তাই ভুলভাল। চোর ধরা পড়াতে বাড়ির জয়িতারা মানে মেয়েরা তাদের গয়নার সুরক্ষায় স্বস্তির গান গাইলো। হাটুরেরা আরও সাবধানে তাদের হাড়ীতে হাত রেখে হাটে গেলো। ওদিকে বাড়ির পাশেই কবরস্থানে বা একটা কবরে একটা কেউটে সাপ দেখা যাচ্ছে আর চোর ধরতে গিয়ে খুড়িমণির জুতো ওদিকে পড়েছে বলে খুড়িমণি খেপেই যাচ্ছে। শেষে হুলিয়া জারি হয়ে বোকা চোরটার সাজা হোল, পুলিশ তাকে নিয়মিত পাঠশালায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করলো। কিশোর কারাগারে বা পুনর্বাসন কেন্দ্রে যেমন সাজা হয় আর কি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৬