somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ) সম্পর্কে কিছু কথা

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ) এর প্রার্থনা ছিল নিগূঢ়, ব্যঞ্জনাধর্মী। তিনি বলিতেন, “প্রভু গো, বিচার দিবসে আপনি যদি আমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেন, তাহলে আমি আপনার এমন এক গোপন রহস্য ফাঁস করব, যাতে জাহান্নাম আমার থেকে হাজার বছরের পথ দূরে পালিয়ে যাবে।”

তাঁহার প্রার্থনা ছিল সরল, কিন্তু সঙ্কেতময়। তিনি বলিতেন, “প্রভু আমার, এ জগতে আমার জন্য যা রেখেছেন, তা আমার শত্রুদের দিয়ে দিন। আর এ জগতে আমার জন্য যা নির্দিষ্ট, তা আপনার মিত্রদের দান করুন। আমি ওসবের প্রত্যাশী নই। আমার জন্য আপনিই যথেষ্ট। জাহান্নামের ভয়ে আমি যদি আপনার উপাসনা করি, তাহলে আপনি আমাকে জাহান্নামে ছুঁড়ে দিন; আর জান্নাতের আশায় যদি ইবাদত করে থাকি, তাহলে আমাকে তা থেকে বঞ্চিত করুন। আর যদি শুধু আপনার উদ্দেশ্যে ইবাদত করি, তাহলে দয়া করে আপনার চির সন্তুষ্টি দান করুন। আপনার দীদার থেকে আমি যেন বঞ্চিত না হই।”

তাঁহার প্রার্থনার অতলস্পর্শী আবেদন মানুষের মর্মমূল কাঁপাইয়া দেয়। তিনি বলিতেন, “আপনি যদি জাহান্নামে নিক্ষেপ করেন, তাহলে আমি আর্ত-চিৎকার করে বলবো, প্রভু গো, আমি তো আপনাকে ভালোবাসতাম। তারপরেও কীসে প্রিয়বন্ধু তাঁর বন্ধুর সাথে এরূপ ব্যবহার করে?”

এই প্রার্থনার উত্তরে তিনি শুনিতে পান, “তুমি আমার ওপর ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করো না। তুমি আমার সে বন্ধুদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যাঁরা রোজ কেয়ামতে আমার সঙ্গে কথা বলবে।”

কী আপ্লুত উচ্চারণ তাঁহার, “প্রভু গো, এ জগতে আমার একমাত্র ইচ্ছা ও কাজ আপনাকে স্মরণ করা ও স্মরণে রাখা। আর পরকালে আপনার দীদারের প্রত্যাশা। প্রভু আমার, একমাত্র আপনিই আমার কামনা ও লক্ষ্য। আমার হৃদয়কে আপনার সংস্পর্শেই রাখুন। আর আমার দুর্বল নামাজকে কবুল করুন।”

পরিশিষ্টঃ
মৃত্যুর পর তাঁহাকে এক শুভ্র হৃদয় স্বপ্নে দেখেন। তাঁহাকে প্রশ্ন করা হয়, “কবরে মুনকীর-নাকীর আপনাকে কী প্রশ্ন করেন, আর আপনিই বা তাঁর কী উত্তর দেন?”

তিনি বলেন, “তাঁরা জিগ্যেস করেন, আপনার প্রভু কে? আমি বলেছিলাম, দয়া করে আপনি আল্লাহ্‌র কাছে ফিরে গিয়ে আমার এ কথাগুলো তাঁকে বলুন যে, জগতে এত লোক থাকা সত্ত্বেও আপনি এ অবলাকে ভুলবেন না। আমি তো আপনাকে ছাড়া আর কাউকে বন্ধু বলে জানি না। তা সত্ত্বেও আপনি কীভাবে অন্যকে পাঠিয়ে জিগ্যেস করছেন, বল তোমার প্রতিপালক কে?”
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×