একবার চায়ের দোকানে আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড বসে আয়েশ করে লেবু চা খাচ্ছি।পাশে এক ভদ্রলোক বসে সিগারেট টানছে আর দোকানির সাথে টুকটাক গল্পগুজব করছে।খুবই উচ্চমার্গীয় কথাবার্তা! আমি চা পান করছি আর ওনাদের কথা শুনছি।
আমি সিগরেট টানা ভদ্রলোকের সাথে কথা বলার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারলাম না।হাতবাড়িয়ে নিজের নাম বলে পরিচয় হয়ে নিলাম।ভদ্রলোকও বেশ আন্তরিক।দু-একটা কথা বলে আপনি কি করেন জানতে চাইলে জানালেন "রাজনীতি করি"
আমি আর পাশে বসা বন্ধ মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম।ঐ ভদ্রলোকের সাথে আমার আলাপ আর বেশিদূর এগোয়নি।
আমাদের দেশে রাজনীতি পেশা হয়েছে বহু আগেই।এটা শুরু হয় বছর বিশেক আগে থেকে।রাজনীতি পেশা হওয়ার আগে নেতাদের সন্মান ছিল।ফেন্সিডিল,ইয়াবা তখনও এই মুল্লুকে থাবা বসাতে পারেনি। নেতারা ডাট নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও সাধারন মানুষদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক।
তখন অত ব্যাপক ভাবে মামা চাচা খালু দুলাভাই শালাভাই শুরু হয় নাই।সাধারন মানুষ বিপদে নেতাদের পাশে পেতেন। ৯৫' এ আওমী ক্ষমতায় আসার পর পেশা হিসেবে রাজনীতির আবির্ভাব ঘটে।টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি অনান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কে রাজনীতির চাদরে ঢেকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করান হয়।
চোখের সামনে কিছু দিনআনি দিনখাই মানুষের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়।দামি দামি বাইক/ কার নেতাদের নিত্য সঙ্গি হয়।
তখন আর এক ঘটনা ঘটে।শিক্ষিত রুচিশীল নেতাদের পাশাপাশি স্কুল কলেজ ড্রপ আউট কিছু সন্ত্রাসী সন্মান টাকার লোভে মূল নেতাদের পিছে পিছে ঘুরতে থাকে।নেতারাও নিজেদের প্রয়োজনে আসো আসো বলে ফুলের মালা দিয়ে তাদের বরন করে সমাজে ছিনতাই, ধর্ষন, ইভটিজিং সহ অনান্য অপরাধ ব্যাপকতার লাইসেন্স দিয়ে দেয় নিজের অজান্তে।
০১' এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে ৫-৫ (৫ বছর তোমরা ৫ বছর আমরা) নীতি অনুসরন করে অপরাধ সমুহকে একেবারে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়। এ সময় বিরোধীদলের সেইসব নেতাকর্মী সমুহ নো ইনকাম ওনলি স্পেন্ড নীতিতে প্রশাসন এর তাড়ায় দৌরের উপর আছে।এবং ক্ষমতার সেইসব সোনালি দিনের কথা ভেবে হা-হুতাশ আর নেক্সটাইম ক্ষতায় এলে পূর্বের ভুল সুধরানোর প্ল্যান আটছে।
অপর দিকে নতুন যোগ দেওয়া ওই সব স্কুল কলেজ ড্রপ আউট সন্ত্রাসীরা জেল খাটছে।যেহেতু তাদের আসা যাওয়ায় অভ্যাস আছে এবং পড়াশোনা করে না,তাই জেলে গেলে তাদের সন্মান ক্ষতি কোনটাই হয় না।(চলবে)
(আমার লেখা একটা উপন্যাসের সারাংশেরর প্রথম অংশ।লেখা চলছে।আপনাদের সু-চিন্তিত মতামত আশা করছি)
ধন্যবাদ