বাংলাদেশের মত একটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে রোযার মাসে এমন দৃশ্য আমাকে দেখতে হবে ভাবিনি কখনো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই দেখে আসতে হচ্ছে, দেখে যাচ্ছি...
তবে আজ কিছু না বলে পারছি না।
মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান -সব ধর্মের বন্ধুই আমার আছে। পড়ালেখার জন্য স্কুল, কলেজ বা মেডিক্যাল কলেজের ডরমেটরিতে যতদিন থেকেছি কিংবা চাকরির ক্ষেত্রে যেখানেই গিয়েছি, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এসব বন্ধু বা কলিগদের সাথে সব সময়ই আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সংখ্যালঘু বলে কখনই ওদেরকে আমি কটু কথা বলিনি বা ওদের ধর্মের অবমাননা হয় -এমন কিছু করিনি। ফলশ্রুতিতে ওদের কাছ থেকেও ভালো ব্যাবহার পেয়েছি । উপরন্তু অন্য ধর্মের হয়েও ইসলাম ধর্মের প্রতি ওদের যে শ্রদ্ধা প্রদর্শন দেখেছি -যা সত্যিই আমায় অভিভূত করেছে ।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও ওদের দেখেছি রোযার মাসে পাবলিক প্লেস বা জনসম্মুখে পানাহার থেকে বিরত থাকতে। মুসলিমদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন স্বরূপ হোক আর চক্ষু লজ্জার জন্যই হোক, ওরা যে অ্যাটলিস্ট রোজার মাসে ওপেন প্লেসে কিছু খায়না -এজন্য ওদের নূন্যতম সম্মানটুকু আমি করতেই পারি।
কিন্তু পক্ষান্তরে যখন দেখি আমার কিছু মুসলিম ভাই বড় ধরনের কোনো কারণ ছাড়াই রোজা রাখেনা, উপরন্তু পাবলিক প্লেসে সবার সামনে প্রকাশ্যে পানি খায়, বীরের মত মুখে চুইংগাম চাবায়, রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ করে এসে আবার ফেসবুকে ছবি আপলোড দিয়ে বলে খাবারটা অনেক টেস্টি ছিল, তখন আসলে এসব বেহায়াদের সাথে কথা বলার বা বন্ধুত্ব রাখার রুচি থাকেনা। নিজ ধর্মের প্রতি একজন মুসলমানের মিনিমাম শ্রদ্ধা বোধ থাকলে আমার মনে হয়না কেউ এইরকম অসভ্যের মত কাজ করতে পারে। এরকম কিছু মুসলমান নামধারী কুলাঙ্গারের জন্যই দ্বীনদার মুসলিমরা ভুক্তভুগী হয়, উপরন্তু অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ইসলামকে নিয়ে হাজারটা কথা বলার সুযোগ পায়।
আল্লাহর কাছে দুয়া করি এদের আপনি বুঝদান করুন, হেদায়েতের পথে নিয়ে আসুন, আর যদি এরা গোমরাহির পথ না ছাড়ে, এদের ধ্বংস করে দিন।