এরকম ই একটা বৃষ্টি সিক্ত বিকেল
লেখা :: Sabuj SB (স্বপ্ন চোর )
বিকেল ৩.৪৫
প্রজাপতির মেসেজ :: মেঘ আমি পড়তে
যাচ্ছি | তুমি ৫ টার সময় আমরা
যেখানে দেখা করি চলে এসো | লাভ
ইউ | বাই |
মেঘের রিপ্লাই :: আচ্ছা সোনা যাও
আমি ঠিক সময়ে চলে আসবো | লাভ ইউ টু
|
বিকেল ৪ টা
মেঘের কল শুভ কে | শুভ মেঘের অনেক
কাছের বন্ধু | প্রজাপতির সাথে
রিলেশনের ব্যাপার টা তখন শুধু শুভ ই
জানত |
মেঘঃ ওই শালা কই তুই?
শুভঃ মামা ঘুমাই | পরে কথা বলতেছি |
[ঘুমজড়িত কন্ঠে ]
মেঘঃ আরে রাখ তোর ঘুম | তোর
বৌদির সাথে আজ দেখা করতে হবে |
তারাতারি
ওঠ | রেডি হইয়া তারাতারি বের হ |
শুভঃ হ..... ওর সাথে দেখা করার সময় ই
শুধু আমায় লাগে এরপর আমায় ভুলে যাস |
[একটু মশকরা করে বলল শুভ ]
মেঘঃ কি বললি? ওকে যা লাগবে না
| [মেঘ রেগে গেছে | আর কাছের
মানুষের ওপর ই রাগ বেশী দেখানো
যায় | ]
শুভ আর মেঘ ঘন্টায় ঘন্টায় ঝগড়া দুজনের
মাঝে | আর দু মিনিটেই সব ঠিক | এদের
পরিবারের বাবা মা ও আন্দাজ করতে
পারে না | ঠিক কখন এদের জগড়া চলছে
আর কখন বন্ধুত্ব ?
শুভ হাসছে ......... ভাবতেছে মেঘটা
এত্ত অভিমানী কেন? নিজেই নিজের
পিঠ চাপড়াচ্ছে আর বলতেছে সবচেয়ে
কাছের মানুষ গুলা এমনই হয় |
ভাবতে ভাবতে কল দেয় শুভ মেঘ কে....
মেঘঃ হ্যালো?
শুভঃ কি স্যারের রাগ হয়েছে?
মেঘঃ না |
শুভঃ দ্বারা আমি ৩০ মিনিটের মধ্যে
বের হচ্ছি |
মেঘঃ ওকে |
মেঘ আজো ওর এই বন্ধুটাকে বুঝতে
পারে না | হয়ত মেঘের জন্য জীবন ও
দিতে পারে শুভ |
বিকেল ৪.৪০
শুভঃ মেঘ বের হ | আমি বাসার সামনে
দাঁড়িয়ে আছি |
মেঘ আসছি বলে ফোনটা কেটে দিল |
মেঘ আর শুভ র বাসা একই জায়গা থেকে
| শুভ র বাসা আগে মেঘ এর বাসা পরে |
মেঘ শুভ র বাসার সামনে এসে দেখে
শুভ দাড়িয়ে আছে |
কিরে রাগ করছিস? শুভ জিজ্ঞাসা
করতেছে মেঘ কে....
ধুর তোর উপর রাগ করতে পারি?
আচ্ছা চল | দুজনে হাটা শুরু করল.........
এর মাঝেই প্রজাপতির কল....
প্রজাপতিঃ কই তুমি?
মেঘঃ আসছি | তোমার না ৫ টায় পড়া
শেষ হবার কথা?
প্রজাপতিঃ ছিল | কিন্তু স্যার
তারাতারি ছেড়ে দিয়েছে আজ |
তুমি তারাতারি আসো |
মেঘঃ ৫ মিনিট |
মামা দেখত রিকশা পাস কিনা? ও
বের হয়েছে |
শুভ বলতেছে কোন রিকশাই তো দেখি
না রে |
ধুর সময় মত কিচ্ছু পাই না |
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল |
মামা আজ মনেহয় গেলাম আমি | বল ও
কি ভাবতেছে?
দ্বারা দরকার হলে ভিজে যাব |আশ্বাস দিল শুভ |
ওইত একটা রিকশা |
তারাতারি ঠিক কর |
এই খালি যাবেন?
যামু আহেন..........
তারাতারি করে উঠে পরল মেঘ আর শুভ |
এত বৃষ্টি হচ্ছে যে রিকশায় বসেও দুজন
ভিজতেছে |
হঠাৎ শুভ বলে উঠে মেঘ দেখ তুষার
মটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছে | ওকে
থামা তাহলে তারাতারি যেতে
পারব |
মেঘ তুষার কে দাড় করায় | অর্ধেক
রাস্তা রিকশায় যেয়েও যে টাকায়
ভাড়া ঠিক করছিল পুরো টাকা ই দেয়
মেঘ | রিকশাওয়ালা ও বৃষ্টির মাঝে
খুশি হয় |
মেঘ সেই যায়গায় গিয়েই দাঁড়ায়
যেখানে তারা দেখা করত |
পুরো ভিজে গিয়েছে মেঘ | সাথে শুভ
ও | একটা দোকানে দাড়ায় ওরা |
কিন্তু মেঘ কিছুক্ষন পর দেখাতে পায়
তাঁর প্রজাপতি ও ভিজে ভিজে
আসতেছে | মেঘ আবার ও রাস্তায়
নেমে পরে, তার প্রজাপতি একা একা
ভিজবে তাতো হতে পারে না | মেঘ
দেখে তার প্রজাপতিকে বৃষ্টিতে
ভিজে আরও সুন্দর লাগতেছে | কোন
মেয়েকে এত মায়াবী লাগতে পারে
ভাবতেও পারেনি মেঘ |
প্রজাপতির সাথে থাকা বন্ধুর ডাকে
মেঘ এর ঘোর ভাঙে |
কিন্তু মেঘ কি বলবে কিছুই বুঝতে
পারতেছে না | ও শুধু প্রজাপতি কেই
দেখতেছে |
.
প্রজাপতি র বন্ধু মেঘ কে বলতেছে....
কিরে কিছু বলতেছিস না কেন?
না মানে |
হইছে আর মানে মানে করিস না |
মেঘ আর প্রজাপতি কেউ কিছু বলতেছে
না | শুধু দুজন বৃষ্টিতে ভিজতেছে | যদিও
তাদের স্বপ্ন ছিল বৃষ্টিতে দুজন দুজনের
হাত ধরে হাটবে কিন্তু মেঘ প্রজাপতির
হাত ধরার সাহস পায় নি | আর
প্রজাপতি ও ধরে নি |
কিছুটা পথ হাটার পর প্রজাপতি
বলতেছে যাও বাসায় যাও |
মেঘ বাধ্য ছেলের মত চলে এল |
বাসায় গিয়ে প্রজাপতির মেসেজ....
তুমি আমার সাথে কথা বললে না কেন?
আসলে তোমায় দেখে পুরো চমকে
গেছিলাম | অনেক সুন্দর লাগতেছিল
তোমায় |
হুম তোমায় বলছে আমি সুন্দর | যাও
তোমার সাথে কথা নেই | দুষ্টু
কোথাকার |
এদের দেখুনশুটি চলতেই থাকবে.........