কেউ কেউ বলেন বাংলার কাশ্মীর, মূলত এটা একটা পরিত্যক্ত লাইম-স্টোন লেক, যা কেয়ারী লাইম স্টোন লেক নামে পরিচিত। এছাড়া কেয়ারী লেক, আবার অনেকে নীলাদ্রি নামে ডেকে থাকেন নীল পানির কারণে। তবে ইদানিং ভ্রমণ পিপাসুরা নীলাদ্রি নামটাকেই মনে হয় বেশী পছন্দ করছেন। তবে জায়গাটাকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন সৌন্দর্য্যে যে কেউ জায়গাটার প্রেমে পড়তে বাধ্য।
সিমান্তের উপারের মেঘালয়ে পাহাড়ের সর্বশেষ অংশটা এই লেকের পানিতে এসে ডুবে গেছে। এই লেকটাও এক সময় ঐ পাহাড়েরই একটা অংশ ছিল, কিন্তু বাংলাদেশ অংশের চুনা পাথরগুলো উঠিয়ে ফেলার কারণেই এই লেকের সৃষ্টি হয়েছে, আর অন্য দিকে সিমান্ত ওপারের বিশাল চুনা পাথরের পাহাড়টা এখনো পুরোপুরি অক্ষত।
পাহাড়ের নিচু অংশে রয়েছে ভারতের কাটা তারের বেড়া। লেকের পাড়েই চুনা পাথরের একটি পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরি, সাথেই আছে ব্রিটিশ আমলের রেলওয়ে সিস্টেম। আর অগনিত লোহা লক্কর আর বিশালাকার পরিত্যক্ত দুটি ক্রেন। বাকিটা কেবলই ছবি।
(২) যাওয়ার পথে পড়বে এমন চমৎকার মেটো পথ।
(৩) সুনামগঞ্জ থেকে নিলাদ্রী যেতে হলে পারি দিতে হয় এই যাদুকাটা নদী।
(৪) শীতকাল হলে যাদুকাটা নদীর বাম পাশের এই শিমুল বনটা দেখে যাওয়া যেতে পারে।
(৫) যাদুকাটা পার হয়ে নিলাদ্রী যাওয়ার আগেই ওপারের সুউচ্চ পাহাড় বেয়ে ভারতীয় ট্রাকগুলো কয়লা বোঝাই করে নিয়ে আসছে বাংলাদেশে।
(৬/৭) এটাই সেই নিলাদ্রী লেক, বর্ষাকালে পানির রংটা আরো বেশী নীল দেখায়।
(৮/৯) লেকের পাশের এই পাহাড়টা সম্ভবত কৃত্রিম, তবে সৌন্দর্য্যের কিন্তু কমতি নেই।
(১০) এখানের প্রধান বাহন হলো মোটর সাইকেল।
(১১) মালামাল পরিবহনের জন্য রয়েছে এমন কিছু গাড়ি।
(১২/১৩) এমন ঘোড়ার গাড়ি ও ঘোড়াগুলো দেখলে মনে হয় সত্যিই এটা কাশ্মীর।
(১৪) নিলাদ্রীর পানিতে পর্যটকদের নৌকা নিয়ে ঘোরাফেরা। ওপাশের যেকানটায় পানি ছুয়ে আছে এবং বড় চুনা পাথরের খন্ডগুলো দেখা যাচ্ছে ওটা সিমান্তের উপার।
(১৫) ব্রিটিশ আমলের রেল লাইন।
(১৬) চুনা পাথর টানার ছোট রেল ইঞ্জিন।
(১৭) পর্যটকদের আনাগোনায় জায়গাটা প্রায় সব সময়ই মুখরিত থাকে।
(১৮) এলোমেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চুনা পাথরগুলোর মাঝে মাঝেই দেখা যাবে এমন সিমান্ত পিলার।
(১৯/২০) বর্ষায় এখানটার রূপ সত্যিই অনন্য। এবারো বর্ষায় যাওয়ার ইচ্ছেটা আছে খুব।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬