হেসটিংস থেকে হাওড়া জানিনা কত ভাড়া
যাবো আমি ঠাকুরপুকুর
বাস থেকে নেমে লোকাল টেক্সির বামে
বসে খাবো রুদ্দুর।
সেখানে আছে মা আর আছে জানলা
তাকিয়ে থাকবে একা
খোকাটা আসছেনা ভাল যে লাগছেনা
কবে হবে আবার দেখা।
বিশুর হোটেলে খেয়েছি সব ভুলে
রুই মাছের আস্ত একটা পিস
ভাতের হোটেল এটি, দুপুর রাতের সাথী
বিশুু একটু ঝোল দিস।
প্রতিদিন দুপুরে আর রাতে একবার
দেখা হয় মা এর সাথে
ত্রিশ মিনিট বরাদ্দ সময় অবরুদ্ধ
বাড়েনা কোন মতে।
বাজপায়ী, গাঙগুলি দুজনই মারে বুলি
বুঝিনা কে ভাল
প্রাইভেট চেম্বারে না গেলে রাগ করে
মুসকিলটা বেশ ভোগাল।
মুখের ক্যানসার সহ্য হয়না আর
ভীষণ ব্যাথা লাগছে
এখনই দরকার, এক পাতা পেইনকিলার
ডিসপ্যান্সারিতে গেলেই মিলছে।
চিকিৎসা চাইনা আর সময় হল যাবার
মা এর আকুতি
কবে ফিরব ঘরে, চুপ কেন কিরে?
মানতে হয় নিয়তি।
মাঝপথে ফিরে এসে স্বস্তি অবশেষে
মা এর বুকে মা
বাংলার মাটি হল পরিপাটি
এটাই সান্তনা।