কেউ জানতোনা সেকি অভাগীরে
কারো বেণীসুতোর মালা পড়ে
সে থেকেছিল তারে ছাড়া একলা ঘরে
কারণ, ভ্রমর যে প্রবাস দূরে!
যৌবন তার মাদক ভরা
কেউ সুযোগ পেলেই দেয় ইশারা
মনপাখিও তার যেতে চায়যে উড়ে
সুখ পরশের শহর ঘুরে!
একদিন ফোনে তার কান্না শুনি
আমি কি করেছি? আমারতো ধকফকানি
বলে,''কষ্টে সে সান্ত্বনা নয় দেয় গালি ধ্বনি
অথচ দুর একলা থেকেও আমি তার প্রহর গুনি''।
সান্ত্বনা দিতে তার দরজায় কড়া নাড়ি
ওমা! এ-তো অট্রালিকা বিশাল বাড়ি
টেবিলে তার সাজানো খাবার রকমারি
আমার যে জিভে জল, আমি কি না করতে পারি?
তার চোখে ভালোবাসার দৃষ্টি ঝরে
তার মুখের লাবণ্যতা উঠছে ভরে
শিহরে সে বলে, চলুন না ছাদের তরে
আকাশের জ্যোৎস্না দেখবেন মনটা জুড়ে।
ছাদে বিশাল সোফায় বসে ঐ জ্যোৎস্না দেখে
সে-যে উঠছে ক্রমেই ফিকে ফিকে
হটাৎ করে চমকিয়ে সে আমার বুকের পরে
চাপটে ধরে স্পর্শে নিজেকে পাগল করে
আমি যে পারিনি থামতে তারে এইরূপে দেখে
শক্ত হাতে চালিয়েছি বৈঠা চাঁদনী রাতে জোৎস্নায় মেখে।