somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গাঁজার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:-গাঁজার অভিশাপ এবং আশির্বাদ

১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

void(1);void(1)

ফিলিংসটা কি??? আত্বার সাথে ধুয়া এক হয়া যায়।



গাঁজাকে বলা হয় 'গেট-ওয়ে ড্রাগ', অর্থাত্‍ নেশায় হাতেখড়ি হয় গাঁজার মাধ্যমে৷ গাঁজা নিয়ে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলগুলো সচেতন/অসচেতন পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরার জন্য এ অব্যার্থ প্রয়াস।

পরিচিতিঃ
গাঁজা১ [ gān̐jā ] বি. গঞ্জিকা, সিদ্ধি গাছের জটা থেকে প্রস্তুত মাদকবিশেষ ; ২. (আল.) অবাস্তব বা অলীক কথা।[সং. গঞ্জা (=সুরাগৃহ) > হি. গাঞ্জা]।
গাঁজা খাওয়া ক্রি. বি. ১. গাঁজার ধোঁয়া পান করা; ২. (আল.) অলীক ও বানানো কথা বলা (গাঁজা খেয়ে কথা বলছ নাকি?)।
গাঁজাখোর বিণ. বি. গাঁজা খেতে অভ্যস্ত (ব্যক্তি), গেঁজেল।
গাঁজাখুরি বিণ. গাঁজাখোরের স্বপ্ন দেখার মতো আজগুবি; বিশ্বাস করা যায় না এমন।

গাঁজা বাংলাদেশে বহুল পরিচিত মাদকদ্রব্য যার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যানাবিস স্যাটিভা ৷ পৃথিবীর অধিকাংশ উষ্ণমন্ডলীয় এলাকায় গাঁজা অধিক পরিমানে জন্মে৷ এর বিচি পশুখাদ্য হিসেবে, এর কান্ড শণের দড়ির ভাল তন্তু হিসেবে এবং তেল রঞ্জক পদার্থের উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়৷ আর গাঁজা-উদ্ভিদের বীজ, তৃণ ও আগাছা সহ শুষ্ক অংশ নেশার দ্রব্য যা গাঁজা (মারিজুয়ানা) হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷ গাঁজা উদ্ভিদের ফুলযুক্ত ওপরের অংশ ও পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে যে নির্যাস পাওয়া যায় তার সাথে উদ্ভিদজাত তেল মিশিয়ে তৈরী করা হয় হাশিশ বা চরস৷ গাঁজা উদ্ভিদের পাতা ও ডাল পালা থেকে আহরিত হয় গাঢ় সবুজ ও গাঢ় বাদামী রস বা ক্যানাবিস তেল৷ আর এই সবগুলিই ব্যবহৃত হয় মাদকদ্রব্য হিসেবে৷গাঁজার মূল নেশা উদ্রেককারী উপাদান হচ্ছে ডেল্টা-৯-ট্রেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল৷এই টিএইচসি-র পরিমানই ব্যবহারকারীর নেশার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে৷মারিজুয়ানার মধ্যে মাদক উপাদান টিএইচসি-র পরিমান গড়ে শতকরা ০.১ থেকে ৫.০ভাগ, হাশিশে বা চরসে ০.২ থেকে ১০.০ভাগ এবং ক্যানাবিস তেলে ১০.০ থেকে ৩০.০ভাগ পর্যন্ত হয়ে থাকে


বাংলাদেশে গাঁজা
বিশ্বের অপরাপর দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কোন কোন অঞ্চলে স্মরণাতীত কাল থেকে গাঁজার চাষ হতো বলে জানা যায়৷ নওঁগা জেলায় সমবায় সমিতির মাধ্যমে সরকারী নিয়ন্ত্রণে গাঁজার চাষ হতো ক'বছর আগেও৷ ওখান থেকে সংগ্রহ করে গাঁজা বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে পেঁৗছে যেতো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গঞ্জিকাসেবীদের কাছে ৷ বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে গাঁজার উত্‍পাদন ও বিপণনের ওপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়৷
প্রতিবছর কুষ্টিয়া এবং বগুড়ায় বিশ্ব গঞ্জিকা সম্মেলন হয়। বিদেশী, সাধু-তান্ত্রিক, বাউল, জ্ঞানি অজ্ঞানী, আতেঁল নানা কিসিমের মানুষ আসতো, পুরো এলাকার বাতাস ভারি হয়ে যেত। র‌্যাব -পুলিশ সবাই হা করে তাকায়া থাকতো, কয়েক হাজার গাজা সেবীর সামনে শ-খানেক পুলিশ। বেশ আন্তর্জাতিক সম্মেলন।


অন্যান্য দেশে
যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে একটি গাঁজা ক্যাফে খোলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটাই প্রথম এ ধরনের ক্যাফে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে মাদকের ব্যবহারের ওপর থেকে কড়াকড়ি শিথিলের জন্য ওবামা প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিতে চাইছে এ ক্যাফেকে তার একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পোর্টল্যান্ডের 'দ্য ক্যানাবিস ক্যাফে' খোলায় যুক্তরাষ্ট্রের সনদপ্রাপ্ত মাদকসেবীরা প্রথমবারের মতো জনদৃষ্টির আড়ালে মাদক সেবনের একটি জায়গা ফেল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সেবনে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
গাঁজাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টারত একটি গ্র"প 'এনওআরএমএল' এর অরিগনের নির্বাহী পরিচালক ম্যাডেলিন মার্টিনেজ বলেছেন, "শেষ পর্যন্ত আমাদের সদস্যরাএ ক্লাবটির মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্বীকৃতি পেল।"
তিনি বলেন, "ক্যাফেতে খাবার ও গাঁজা পরিবেশন ছাড়াও আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।"
"গাঁজার অন্যান্য ব্যবহার বিষয়ে জনগণকে জানানোর জন্য ক্লাস, সেমিনার এমনকি এখানে একটি 'ক্যানবিস কমিউনিটি কলেজ' স্থাপনের আশা করছি আমরা।"
দুই তলাবিশিষ্ট ক্যাফেটি মূলত বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত এবং এনওআরএমএল এর সদস্য ও অরিগনে যাদের গাঁজা সেবন বিষয়ে সরকারি চিকিৎসা সনদ রয়েছে তাদের জন্য উন্মুক্ত।
১০০ জনের বসার জায়গা সম্পন্ন ক্যাফেটির সদস্যদের প্রতি মাসে ২৫ ডলার দিতে হবে। গাঁজা কিনতে কোনো অর্থ দিতে হবে না। সকাল ১০ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা এটি খোলা থাকবে। ক্যাফেটির মদ্য পরিবেশনের অনুমতি নেই।
অরিগনে চিকিৎসার জন্য গঞ্জিকা সেবনের অনুমতিপ্রাপ্ত ২১ হাজার রোগী রয়েছে। চিকিৎসকরা আলঝেইমার, ডায়াবিটিসসহ বিভিন্ন রোগে তাদের এই মাদক সেবনের অনুমতি দিয়েছেন।
View this link


গাঁজা কিভাবে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে ?
বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, গাঁজা সেবনের পরপরই টিএইচসি ফুসফুসের মধ্যে দিয়ে শোধিত হয়ে রক্তপ্রবাহের সাথে মিশে শরীরের বিভিন্ন অংশে তথা মস্তিষ্কেও প্রবাহিত হয়৷ মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের কতগুলো সুনির্দিষ্ট স্থান যা ক্যানাবিনয়েড রিসেপটর নামে পরিচিত যার সাথে টিএইচসির সংযোগের ফলে ঐ কোষগুলি প্রভাবিত হয়ে ব্যক্তির আনন্দানুভূতি, স্মৃতি, চিন্তা, মনোযোগ, সংবেদন, সময় জ্ঞান এবং চলাচলের সমন্বয়ের ক্ষেেত্র সরাসরি পরিবর্তন আনে যা ১ থেকে ৩ ঘন্টা স্থায়ী হয়৷ যদি গাঁজাকে খাদ্যের সংগে বা পানিতে গুলিয়ে নেয়া হয় তবে এর প্রভাব ধীরে ধীরে - সাধারণত: আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পরে শুরু হয় এবং তা ৪ঘন্টার অধিক স্থায়ী হয়ে থাকে৷
গাঁজা সেবনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেবনকারী ব্যক্তির হৃত্‍কম্পন বেড়ে যায়৷ কোমনালীগুলি শিথিল হয়ে বেড়ে যায় এবং চোখের রক্ত প্রবাহের শিরাগুলি স্ফিত হয় যার কারণে চোখ লাল হয়৷ হৃত্‍স্পন্দন স্বাভাবিকের (মিনিটে ৭০-৮০বার) চেয়ে বেড়ে যায় কোন কোন েেত্র দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং গাঁজা যদি অন্য কোন মাদকদ্রব্যের সাথে নেয়া হয় তবে এর প্রভাব অনেক বেড়ে যায়৷ গাঁজা সেবনের প্রায় পরপরই টিএইচসি ফুসফুসের মধ্য দিয়ে শোধিত হয়ে রক্তপ্রবাহের সাথে মিশে কোষের মেদল অংশের মধ্যে সঞ্চিত হয়৷ তারপর সাধারণত: এক সপ্তাহ বা অনুরূপ সময়ের মধ্যে তা আবার রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে যায়৷ মদ এবং ফেনসিডিল এর মতো পানিতে দ্রবণীয় কোন কোন মাদকদ্রব্য শরীর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়৷ কিন্তু টিএইচসি-র অবশিষ্টাংশ মেদ-কোষে থেকেই যায় এবং এর প্রতিক্রিয়া শেষ না হতেই আরো গাঁজা সেবন করলে ক্রমবর্ধমান প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ যত বেশী মাত্রায় গাঁজা সেবন করা হবে - যত বেশী গাঁজা মিশ্রিত মাদক ধূমপান করা হবে - ততবেশী বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে এবং ততবেশী মনশ্চালক ক্রিয়ার ঘাটতি দেখা দেবে৷
অল্প মাত্রায় সেবন করলেও সেবনকারীর েেত্র মাঝে মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিভ্রম ঘটে৷ গাঁজা সেবীদের েেত্র এইরূপ স্মৃতিভ্রম প্রায়ই ঘটে; তারা একটি সৃজনশীল জটিল বাক্য শুরু করে কখনো তা ভালোভাবে শেষ করতে পারেন না, অসংলগ্ন বা এলোমেলোভাবেই তা শেষ হয়৷ দীর্ঘদিন গাঁজা সেবন করলে বিশেষ করে মাঝে মাঝে অতিমাত্রায় সেবন করলে সেবনকারীর মধ্যে 'মস্তিষ্ক বিকার' কিংবা মনোবিকাররগ্রস্ততা দেখা দেয়, যা উন্মত্ততার শামিল৷ ব্যক্তি ক্রমে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে দৃষ্টি ও শ্রুতিগত হ্যালুসিনেশনে ভোগে৷ কখনো কখনো ব্যবহারকারীর মধ্যে দেহ নিরপে বিচ্ছিন্নতাবোধ অর্থাত্‍ নিজের পরিচিতি সম্পর্কে ধারণা হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয় ৷



শারীরিক ক্ষতি :
কমবেশী মারিজুয়ানা সেবন করলেই পাশর্্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; তবে প্রায়ই পাশর্্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে৷ এেেত্র যে পাশর্্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা হলো চোখ ও হাতের সমন্বয়ের দুর্বলতা, যার ফলে গাড়ি চালানো, মেশিনের কাজ ঝুঁুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে৷ প্রজনন অমতা, হৃত্‍স্পন্দন বৃদ্ধিতে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া এবং দৃষ্টি ও সময় অনুধাবনে বিভ্রান্তিজনিত অস্থিরতা, মানসিক বৈকল্য ও অবসাদগ্রস্ততাও দেখা দেয়৷

দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সেবনে সবচেয়ে বেশী প্রতিক্রিয়া দেখা যায় শরীরের এন্ডোক্রাইন ক্রিয়া, শ্বসন ক্রিয়া ও রোগপ্রতিরোধ মতার েেত্র৷ তামাকের চেয়ে গাঁজা অধিক বিপদজনক কারণ গাঁজা সেবনের সময় সিগারেটের তুলনায় ফুসফুসে অন্তত তিন থেকে চারগুণ বেশী কার্বন-মনোঙ্াইড ও অন্যান্য তিকারক পদার্থ জমা হয়৷ সিগারেটে যে পরিমান টার থাকে তার চেয়ে চার পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশী থাকে গাঁজায়৷ ফলে গাঁজা সেবীদের ফুসফুসে ও শ্বাসনালীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী৷ গাঁজা সেবনে রোগ প্রতিরোধ মতা কমে যাবার ফলে সেবনকারীর সংক্রামক রোগ বেশী হয় এবং ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়৷ গবেষণায় দেখা যায় কোন গাঁজা সেবনকারীর সেবনের প্রথম ১ ঘন্টায় হার্টর্এ্যাটাকের ঝুঁকি সাধারণ অবস্থার চেয়ে চারগুণ বেড়ে যায়, কারণ সেবনের ফলে রক্ত চাপ ও হৃত্‍কম্পন বেড়ে যায়; পাক্ষন্তরে রক্তের অক্রিজেন বহন ক্ষমতা হ্রাস পায়৷
এই মাদকটি গ্রহনে দৃষ্টিভ্রম, বাচালতা, মাংশপেশীর অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয় সংকোচন, দিকভ্রান্ত হওয়া, মাথা ঘুরা, ক্ষুধা লাগা, গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে যাওয়া,সময়জ্ঞান হারানো থেকে শুরু করে প্রলাপ বকা, বিকার আসা এমনকি মানুষকে হত্যাকরার ইচ্ছাও জাগ্রত হতে পারে। মাত্রা বেশী হয়ে গেলে অনেক সময় হাত পা এর নড়াচড়ার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলা, হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরা এবং অবশ হয়ে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে যাওয়া থেকে শ্বাস কষ্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
নিয়মিত এবং বেশী মাত্রায় গাঁজা জাতীয় দ্রব্য সেবনে গাঁজা সাইকোসিস (Ganja-psychosis) নামে একধরনের লক্ষন হয়। এতে চোখে রক্তজমে চোখ লাল হয়ে যায়, ক্ষুধামন্দা, নির্জিবতা, শরীরের মাংস-পেশী শুকিয়ে যাওয়া, অত্যাধিক দুর্বলতা, হাত-পা অনবরত কাপতে থাকা, পুরুষত্বহীনতা থেকে শুরু করে পুরোপুরি মানসিক রোগী হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
রানিং এমোক নামক আরেক ধরনের মানসিক বিপর্যয় ও গাঁজা সেবিদের পরিণতি হয়ে আসতে পারে। অবিরত গাঁজা সেবনের কারনে অনেক সময় এদের দৃষ্টিভ্রম, নির্যাতিত-বঞ্চিত হবার কল্পনা থেকে এরা হিংসাত্মক, আগ্রাসি সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ন হতে পারে। রানিং এমক হলে লোকটি চোখের সামনে যাকে পায় তাকে তার কল্পিত শত্রু মনে করে অস্ত্র নিয়ে হত্যা করতে পারে এবং এই মানসিক অবস্থা কেটে যাবার আগ পর্যন্ত যাকে সামনে পায় ক্রমান্বয়ে তাকেই হত্যা করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। এই আবেশ কেটে গেলে একসময় সে আত্মহত্যা করতে যেতে পারে অথবা আত্মসমর্পনও করতে পারে।


কিশোরদের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রতিক্রিয়াসমূহ

কিশোররা একটি বয়:সন্ধিকাল অতিবাহিত করে বলে স্বাভাবিক পূর্ণতাপ্রাপ্তির জন্য তাদের শরীরে পুরুষ এবং স্ত্রী হরমোন-এর েেত্র একটি সুস্থ ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন৷ গাঁজা সেবন বয়স্কদের প্রজননতন্ত্রকে তিগ্রস্ত করে এবং কিশোরদের েেত্র তা এই তির মাত্রা অনেক বেশী হয়ে থাকে৷ হাড়, শরীর, দাড়ি-গোঁফ, জননেন্দ্রিয় ও কন্ঠ পূর্ণাঙ্গ পুরুষ মানুষের মতো বৃদ্ধি প্রাপ্তির জন্য ছেলেদের েেত্র কিশোর অবস্থায় প্রয়োজন স্বাভাবিক পরিমান টেষ্টেটেরন অর্থাত্‍ পুরুষ হরমোন; গাঁজা সেবন করলে ছেলেদের এই হরমোন কমে যায়, পান্তরে, মেয়েদের েেত্র টেষ্টেটেরন বৃদ্ধি পায়, যা রজ:চক্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত করে এবং চর্ম বিষয়ক সমস্যার সৃষ্টি করে৷
গাঁজাসেবী কিশোরদের েেত্র আইকিউ (ওছ) হ্রাসের
প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ কয়েকটি পর্যবেণে প্রমাণিত হয়েছে যে, গাঁজা সেবনে চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটে৷ স্বল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ বিষয় স্মরণ করার মতা হ্রাস পায় এবং পূর্ণমনোযোগ ও জটিল বুদ্ধিভিত্তিক কর্মকান্ড পরিচালনার মতা কমে যায়৷ যেসব কিশোরদের প্রতিদিন স্কুলে নতুন নতুন পাঠ গ্রহণ করতে হয় তাদের জন্য এটি আরও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী; কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা গ্রহণের ফলে স্মরণশক্তি ও শেখার েেত্র যে বিরূপ প্রভাব পড়ে তা মাদকগ্রহণের পরবর্তী সময়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক থাকে৷ এই একই গবেষণা থেকে দেখা যায় যে অনেকদিন ধরে যে সকল ছাত্র গাঁজা সেবন করেছে তাদের সেবন বন্ধ করার পর এক সপ্তাহের মধ্যে একটি শব্দ তালিকা থেকে শব্দগুলোকে সঠিকভাবে স্মরণ করতে চার সপ্তাহ সময় নেয়৷ তবে এটাও লণীয় যে, গাঁজা সেবন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করলে বুদ্ধিবৃত্তিক মতা পুনরায় ফিরে আসে৷ কিন্তু গাঁজাসেবী কিশোর-যুবকদের চিকিত্‍সার েেত্র বড় সমস্যা হলো, অধিকাংশ কিশোর-যুবক বুঝতে পারে না যে, গাঁজা সেবনের ফলে তাদের আচরণের পরিবর্তন ঘটছে৷ এ কারণে তারা যখন গাঁজা সেবন অব্যাহত রাখে তখন তাদের সংশোধন একবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে৷
এ সকল কারণে বলা যায়, একটি কম ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য হিসেবে গাঁজাকে দেখার যে প্রবণতা সমাজে লক্ষ্য করা যায় তা মোটেও ঠিক নয়৷ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের মতোই গাঁজাও ব্যবহারকারীর শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷


আশির্বাদঃ
গাঁজা খাওয়া সারা পৃথিবীতেই নিষিদ্ধ তবে বেশ কিছু দেশে চিকিৎসার প্রয়োজনে(!!) গাঁজা বৈধ! দেশগুলির ভেতর আছে, কানাডা, অষ্ট্রিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, স্পেন, ইজরায়েল, ফিনল্যান্ড, পর্তুগাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ। এসব দেশে ডাক্তারের প্রেসকিপশন হলে গাঁজা কিনতে পাওয়া যায়!আমেরিকান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস ( আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম ডাক্তারদের সংগঠন ) এবং ব্রিটিশ মেডিক্যাল এসোসিয়েসন চিকিৎসায় গাঁজা ব্যাবহার সমর্থন করে!সেসব দেশের ডাক্তারদের ধারনা গাঁজা মাদকাসক্তদের চিকিৎসা(!), বাত, এজমা, অটিজম, কোলন ক্যান্সার, বিষন্নতা, মৃগী, হেপাটাইটিস সি, উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড ক্যান্সার ইত্যাদি সহ প্রায় ২৫০ টি রোগর চিকিৎসায় ব্যাবহার করা যায়!
এখান থেকে জানুন

সহজলভ্যতা এবং সস্তা হওয়ায় এর প্রচলন ধীরে ধীরে বেড়ে চলতে পারে। সঠিক সময়ে এটা নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে গাজার বিষাক্ত শ্বাস এই সমাজের অনেক তাজা প্রানের বিনাশ ঘটাতে পারে।





সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪৭
১৫টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×