আকাশ ভরা সূর্য্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ
তাহারি মাঝ খানে আমি পেয়েছি,
আমি পেয়েছি মোর স্থান
বিস্ময়ে তাই জাগে, জাগে আমার গান!!!
আর তারি সাথে জাগে আমার প্রাণ। এ গান যতবার শুনি ততবারই বিস্ময়ে
বিস্ময়ে ভরে ওঠে মন। এক অজানা ভালোলাগা আবেশ ছড়ায় পুরোটা হৃদয় জুড়ে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা। বিধাতার এ অপরুপ সৃষ্টির মাঝে তিনি দিয়েছেন আমার মত এ অতি ক্ষুদ্রের স্থান। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কবিকে। যিনি এইভাবে উপলদ্ধি করতে শিখিয়েছেন আমাকে। যার অনুভুতিগুলি ছুঁয়ে পরিপূর্ণ হয়েছে আমার হৃদয়ের প্রতিটি কানা।
ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি বনের পথে যেতে
ফুলের গন্ধে চমক লেগে উঠেছে মন মেতে
ছড়িয়ে আছে আনন্দের এ দান...........
বিস্ময়ে তাই জাগে, জাগে আমার গান!!!
গাঁয়ের সবুজ শ্যামল পথে কখনও হাঁটা হয়নি আমার। তবুও এ গানের কথাগুলো নিয়ে যায় আমায় কোনো অজানা সবুজবনে, শিশির ভেজা ঘাসে পা ভিজিয়ে হাঁটি আমি, প্রাঙ্গনের এক চিলতে ছোট্ট সবুজ লনে হাঁটতে গিয়ে চোখ বুজে ঠিক ঠিক খুঁজে পাই সেই গন্ধরাজ বা দোঁলনচাপার ঘ্রান আর বুকের মাঝে গুনগুনিয়ে বাজে এই গান।
কান পেতেছি, চোখ মেলেছি, ধরার বুকে প্রাণ ঢেলেছি....
জানার মাঝে অজানারে করেছি সন্ধান..........
এই অজানাকে জানার আজন্ম লিপ্সা বুঝি আর আমার গেলোনা। সেই কবে থেকে অজানাকে জানার পিছে ছুটেছি আমি। ক্লান্তিতে ভেঙে পড়িনি এক মুহুর্ত। বিফলে পিছু হটিনি এক কদম।ব্যার্থতায় বা সাফল্যে নিরলস চিত্তে হয়েছি ক্রম আগুয়ান। কোনো তাচ্ছিল্য, কারো হেয় দমাতে পারেনি কখনও আমায়। আমি আপনার মাঝে আপনি হারা, আপন সৌরভে সারা। যেন আপনার মন আপনার প্রাণ, আপনারে সঁপিয়াছি। সুখে আছি ....সুখে আছি .......
এতক্ষন এতকিছু পেন পেন ঘেন ঘেন করার কারনটাই হলো আমার কিছু অতি প্রিয় সৃষ্টিশীল প্রতিভার নিদর্শন সকলের সাথে শেয়ার করবার ইচ্ছা।
এ যাবৎ আমার দুচোখে দেখা মাটি, কাঠ, কাগজ, পাথর, পাতা, ফুল,ফল, সব্জী, কাপড়- চোপড়, লোহা- লক্কড় কোনোকিছুই নিস্তার পায়নি আমার হাত থেকে। আমি এক টুকরো কয়লা কুড়িয়ে পেলেও সেই ছেলেবেলা থেকেই সেটা নিয়েই মেতেছি খেলায়।
যাইহোক আমার কৃত ইহজীবনে করা সকল শিল্পকর্মের মধ্যে এই টিস্যুবক্সটা আমার খুবই প্রিয়।
এটা আমি বানিয়েছি
১)পুরনো দুটো কাগজের টিস্যু বক্স জোড়ায় জোড়ায় খুলে আবার আঠা দিয়ে সেটে। ( মোটা বানানোর জন্য
২)উপরে দিয়েছি আইকা গুলানো পানি দিয়ে দিয়ে টিসু পেপারের প্রলেপ( মাছের তেলেই মাছ ভাঁজা টাইপ ব্যাপার)
৩) শুঁকিয়ে নিয়ে তার উপরে বসিয়ে দিয়েছি কক্সবাজার থেকে কুড়িয়ে আনা শামুক, ঝিঁনুক,কড়ি।
৪) আর দশ টাকায় কেনা মুক্তার মালা ছিড়ে ছড়িয়ে দিলাম ফাঁক ফোকরগুলোতে।
আহা আমার টিস্যু বক্সটা এখন পৃথিবীর সকল টিস্যুবক্স এর চাইতে দামী।
শামুক ঝিনুকের টিস্যুবক্সটা বানানোর পরদিনই হাত সুড় সুড় করতে লাগলো আরেকটা বানাবার জন্য। আর তো কড়ি, শামুক ঝিনুক নেই। কি করা যায়? কিনে আনলাম গুলশান ১ নং বাজার থেকে গ্লাস স্টোন। আর তাই দিয়ে একইভাবে বানিয়ে ফেললাম আরও একটা টিস্যুবক্স।
টুংটাং মাটির বেল। খুবই প্রিয় আমার। তাকে একদিন সাজিয়ে দিলাম রঙ পুঁতি আর ছোট ছোট কাঁচের টুকরো দিয়ে।
সাজিয়ে দিলাম আমার পরীপুতুলদের সাথে।
আংটি আমার খুবই পছন্দের। একঈদে বানিয়েছিলাম আমার আপুনিদের জন্য বাহারী বোতাম দিয়ে খুব সহজেই হরেক রকমের আংটিগুলি।
Click This Link
সুতা, কাঁঠ, কাঁচ পাথর কিছুই বাকী রাখিনি গয়না বানাতে।
Click This Link
ডিমপুতুল বা ডিমখোলস পুতুল বানিয়ে মজা পেয়েছি খুব খুব।
Click This Link
চামচ দিয়ে চামচপুতুল।
Click This Link
মধু আর চিজের খালি বোতলে পানি ভরে কি-রিং ভাসিয়ে দিয়েছি। দেখাচ্ছে ঠিক ঠিক যেন মৎস্যকন্যাদের মত।
Click This Link
এটা আমার ফিঙ্গার পাপেট। দেখো কেমন হাঁটতে জানে।
Click This Link
আমার জাপানিজ ম্যামেরা.......
আইসক্রিম ইয়াম্মী.......
Click This Link
পারফিউমের শিশিগুলো খালি হয়ে গিয়েছিলো। কি করা যায়? রাঙিয়ে দিলাম গ্লাস পেইন্টে। ডেকোরেশন পিস হয়ে গেলো একদম।
Click This Link
এইটা আমার বোতল র্যাপিং। আমি অবশ্য কোকের বোতল র্যাপ করেছি।
সুন্দর করে র্যাপিং করা সে আমার এক মহানন্দের কাজ অথবা নাই কাজ খই ভাঁজ।
Click This Link
Click This Link
সবাই সংকলন বানায়। ইহা আমার একটি বিশেষ কারিগরি বিদ্যা সংকলন পোস্ট বা টেকি সংকলন পোস্টও বলা যাইতে পারে। ভালোলাগা বা পাগলামী কিছু কর্মকান্ডগুলো একই সুতোয় বেঁধে রাখলাম।
আমার সব ভাইয়া আপুনিদের জন্য প্রিয় সেই গান......
আকাশ ভরা সূর্য্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ,তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৫