জিজিয়া কর (আরবি: جزية ǧizyah Ottoman Turkish: cizye ইসলামি রাষ্ট্রে ধার্য একপ্রকার কর যা অমুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য। ইসলামি রাষ্ট্র যদি জিহাদের মুঝোমুখি হয় তবে জিহাদে অংশগ্রহণ করা সকল সক্ষম মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয্। কিন্তু বিধর্মীদের জন্য জিহাদ ফরয্ নয়, পরিবর্তে তারা রাষ্ট্রকে একটি কর দেবে যার নাম “জিজিয়া”।,আদিতে আরবের কতিপয় খ্রিষ্টান ও ইহুদি গোত্র মহানবিকে এই কর প্রদান করত। জিজিয়া’র শব্দগত অর্থ সামরিক কর্তব্য থেকে অব্যাহতিজনিত কর।
এ প্রসঙ্গে কোরানের সুরা তওবা’র ২৯ আয়াতে বলা হয়েছে, “যাদের ওপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর বিশ্বাস করে না ও পরকালেও না, এবং আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না ও সত্যধর্ম অনুসরণ করে না, তাদের সাথে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা স্বীকার করত: আনুগত্যের নিদর্শন স্বরূপ স্বেচ্ছায় জিজিয়া দেয়”।
উসমানীয় তুরস্কে ১৯শ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত জিজিয়া বলবৎ ছিল। মুসলমানদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বিভাগে যোগদান করতে হতো বলে তার পরিবর্তে অমুসলমানদের ওপর একটি কর ধার্য করা হয়। কিন্তু সকল ধর্মের নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক পেশা প্রবর্তিত হওয়ার পর এই করেরও বিলোপ হয়। মধ্য যুগে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম শাসিত দেশেও অমুলমানদের ওপর জিজিয়া কর ধার্য করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে আকবর
এটা রহিত করেন, কিন্তু সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে এটা পুনঃপ্রবর্তিত হয়।
ইসলামের প্রচার হয়েছে তরবারির ডগায়, তখন মুসলিমরা গলা ফাটিয়ে বলে (চোরের মায়ের বড় গলা আর কি !) মুসলমানরা যদি তরবারির ডগাতেই ইসলাম প্রচার করত তবে প্রায় ৮০০ বছর ধরে মুসলিম শাসনামলে কোন হিন্দু থাকতো না সবাইকে মুসলিম করা হতো ।
মুসলিমদের এই তৈলাক্ত মন্তব্যে অনেক সেকুলার হিন্দু তো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত লাফাতে থাকে আহাঃ মুসলিমরা কতটা ভালো রে... !
কিন্তু এর পেছনে রয়েছে ইসলামের অপমানজনক জিজিয়া কর । অর্থাত্ মুসলিমদের শাসনে থাকতে হলে অমুসলিমদের বাধ্যতামূলক এই জিজিযা কর দিতে হবে নয়ত মুসলিম হতে হবে অথবা শিরচ্ছেদ করে মৃত্যুদন্ড মেনে নিতে হবে । আহারেঃ কি ভালো রে... !
উপমহাদেশের সবাই কনভার্টেড মুসলিম। যারা জিজিয়া কর দিতে ব্যার্থ হয়েছে তাদের ইসলাম গ্রহন করতে হয়েছে । আর যারা ইসলাম গ্রহন করেনি তাদের মাথা আলাদা করে অথবা জবাই করে হত্যা করা হয়েছে । যেভাবে এখন বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠী মাথা কেটে অনলাইনে ছবি দেয় । আর বাবরের বর্বরতা হিন্দু পেজের আদলে অনেকেই হয়ত জানেন । যেকিনা ফতেপুর সিক্রি আক্রমণ সম্পর্কে তার আত্ম জীবনীতে লিখেছে হিন্দু নিধনের কথা । সেই কাটা মুন্ডু দিয়ে পাহাড় সমান স্তুপ তৈরী করা হয়েছিল ।
যাই হোক ভারতবর্ষে জিজিয়া কর সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যাক...
একদিন মুঘিসুদ্দীন নামে এক কাজী আলাউদ্দীন খিলজির রাজ সভায় আসে। আলাউদ্দিন তখন সেই কাজীকে জিজ্ঞাসা করল, 'খরজ গৌজার' (বা জিজিয়া প্রদানকারী) এবং 'খরজ দিহ্' (বশ্যতার নিদর্শন স্বরূপ কর প্রদানকারী) হিন্দুদের সঙ্গে ইসলামী শাস্ত্র মুসলমানদের কি রকম ব্যবহার করতে নির্দেশ করে ?"
জবাবে মুঘিসুদ্দিন বলে, 'তারা হল জিজিয়া প্রদানকারী জিম্মী ।
জিজিয়া আদায়কারী মুসলমান কর্মচারী তাদের কাছে রৌপ্যমুদ্রা দাবি করলে তাদের উচিত হবে সসম্মানে ও বিনয়ের সাথে স্বর্ণমূদ্রা প্রদান করা ।
সেই কর আদায়কারী যদি রেগে গিয়ে তাদের দিকে নোংরা বা ধুলো ছুঁড়ে, মারে তবে তাদের উচিত হবে হাঁ করে তা গিলে ফেলা । এভাবেই তারা সেই কর আদায়কারীকে সম্মান দেখাবে । এইভাবে বিনয়ের সাথে কর দিয়ে এবং বিনা প্রতিবাদে নোংরা গিলে তারা বশ্যতার প্রমাণ দেবে এবং এর মধ্য দিয়েই ইসলামের গৌরব ও মেকি ধর্মের (অর্থাৎ হিন্দুধর্মের) হীনতা প্রতিষ্ঠিত
হবে । স্বয়ং আল্লা তাদের ঘৃণা করেন এবং বলেন, 'তাদের সবর্দা পরাধীন করে রাখ"। হিন্দুদের এইভাবে সদা সর্বদা হীন করে রাখাই আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য, কারণ তারা আল্লার রসুলের অর্থাৎ নবী মোহম্মদের চিরস্থায়ী শক্র ।
তা ছাডা আল্লার রসুল আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, "তাদের হত্যা কর, লুন্ঠন কর এবং তাদের ক্রীতদাসে পরিণত কর । তিনি বলে গিয়েছেন "তাদের হত্যা কর অথবা ধর্মান্তরিত কর, তাদের যথাসর্বস্ব লুঠ কর এবং দাসত্ব করতে বাধ্য কর ।“
ইসলামের মহান ঢীকাকার হানিফার মত হল, "হিন্দুদের উপর জিজিয়া চাপিয়ে দাও"(অর্থাৎ তাদের জিম্মি করে রাখো।)। আমরা সেই মহান হানিফাকেই অনুসরণ করি । অন্যান্য টীকাকারদের মতে সামনে দুটো রাস্তা,
হয় ইসলাম, নয় মৃত্যু ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫