এক বিভ্রান্ত ভণ্ড রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকা । এই বেঁচে থাকার মাধ্যমে মানুষের স্বপ্ন বিচূর্ণ হয়, বিচ্ছিন্ন হয়, মুখ থুবড়ে পড়ে মানুষের উন্নয়ন, প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম। যেখানে আমাদের প্রতিনিয়ত দূষিত রাজনৈতিক নেতারা গলা টিপে হত্যা করছে মানুষের নীতি ও আর্দশকে। সেখানে সিংহ নয় তেলাপোকার মত টিকে থাকাও এক অসম্ভব সার্থকতা । গণতন্ত্রের ২১ বছরে দেশের দুই কালনাগিনীর শাসনে আমরা যা পেয়েছি তার চেয়ে বেশি হারিয়েছি। এখানে জনগণকে জিম্মি করে, নাগরিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সামনে মূলা ঝুলিয়ে ফায়দা লুটছে আমলা ও দলীয় নেতারা। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ, খালেদা সরকারের বিরুদ্ধে লগাতার হরতাল দিয়ে দেশ অচল করে দিয়েছিল। তাদের দাবি উপেক্ষা করে খালেদা জিয়া একচেটিয়া নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু পরেনি স্থায়ী হতে । হাসিনা তথা লীগারদের আন্দোলনের মুখে ১২ দিনের মাথায় ক্ষমতা ছেড়ে পুননির্বাচন দিতে বাধ্য হয় খালেদা সরকার। কিন্তু সেই ইতিহাস থেকে তিলার্ধ শিক্ষা নিতে পারেনি বর্তমান হাসিনা সরকার ও তার চাটুকারেরা। খালেদার মত, ক্ষমতা পিপাসু হাসিনাও শুরু করেছে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতায় আসীন থাকার নিপুণ ষড়যন্ত্র। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করাই এর জলন্ত প্রমাণ। আসলে এসব হচ্ছে দেশ, জাতি ও জনশাসনের নামে জনশোষণ। রাজনীতির নামে ভ-ামি, জাতীয় উন্নয়নের নামে পারিবারিক উন্নয়ন সাধন, গণতন্ত্রের নামে নিখাঁদ পরিবারতন্ত্র। কখনো তা হাসিনার নেতৃত্বে, কখনো তা খালেদার নেতৃত্বে। অন্যদিকে এরশাদ মামা সেতো মামিদের নিয়েই মশগুল। নারী সেবা ও নারী প্রীতি করতেই তার দেশ সেবার সময় থাকে না । ধর্মের বাণিজ্যিক কর্তা নিজামী-সাঈদী-মুজাহিদদের খুন ,ধর্ষণ, লুটপাট ও যুদ্ধাপরাধের কথা নয় বাদই দিলাম। দেশ বা জনগণের সেবা নয় ক্ষমতাকে পূজা করাই এই রাজনৈতিকদের ধর্ম। ফলে প্রতিনিয়ত দেশের রাজনৈতিক অস্থিথিশীলতা ও ভারসম্যহীনতা বাড়ছে। দুই নাগিনীর ক্ষমতার দাপটে হরতাল ,ধর্মঘট ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হচ্ছে । দেশ প্রতি ক্ষণে-ক্ষণে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । মানুষে- মানুষে বিভেদ ও রক্তক্ষয়ী সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। মাঝখান থেকে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা রূপী নিরীহ জনগনকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। সেই গল্পের মতো ,“ মজা মারলো খাজা ভাই , মাঝখান থেকে আমাদের ঘুম কামাই।” আর কতকাল এই দুই নাগিনীর অত্যাচার ,নির্যাতন সহ্য করবে এই দেশের মানুষ। আমরা বিশ্বাস করি এই দুই কাল নাগিনীর একদিন অবসান হবে। দেশটা আবার শান্ত হবে.....। জনগণ সুখে হাসবে আর বলবে , আমরা পেয়েছি আমাদের দুই নাগিনীমুক্ত প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশ..........।
দুই কাল নাগিনীর ছবলে দেশটা গেল রসাতলে - সজিব তৌহিদ
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।
পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন
একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়
সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।
সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?
সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??
সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন