জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৮’শ কলেজে ২৭ টি বিভাগ চালু রয়েছে । এসব কলেজের মধ্যে উওর বঙ্গের কারমাইকেল কলেজ টি সারা দেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি পরিচিত, সুখ্যাত এবং সমাদৃত । সম্প্রতি এ কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বাংলা ভাষার বিচিত্র শব্দ চয়ন ও প্রয়োগ সম্পের্কে সচিত্র ধারণা লাভ হলো । যা সাধারণ মানুষের কাছে হাস্যকর হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীর কাছে ধ্রুব সত্য ও অপরিমেয় কষ্টদায়ক । একঝাক উচ্ছ্বসিত তরুণ- তরুণী ক্যাম্পাসের মধুবন থেকে ঘুরে এসে বই, খাতা নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল বৃন্দাবনে বসে । তাদের কাছে অনার্স জীবন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল জানতে চাওয়া হলে কেউ বলেন , “আরে ভাই বাদ দেন...! জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের লাইফ টা হেল কইরা দিছে ।” আরেক জন বলেন ,“ গ্যারাকলে পইড়া গেছি ভাই... ।” এই কথা শেষ না হতে এক মেয়ে শিক্ষার্থী বললেন,“ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয় যাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রামি শুরু করছে ৪ বছের কোর্স আট বছর লাগাইবো ।” পরে জানলাম , রাসেল, রিজা, মেহের, বিথি,উজ্জ্বল, সুপর্ণা, জুয়েল. তন্নী, সজিব, শারমিন, রানা, ইফতেখার ,মিথি, সুমি এরা সবাই অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষর্থী। তাদের দেখে অনুমেয় বন্ধুত্বের বাঁধনে ভালোবাসা যেন আজো তাদের প্রাণে-প্রাণে লেগে আছে । সম্প্রতি তাদের তৃতীয় বর্ষের ফল বেরিছে দীর্ঘ ৮ মাস পর । অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা কবে নাগাদ হবে স্বয়ং সৃষ্টি কর্তা ছাড়া কেউ জানেন না বলে তারা উল্লেখ করেন । গত বছরের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো রেজাল্টের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না । সেশন জট নামক করালগ্রাসে শুধু কারমাইকেলর নয় সারা দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এখন দিশেহারা, উদভ্রান্ত ও হতাশ । প্রায় বছরখানি আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ে প্রেরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলেন , ‘পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২ মাসের মধ্যে অবশ্যই ফল প্রকাশ করতে হবে । ’ সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে । যেন দেখার কেউ নেই । সেশন জট কমানোর বহু আবেদন নিবেদন করা সত্ত্বেও সরকার, শিক্ষামন্ত্রী, ভিসি কারোর টনক নড়ছে না । তাই ক্ষান্ত হয়ে এই শিক্ষার্থীরা নিরব রোষানলে বলে উঠেন, ক্ষমা করো প্রভু , দয়া করো, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারাকল থেকে আমাদের উদ্ধার করো......।