ভাবগম্ভীর লোকটি বললেন ৩০ টাকা।
কম কত?
কম নাই। অগত্যা হাত বাড়িয়ে দিলাম জ্যোতিষীর দিকে। অনেকক্ষণে একটা চটি বই খুঁজে তিনি বললেন, তোমার রাশি মেষ। তোমার আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোন একটা বড় রকমের ফাড়া দেখা দিতে পারে। সেটি কেটে উঠলে তোমার জীবনে আর কোন সমস্যা নাই। বিদেশে গমন শুভ। ব্যবস্যা বাণিজ্য করলে ভালো করবে। মাঝারি ধরনের চাকরি পাবে। অর্থবিত্ত মাঝারি ধরনের হবে। বিয়ে প্রেম অথবা সমাজিক যে কোনটাই হতে পারে।
হরহর করে এই কথা যখন জ্যোতিষী বলে যাচ্ছিল। আমি তখন বললাম, আমার বিয়ে কয়টা হবে। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, এতো কথা বলো কেন যা বলি তা শোন। তার এই ধমকে আমি থ হয়ে গেলাম, বন্ধুরা সবাই মজা পেল আর দাঁত কেলিয়ে হাসলো। তাদের সেই হাসিটি দেখার জন্যই ৩০ টাকার বিনিমেয়ে হাতদেখা নামক এই সুস্থ বিনোদনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কারণ আমি কোন কালে হাত দেখা বিশ্বাস করিনি, বিশ্বাস করতেও চাই না।
কত বিচিত্র পেশায় মানুষ বেঁচে আছে। নানা ছলা কলায় মানুষ জীবন যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। আসলে হুমায়ূন আহমেদের কথাই সত্য, ‘বেঁচে থাকাটাই আনন্দের, সেটা আমরা যেভাবেই বেঁচে থাকি না কেন।’
আর আমাদের মত গরীবদের জন্য বেঁচে থাকাটাই বিলাসীতা। যখন এই বিলাসী জীবনে রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গা আমাদের জীবনকে তিলে তিলে নি:শেষ করে দেয়। তখন এই দেশের নীতি-নির্ধারক, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের জারজ বলতেও আমার ঘৃণা লাগে…
সজিব তৌহিদ
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩