somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গুম, অপহরণ ও খুনের ফিরিস্তি

০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে গুম, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানেই ঘটছে এই ধরনের ঘটনা। দিনের আলোয় অপহৃত হচ্ছেন মানুষ। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। ভয় আর অতঙ্কে অতিবাহিত হচ্ছে প্রতিমূহুর্ত।

এসব পরিস্থিতি সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। কোথাও কোথাও নিরাপত্তা বাহিনীর নিরবতা এবং সংশ্লিষ্টতার কথাও উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। ফলে গুম ও খুন নিয়ে ধুম্রজাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সর্বত্র।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে সাত জন ব্যক্তি অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অপহরণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম খুন হওয়ার পর তাঁর শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে র‌্যাবের কর্মকর্তারা ৬ কোটি টাকা নিয়ে নজরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারসহ সাত জনকে অপহরণের পর হত্যা করেছে।

র‌্যাবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান ‘কেউ অভিযোগ করলেই সত্য হয়ে যায় না’ এমন কথা বলে গুরুত্ব না দিলেও সারা দেশের মানুষ এ অভিযোগে নির্বাক, বিষ্মিত ও হতাশ হয়েছেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো অভিযানও পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু সাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। অপরদিকে একই অঞ্চলের স্কুল পড়–য়া ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী ২০১৩ সালে ৬ মার্চ গুম হয়ে ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যার জলে লাশ হয়ে ভেসে ওঠে। সেই ত্বকী হত্যা মামলার বিচারের প্রক্রিয়ার নাটকীয়তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

গুম-হত্যার এমন উৎসবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বক্তব্যের সাথে সঙ্গতি রেখে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সারা দেশের পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক আছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং আগের চেয়ে ভালো।’

এসব ঘটনা দেশের মাটিতে নতুন নয় । অনেক আগে থেকেই পারিবারিক, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক হিংসা প্রতিহিংসায় গুম, অপহরণ এবং হত্যার ঘটনা ঘটছে। দুই রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যেই তা সমাপ্তি হয়। পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় না। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী রাজধানীর বনানী থেকে গুম হওয়ার পর থেকে অপহরণ ও খুনের ঘটনা অশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। পুলিশ ও র‌্যাব প্রশাসন এর কোন কূল কিনারাই খুঁজে পাচ্ছে না। গুম ও অপহরণের শিকার হয়ে যারা সৌভাগ্যক্রমে ফিরে এসেছেন তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য একই রকম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাদের তুলে নেওয়া হয়। তারপর অজানা স্থানে ছোট্র ঘরে সারাক্ষণ চোখ বেঁধে রাখ হয়। আর যারা ফিরে আসতে পাচ্ছেন না তাদের অবস্থা কেউ ইলিয়াস আলীর মত নিখোঁজ। আবার কাউকে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী কিংবা অন্যকোন নদীর জলে মৃত লাশ হয়ে ভাসতে হয়। এক তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১২ সালে শুধু ধলেশ্বরী নদীর জল থেকে ৩০ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশ কিভাবে এল এমন প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া যায় নি।


শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় সব পেশার মানুষ এই গুম, অপহরণ ও হত্যার শিকার হচ্ছেন । বহুল আলোচিত ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর কেরানীগঞ্জে মা, বোন ও গাড়িচালককে গুলি করে ছয় বছরের শিশু পরাগ ম-লকে অপহরণ করে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। পরে মুক্তিপণের ৫০ লাখ টাকা দিয়ে শিশু পরাগকে উদ্ধার করে তার বাবা বিমল। মুক্তিপণের টাকা দেওয়াতে কেউ মুক্তি পাচ্ছে। আবার কাউকে কোনভাবেই উদ্ধার করা যাচ্ছে না। মা, বোন, স্ত্রী এবং আত্মীয় স্বজনদের কান্নার রোলকে তিলার্ধ কর্ণপাত না করে অপহরণকারীরা এযেন এক গুম-হত্যার এক মৃত্যু উল্লাসে মেতে উঠেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুম, অপহরণ ও হত্যার মিছিল কোনভাবেই থামাতে পাচ্ছে না। অপহরণকারীদের দয়া ও করুণার অপেক্ষায় প্রহর গুণতে হচ্ছে অপহৃত ব্যক্তির স্বজনদের। তারই প্রমাণ মিলল গত ১৬ এপ্রিল অপহৃত হওয়া পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী অবু বকর সিদ্দিকের ক্ষেত্রে। অপহরণে শ্বাসরুদ্ধকর ৩৫ ঘণ্টা পর অপহরণকারীরা মিরপুরে গভীর রাতে আবু বকরকে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত করে দেয়। ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে সাতজন অপহরণের ১ দিন পর ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে ২৭ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয় সাভারে। আপহরণ চক্রের এই দয়া বা করুণার সাথে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর যোগসাজশ আছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে দেশের বিশেষজ্ঞমহল।

দেশের অপরাধ পরিস্থিতি আগের যেকোন সময়ে চেয়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে তা পুলিশ বাহিনীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য স্পষ্ট প্রমাণ দেয়। সারা দেশে ২০১১ সালে অপহৃত হয়েছিল ৭৯২ জন, ২০১২ সালে তা দাঁড়িছে ৮৫০ জনে। ২০১৩ সালে অপহৃত হয়েছে ৮৭৯। ২০১৪ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৯৬ টি। যা ২০১৩ সালের প্রথম তিন মাসে ছিল ১৬৮ টি ।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব) এর আইন ও জনসংযোগ শাখার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের কাছে দুই হাজার ৬৪১ জন অপহরণের অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৭ জনকে র‌্যাব উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের অবস্থা কি হয়েছে র‌্যাবের তা জানা নেই। চলতি বছরের জানুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে ৭৭ জন অপহৃতকে উদ্ধার করতে পেরেছে র‌্যাব।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে সংগৃহীত বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র ( আসক) এর তথ্য অনুযায়ী ২০১০-২০১৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট অপহৃত হয়েছে ২৬৮ জন। এর মধ্যে ২৪ জনকে অপহরণের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৪৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ১৪ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে । ১৮৭ জনের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। শুধু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনা থেকে এই তথ্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। যেসব ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে আসেনি সেসব তথ্য আসকের নথিতে নেই।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ৩৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে বিএনপির ১১, ছাত্রলীগের ৪, ছাত্রদলের ৩, জামায়ত-শিবিরের ২, ব্যবসায়ী ৩, চাকরিজীবী ৪ এবং সাধরণ জনগণ ১২ জন রয়েছেন। অপহৃত ৩৯ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরীসহ ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২৩ জনের কোন সন্ধান মেলেনি। ১২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

আসকের নথিপত্রে দেখা গেছে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১০ সালে ৪৬, ২০১১ সালে ৫৯, ২০১২ সালে ৫৬, ২০১৩ সালে ৬৮ এবং চলতি বছরে এ পযর্ন্ত ৫৩ জন অপহৃত হয়েছে। এছাড়া ২০০৭-২০০৯ পর্যন্ত ২১ জন অপহৃত হয়েছে। ৩ জনের লাশ পাওয়া গেছে কিন্তুু বাকিদের সন্ধান মেলেনি।

এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, চলতি বছরে অপহরণের মাত্র কতটা মারাত্মক হয়ে উঠেছে। দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কেউ কেউ মনে করছেন গত ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন একতরফা জাতীয় নির্বাচনে কোন কোন মহলের অসন্তুষ্টির কারণে এমন গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। আবার বিরোধীদলের উপর দায়ভার চাপানোর জন্য সরকারি দল এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কিনা সে সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এসব ঘটনায় শুধু বিএনপি নয়, জামায়াত-শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষ পর্যন্ত শিকার হচ্ছে। ২০১০ সালে ২৫ জুন শেরেবাংলা বাংলা নগর থেকে অপহৃত হন ঢাকার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম। চার বছর হয়ে গেলেও তার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
২০১২ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্টন থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা কে এম শামীম আক্তার গুম হওয়ার পর সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী ঝরনা খানম আক্ষেপ করে বলেন, ‘তিন বছর পার হয়ে গেল স্বামীর দেখা পেলাম না।’

২০১৩ সালের ১৪ মার্চ হবিগঞ্জের মাধবপুরের বহরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বকুল খানকে গেয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে গুম করা হয়েছে। গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত পিতাহারা পুত্র রাফসান তার বাবা সাবেক সাংসদ ও লাকসাম বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামকে খুঁজে বেরাচ্ছেন। যিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার পথে লাকসাম পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ গুম হয়ে যান। গত আড়াই মাস ধরে গুম হয়ে আছেন র‌্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের সিকিউরিটি সুপারভাইজার মফিজউদ্দিন।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারে আমলে মাত্রাতিরিক্ত ‘ক্রসফায়ার’ এর ঘটনা জনগণকে উদ্বিগ্ন করলেও এবার মহাজোট সরকারের সময়ে গুম, অপহরণ ও হত্যা মানুষকে চরম উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত করেছে। জাতীয় মাববাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান বলেছেন, ‘চাঁর-পাঁচ বছর ধরেই আমরা অপহরণ ও গুমের সংস্কৃতি দেখছি।

অধিকাংশ সময় রাষ্ট্রের কোন বাহিনীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এসব ঘটনার কোন বিচার হয় না। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি হয় না। বরং দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাগুলো অস্বীকার করছে। যে কারণে এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। অন্যরাও এতে উৎসাহিত হচ্ছে।’

দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত গুম ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার ধামরাই থেকে এক ব্যবসায়ী অপহৃত হয়েছেন। নাটরে অপহৃত ভটভটিচালকের লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। রাজবাড়ি থেকে অপহৃত গাড়িচালকের বেওয়ারিশ লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম দাফন করলে স্বজনেরা তাঁর সন্ধান পান। এছাড়া সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় এক ব্যক্তি অপহরণের ৪০ ঘণ্টা পর, নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা অপহরণের সাড়ে সাত ঘণ্টা পর এবং চট্টগ্রামে দুজন অপহরণের ছয় ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছেন।

গত ৫ মে ঝিনাইদহে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফ্ফার বিশ্বাসকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। একই দিনে ঝিনাইদহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর লাশ, মানিকগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আলমের ঝুলন্ত লাশ, গাজীপুরের পুবাইল এলাকায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ, ঢাকার নবাবগঞ্জে বান্দুরা বাজারে স্বর্ণকার পলাশ হালদারের লাশ, টাঙ্গাইলের কালিহাতী থেকে আবদুর রশীদ কাজী নামের এক ব্যাক্তি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এরকম ভয়ংকর- বিভৎস গুম, অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের মত জঘন্য ঘটনা স্বাধীন এই ভূ-খণ্ডে ঘটছে অহরহ। এমন পরিস্থিতিতে তাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- এই গুম অপহরণ হত্যা, এর শেষ কোথায়.?

-সজিব তৌহিদ




সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×