বাসের মধ্যে কতিপয় ছাত্রদের ছাত্রত্ব প্রকাশের ধরণ দেখে আমি একজন ছাত্র হিসেবে যারপরনাই স্তম্ভিত ও লজ্জিত !!! একজন ছাত্রকে হাফ ভাড়া দিতে বলার পরও যখন সে নিজেকে ছাত্র হিসেবে দাবী করে ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করে, এবং সুমধুর খিস্তি খেউরের মাধ্যমে নিজের ছাত্রত্বের প্রমাণ দেয়া শুরু করে, তখন আসলেই “ছাত্র” শব্দটির সংজ্ঞা নির্ধারণ করাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে !!!
মোবাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলার সময় তার পড়ালেখার কথা মনে থাকে না, ৫ টাকার একটা গোল্ডলিফ বা ৮ টাকার একটা বেনসন সিগারেট এ সুখ টান দেয়ার সময় তার হাত কাপে না, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ক্লাস যাওয়ার কথা তার মাথায় আসে না, পরীক্ষার একঘণ্টা আগে ছাড়া বই-পত্রের সাথে তার কোনো সম্পর্ক থাকে না, কিন্তু বাসের হেলপার ভাড়া চাহিবামাত্র তার মধ্যে সুপ্তাবস্থায় থাকা ছাত্রত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে !!! তখন তার ছাত্রত্বের আগ্রাসন দেখলে ধরণীকে দ্বিধা হইতে বলা ছাড়া আর কিছু ই করার থাকে না !!!
তাই সরকারের কাছে আমার একটি অনুরোধ, যেহেতু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাবলিক বাসের মধ্যে ই পোলাপানের ছাত্রত্বের বহিঃপ্রকাশ বেশি দেখতে পাওয়া যায়, এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা বাসের মধ্যে ই তারা তাদের এই পরিচয়ে বেশি গর্বিত, তাই পাবলিক বাসগুলোতে এখন থেকে পড়ালিখার বন্দোবস্ত ও শিক্ষক নিয়োগ শুরু করা হোক !!! এতে হয় পাবলিক বাস গুলোতে বিভিন্ন পোলাপানের সদা সুপ্ত ছাত্রত্বের আগ্রাসন বন্ধ হবে, অথবা পাবলিক বাসগুলা জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে !!