somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অস্তিত্বের অন্তরালে: ১০ (বাকি অংশ)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম অংশ

- তুমি বড্ড বেশি পক পক কর। কান পচিয়ে ফেলেছো কথা বলতে বলতে। এত কথা মানুষ বলে কিভাবে? বাচাল মেয়ে কোথাকার।
- কি আমি বাচাল? যাও তোমার সাথে আর কোনো কথাই বলব না।
- আমি কি তাই বলেছি যে তুমি কথা বলবে না?
- তাইলে তুমি আমাকে বাচাল বললে কেন? কত হাজার বছর ধরে তোমার পথের দিকে চেয়ে আছি কবে তুমি আসবে, কবে তোমাকে একটু কাছে পাব, মন খুলে একটু কথা বলব তোমার সাথে আর এখন তুমি আমাকে বাচাল বলো না?
- বাচাল কে তো বাচালই বলব। বাচাল কে কি আমি স্বল্পভাষী বলব নাকি?
- আচ্ছা যাও তোমার সাথে আর কোনো কথাই বলব না।
- সেরেছে রে। তুমি কথা না বলে থাকতে পারবে? পেট ফেটে মারা যাবে। তাই ব্ৃথা চেষ্টা করে লাভ নাই।
- পারবনা মানে তুমি আমাকে কি মনে কর? আমি ফেলনা?
- ফেলনা নয়ত কি? খুব দামি হলে বুঝি কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করে থাকে নাকি?
- তোমাদের মানুষদের এই এক সমস্যা। যেটা অল্প চেষ্টায় পাও সেটাকে দাম দাও না তার ব্যাবহারিক মূল্য যত বেশিই হোক না কেন। আমি তোমাদের প্রৃথিবীর মূল্য নির্ধারন পদ্ধতি দেখে খুবই আশ্চর্য হয়েছি। তোমরা মূল্য নির্ধারন কর দুষ্প্রাপ্যতার ভিত্তিতে, ব্যাবহারিক প্রয়োজনিয়তার ভিত্তিতে না। অক্সিজেনের দাম দিতে হতে পারে তা তোমাদের চিন্তার বাইরে অথচ যা ছাড়া তোমাদের প্রৃথিবীর জীবন কয়েক মুহূর্ত টিকবে না, পানি পাও না্মমাত্র মূল্যে যা তোমাদের জীবন ধারনের জন্য অপরিহার্য আর অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে হীরার দাম সবচেয়ে বেশি যার অনঙ্কার ব্যাবহার তোমাদের জীবন ধারনের জন্য মোটেও অপরিহার্য নয় বরং বিলাসীতা।
- আচ্ছা তোমার এত বড় লেকচারের সারমর্ম হচ্ছে তুমি অনেক দামি যদিও তুমি অনেক সস্তা লব্ধ আমার কাছে।
- না।
- তাইলে?
- আমার লেকচারের সারমর্ম হচ্ছে তোমাদের নির্বুদ্ধিতা।
- ইস পন্ডিত বলারাম সেন।
- সে আবার কে?
- কি জানি হবে হয়ত কেউ আবার হয়ত এ নামে কেউ নাই।
- হা হা হা।
- আচ্ছা তুমি কিন্তু বললে না।
- কি?
- এত মানুষ থাকতে তুমি কেন আমার জন্য অপেক্ষা করছো?
- সেটা তুমি জানতে পারবে যখন প্রবাল পাবে।
- আচ্ছা সাগর আর কতদূর?
- এই তো চলে এসছি আর কিছুক্ষন হাটতে হবে।
- আমার ক্লান্ত লাগেছে।
- আর একটু হাট সোনাবাবু।
- আচ্ছা প্রানময়ী তুমি এত সুন্দর করে কথা বলো কিভাবে?
- এই তো কিছুক্ষণ আগে না তুমি আমাকে বাচাল বললে?
- বলেছিলাম বুঝি?
- হুম আমি কি মিথ্যা কথা বলছি নাকি?
- মাঝে মাঝে বেশি ছাগলামি কর তো তাই।
- ইস এসেছে আমার মাস্টার মশাই।
- না সত্যি প্রানময়ী তুমি অনেক সুন্দর করে কথা বলো।
- তাই, তোমার ভালো লাগে?
- হুম খুব। তোমার কথায় একটা প্রান প্রান ব্যাপার আছে।
- সেটা কেমন?
- সে্টা নুপূরের মত।
- মানে?
- মানে বুঝাতে পারবো না। ভিতরে যেন কেমন ঝুম ঝুম করে বাজে।
- তাই?
- হুম প্রানময়ী। এই উষর মরুর বুকে তোমার প্রতিটি শব্দ চয়ন এক একটা প্রানের স্পর্শ দেয় আমাকে।
- সোনাবাবু তুমি অনেক ঘামছো সূর্যের অলোটা কমিয়ে দেই?
- তুমি সব সময় আমার এত যত্ন নাও কেন প্রানময়ী?
- এই একটা কাজ নিয়েই তো আমার জগত ভ্রমন।
- অচ্ছা প্রানময়ী তুমি কি আমাকে অনেক পছন্দ কর?
- আমার জগতে তো তুমিই একমাত্র ধ্রুব কম পছন্দ করলেই বা কি আর বেশি করলেই বা কি?
- আচ্ছা তোমার কখনো রাগ হয় না আমার প্রতি?
- কেন রাগ হবে?
- এই যে আমি তোমাকে খালি রাগাই।
- রাগালে রাগে তো বোকারা আমি কি বোকা নাকি?
- হুম তাই, তুমি অনেক চালাক।
- দেখি তুমি জ্বালাও খুব।
- আবার কি জ্বালালাম?
- এত শক্ত করে কাপড়টা বেধে দিলাম পায়ে আর খুলে ফেলেছো হাটতে হাটতে। কেনো আমাকে বলা যায় না যে কাপড় খুলে গেছে।
- আমি তো বুঝতে পারিনি।
- আমি তো বুঝতে পারিনি পায়ে ফসকা ফেলবে তারপর আমার হবে যত যন্ত্রনা।
- কেন তুমি চাইলেই তো ভালো হয়ে যাবে।
- কেনো ভালো হওয়ার আগে কষ্ট পাবে না?
- একটু না হয় কষ্ট পেলাম তাতে কি?
- মানে? এতদিন পরে তোমাকে পেলাম আর তুমি কষ্ট পাবে আমি থাকতে এটা হয়?
- তুমি এত মায়া দিয়ে কথা বলো কেন প্রানময়ী?
- মেয়েদের কাজই তো মায়া দেয়া। আর ছেলেদের কাজ ছায়া দেয়া। তুমি আমাকে ছায়া দেবে আমি তোমাকে মায়া দেবো।
- বাহ। কিন্তু আমি তোমাকে কিভাবে ছায়া দেব? এখানে তো আমার কোনো ক্ষমতা নেই।
- আমি তো সে ছায়ার কথা বলিনি। তুমি আমাকে তোমার সান্নিধ্যের ছায়াতলে রাখবে আমি তোমাকে আটকে রাখবো আমার মায়াজালে।
- রাখতে পারবে তো?
- চেষ্টা করে দেখতে দোষ কি?
- যদি না পারো?
- আবার হারাবো।
- তোমার কষ্ট হবে না প্রানময়ী এই উষর মরুতে একলা একলা কাটাতে?
- আমি যে তোমাকে ভালোবাসি সোনাবাবু। যে ভালবাসতে জানে, সে যেমন মায়াজালে বেধে রাখতে জানে তেমনি উতসর্গ করতে ও জানে।
- তুমি আমাকে ভালোবাস প্রানময়ী?
- ইস একদম তো ঘেমে ভিজে গেছো। দেখি। উফ আমি কথায় কথায় একদম খেয়াল করিনি সূর্যের আলোটা কমাতে হবে তা। দেখি পা টা এদিকে দাও আমি কাপড়টা বেধে দেই ভালো করে।
- তুমি তো উত্তর দিলে না প্রানময়ী।
- বুড়োভাম হয়েছো। এখন এইসব বুঝিয়ে দেয়ার সময় নেই। বুঝে নাও।
- না তুমি বুঝিয়ে দাও প্রানময়ী।
- সময় হলে বুঝিয়ে দেব। তোমার যাওয়ার ঘন্টা বাজচ্ছে।
- মানে?
- মানে পরে শুনো। আচ্ছা গোধূলী বেলাটাই থাক কি বলো সোনাবাবু?
- কেন?
- গোধূলীর আলোতে তোমায় অনেক ভালো লাগে। সব কিছু কেমন যেন পবিত্র আর শান্ত মনে হয়। আমার কতদিনের শখ জানো আমি এ মরুভূমিতে গোধূলীর আলোতে তোমায় নিয়ে হাটব?
- আমি কিভাবে জানবো?
- হুম। তুমি কিভাবে জানবে? আচছা তুমি এই বেলী ফুলের মালাটা আমার খুপায় একটু পরিয়ে দেবে?
- হ্যা দাও প্রানময়ী।
- এই নাও আমার গহনার বক্স তোমার ইচ্ছে মত গহনা দিয়ে আমাকে সাজিয়ে দাও সোনাবাবু।
- তুমি এখানে গহনা পেলে কোথায়?
- আমি কতদিন ধরে পথ চেয়ে বসে আছি তুমি একদিন আসবে, আমরা হাটতে হাটতে সাগর পাড়ে আসব। গোধূলীর শেষ আলো আমায় স্পর্শ করবে। আমি উন্নত মস্তকে তাকাবো তোমার দিকে। সমুদ্রের আদ্র বাতাস আমাকে স্পর্শ করার আগে তুমি স্পর্শ করবে আমায়। তুমি আমাকে সাজিয়ে দেবে তোমার মত করে।
- দুঃখিত প্রানময়ী আমি তোমাকে স্পর্শ করতে পারবো না।
- কেনো সোনাবাবু?
- এই যে, আমি যখনই তোমাকে ছুতে যাই তখনই যেন কেমন একটা বাধা আসে ভিতর থেকে। একটা টোল পরা গজ দাঁতের হাসি ভেসে উঠে আমার মনের পর্দায়। আমি সে আবছা ছবিটা স্পর্শ করতে চাই কিন্তু পারিনা তা শুধু ঢেউ খেলতে থাকে নদীর জলে। উফ আমার মাথে যন্ত্রনা করছে তুমি বন্ধ করবে তোমার এই রোমান্টিক কথাবার্তা?
- আচ্ছা সোনাবাবু আমিই পরে নিচ্ছি। তুমি আমার পাশে আছো, আমার সাথে হাটছো এই গোধূলী বেলায় এটাই আমার জন্য অনেক কিছু।
- রাগ করলে প্রানময়ী?
- না সোনাবাবু। ভালো লেগেছে। কারন আমি অনেক কিছুই জানি যা তুমি জানো না। জানলে তুমি অনেক কষ্ট পাবে।
- কি সেটা প্রানময়ী বলো।
- না সোনাবাবু শুনলে তুমি অনেক কষ্ট পাবে। আমি চাচ্ছি না তোমাকে কষ্ট দিতে। আর কিছুক্ষণ পরে তুমি এমনিতেই জানতে পারবে সব কিছু।
- কখন সেটা?
- যখন প্রবাল পাবে।
- উফ প্রবাল প্রবাল প্রবাল। আমাকে পাগল করে দিচ্ছে এই শব্দটা।
- সোনাবাবু তাকাও আমার দিকে।
- কেনো?
- আহা তাকাও না।
- বাহ তোমাকে তো খুব সুন্দর লাগছে গহনাতে।
- সত্যি?
- হুম, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। সব সময় এমন সেজে গুজে থাকতে পারো না?
- কেনো?
- তোমাকে অনেক সুন্দর লাগবে।
- তুমি আমার শাড়ির আচলটা একটু ঠিক করে দাও না সোনাবাবু আর কুচি গুলো।
- আরে বাহ তুমি জলরং শাড়ি কখন পড়লে?
- যতক্ষণ ধরে তুমি ঐ দিকে তাকিয়ে বক বক করছিলে।
- শাড়িতে তো্মাকে অনেক ভালো লাগে। তুমি এতো সুন্দর আগে কখনো খেয়াল করিনি তো। এই নাও ঠিক হয়েছে?
- হুম। সোনাবাবু শুনতে পাচ্ছ?
- কি?
- সাগরের গর্জন?
- না।
- আমার কানে কান পাত শুনতে পাবে।
- কই দেখি।
- কি পাচ্ছ সোনাবাবু?
- হুম।
- আমারা সাগরের খুব কাছা কাছি চলে এসেছি।
- তাই তার মানে আমি প্রবাল পাচ্ছি?
- হুম আর আমি তোমাকে হারাচ্ছি।
- কেনো?
- তোমার জীবনে শুধু এতটুকু সময়ের জন্যই আমি বরাদ্ধ আছি। তোমার প্রবাল প্রাপ্তি আর আমার মুক্তি একই সূত্রে গাথা।
- তাই?
- হুম।
- প্রানময়ী তার মানে আর কিছু সময় পরে তুমি আমার জীবন থেকে মিলিয়ে যাচ্ছো?
- বলতে পারো। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তোমাকে ছেড়ে যেতে।
- তুমি কোথায় যাবে?
- আমি জানি না। তারপর থেকে আমার ভবিষ্যত শুরু হবে যা এক অনিশ্চিত সময়। এতদিন আমি এক নিশ্চিত সময়ে বাস করতাম যাকে তোমরা অতীত বলো।
- নিশ্চিত সময় মানে?
- নিশ্চিত সময় মানে যে সময়ের সব কিছু তুমি নিশ্চিত রূপে বলে দিতে পারো। যেমন তুমি এখন বলে দিতে পারো আমি সেদিন রাতে কি গান গেয়েছিলাম কারন সেটা তোমার কাছে অতীত কাল বা নিশ্চিত সময় কিন্তু বলতে পারবে না আমি সাগর পাড়ে গিয়ে কি করবো কারন সেটা তোমারা কাছে ভবিষ্যত কাল বা অনিশ্চিত সময়। তবে সাগর পাড় পর্যন্ত আমার কাছে নিশ্চিত সময় কারন আমি জানি সেখানে কি হবে, তোমার কি ইচ্ছে হবে সেখানে।
- কেনো?
- কারন তোমার কাছে এখন যা বর্তমান কাল আমার কাছে তা এখন পর্যন্ত অতীতকাল। তোমার কাছে এখন যা অনিশ্চিত সময় বা ভবিষ্যত কাল আমার কাছে তা নিশ্চিত সময় বা অতীত কাল। তুমি তোমার জীবনের যতটা পথ পাড়ি দেবে আমার অত্মা ততটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছে। এখন আমার সত্ত্বা সে পথ চলছে তোমার সাথে এক নিশ্চিত সময়ে যা তোমার কাছে অনিশ্চিত সময়। মানে তোমার জন্য যা বর্তমান বা ভবিষ্যত কাল সাগর পাড়ে পৌছানো পর্যন্ত আমার জন্য তা অতীত কাল বা এক নিশ্চিত সময়। কিন্তু তারপর শুরু হবে আমার জীবনের ভবিষ্যত কাল বা এক অনিশ্চিত সময় যা সম্বন্ধে আমি কিছুই জানি না। সোনাবাবু, শত সহস্র বছর ধরে আমি আটকে আছি আমার অতীত কালে, তুমি প্রবাল পেলেই শুরু হবে আমার ভবিষ্যত কাল।
- ধুর এই কঠিন কঠিন কথা ভালো লাগছে না। অন্য কথা বলো।
- এই দিকে তাকাও সোনাবাবু। আমার চলে এসেছি।
- উফ মা কি বাতাস। এই প্রানময়ী তোমার খোপার বেলীফুল গুলো খুলে ফেলি?
- কেন?
- বাতাসে তোমার চুল উড়বে তখন তোমাকে দেখতে অনেক ভালো লাগবে।
- আচ্ছা সোনাবাবু খুলো।
- প্রানময়ী তোমাদের এখানে জলের রঙ এমন শরাবের মত কেন?
- কেন তোমার ভালো লাগছে না?
- না কেমন যেন মদ মদ মনে হচ্ছে।
- মদ মদ না এটা মদই তবে নেশা হয় না।
- নেশা না হলে আবার মদ কিসের?
- হম মদ না বলে পানিয় বলতে পারো। তুমি খাবে?
- হুম।
- এই নাও।
- কেমন অদ্ভুত মজার স্বাদ বলো তো।
- হ্যা প্রৃথিবীর কোনো প্রান এ পানিয় পান করে কখনো।
- তাই?
- হুম।
- আচ্ছা প্রানময়ী তোমাকে এত সুন্দর লাগছে কেন?
- আমি কি জানি?
- স্বর্গের কোনো অপ্সরা যেন চেপে বসেছে রূপে।
- সত্যি?
- আমি কি তোমাকে পাম দিচ্ছি নাকি?
- চল এইখানটাতে শুয়ে সাগরের গর্জন শুনি।
- চলো।
- আচ্ছা সোনাবাবু একটা কথা রাখবে?
- কি?
- আজকের পর থেকে তো তুমি আমার জীবন থেকে মিলিয়ে যাবে। যাবার আগে আমাকে একটু স্পর্শ করে যাও। তারপর তো আমরা দুজনেই চলে যাব এক অনিশ্চিত সময়ে তখন কার জীবনে কি হবে কে জানে? হয়ত আমি আর তোমাকে কোনোদিন দেখতেই পাব না।
- আচ্ছা প্রানময়ী আস আমার বুকে মাথা রাখো।
- সোনাবাবু তোমার ভালোলাগছে?
- হুম, তবে এখন গোধূলীটাকে মাঝরাত বানিয়ে দাও।
- আচ্ছা।
- আকাশে একটা চাঁদ নিয়ে এসো।
- আর।
- আর বৃষ্টি, মোষল ধারে বৃষ্টি। পূর্ণিমা রাতের চাঁদ গলে গলে বৃষ্টি পড়বে। আমারা দুজন স্নান করব সে জলে।
- পূর্ণিমা রাতে ব্রৃষ্টি!
- কেন নয় তুমি তো নাকি সব পারো।
- হুম আচ্ছা আর কি কি করতে হবে?
- এক কাপ কফি তুমি এক চুমুক আমি এক চুমুক আবার তুমি এক চুমুক আমি এক চুমুক।
- আর।
- আর তুমি তোমার খোপায় আবার পড়বে বেলীফুলের মালা। বৃষ্টির জলে ভিজবে তার সুবাস।
- আচ্ছা এই নাও।
- কি
- তোমার প্রবাল।
- এটা দিয়ে কি হবে?
- আস্তে আস্তে জানতে পারবে।
- প্রানময়ী একটা বর্ষার গান গাও।
- হ্যা সোনাবাবু চলো আমরা জলে ভিজি তোমাকে ডাকছে প্রৃথিবীর মানুষ। তোমাকে যেতে হবে।
- না আমি যাবো না আমি তোমার সাথে থাকব, আমি সারাজীবন এখানে থাকব আর জলে ভিজব।
- না সোনাবাবু তোমাকে যেতে হবে। পৃথিবীকে অনেক কিছু দেয়ার আছে তোমার।

চলবে
আগের অংশ পড়ুন
অস্তিত্বের অন্তরালে: ১ - ৩
অস্তিত্বের অন্তরালে: ১ - ৩ (বাকি অংশ)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×