এই ব্যাপারটাতে বোধহয় তসলিমা নাসরিনও কখনো আলোকপাত করেন নাই।
আচ্ছা এই নারী স্বাধীনতার যুগে পুরুষকে কেন দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে? বউ কি বাজারের পণ্য যে কিনা নিতে হবে? মোহরানার ব্যাপারটাও পণ্য ব্র্যান্ডিং এর মতই। পণ্যের যেমন ব্র্যান্ড যত ভালো দাম তত বেশি তেমনি মেয়েদের বেলায়ও পারিবারিক আভিজাত্য ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যত ভালো দেনমোহর ততবেশি। আর অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে প্রগতিবাদী মেয়েটাও এ ব্যাপারে কাঠ মোল্লা
তবে এই দেনমোহর এর barrier কে বাইপাস করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রেম করে পালায়ে বিয়ে করা। ব্যাপারটা অনেকটা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা আইফোনের মতই । অরিজিনাল প্রোডাক্ট কিন্তু ননওয়ারেন্টি। সাবধানে হ্যান্ডেল করতে হবে কারন এই প্রোডাক্ট এর ওয়ারেন্টি নাই ঝামেলা লাগলে কেউ দায় দায়িত্ব নিব না। যাইহোক, এইসব আগর-বাগর কথাবার্তা আমার মূল উদ্দেশ্য না আমর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মেয়েদের বুঝায় দেয়া যে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা দেনমোহর এর নামে তাদের আজন্ম পণ্য করে রেখেছে। অতএব, "জাগো গো ভগিনী"। এসো দেনমোহর কে না বলি।
তাইলে সিস্টেম টা কি হবে? সিস্টেমটা হতে পারে "ক্ষতি পূরণ চুক্তি" মানে "Deed of Indemnity". আর এই চুক্তির শর্ত হবে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যদি চুক্তির কোন পক্ষ সংসার করতে করতে হাঁপিয়ে উঠে তো Indemnity Money পরিশোধ করে সাংসারিক ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি নিতে পারে। আর এই আইন বলবৎ হলে ব্যাপারটা কতটা রোমান্টিক হবে ভাবছেন?
তখন বউরা সুর পাল্টিয়ে বলবে, শুধু Indemnity র টাকা দিতে পারবো না বলে তোমার সংসার করে যাচ্ছি। দাঁড়াও আর কয়দিন, চাকরির বেতনটা বাড়লে ঢিল মেরে টাকা কয়টা দিয়ে চলে যাব। নীকুচি করি এই সংসারের।
আর আপনি মুচকি হেসে বলবেন যাওনা কেন? গেলে তো কয়ডা টাকা পাই ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১