একচিলতে মিষ্টি রোদ
উঁকি দেয় জানালার কার্নিশে,
তোর উচাটন মন ছুটে যায়
চিলেকোঠাতে এক নিমিশে।
বিকেলের সোনা রোদে
টবের গাছে প্রজাপতি খেলা করে,
নগ্ন পায়ে ছুটিস তখন
বাতাসে ছন্দ জাগে নূপুরের ঝংকারে।
তোর দুষ্টুমিরা আস্কারাতে
ইচ্ছে গাছে ঢালে জল,
তোর মায়াবী চোখের কল্পনাতে
ভাবি বসে হয়ে যাই কাজল।
সন্ধ্যে নামার সময় যখন
বকের সারি ডানা মেলে ফিরে নীড়ে,
প্রদীপের আলোয় দেখতে তোকে
ঝুলে আমি জানালার ধারে।
উঠোনের কোণে জোনাক দেখে
উঠিস হেঁসে প্রাণটা খুলে,
দৃষ্টি আমার বন্দী তখন
তোর ডান গালের ছোট্ট টোলে।
ভাবনারা তোর রাতদুপুরে
ছবি আঁকে জলরঙের ক্যানভাসে,
মনটা আমার হাত ধরে তোর
ঘুড়ে বেড়ায় মেঘ মাদলের দেশে।
দোয়েলের শিসে চোখ মেলে তুই
সকাল দেখিস অবাক বিস্ময়ে,
জানালার পাশে মুগ্ধ আমি
দেখি তোকে ছায়ামেঘ হয়ে।
ভরদুপুরে স্নানটা সেরে
বসিস যখন বারান্দাতে চুলটা ছেড়ে,
চেনা গন্ধে মন ছুটে যায়
পুড়ি আমি ধুধু বালুচরে।
যত পিছুটান, মান অভিমান
এসেছিল যত ভাঙনের ঝড়,
সব ভুলে চল ডানা মেলে যাই
দূর পাহাড়ে বাঁধি কুঁড়েঘর।।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১