প্রধানমন্ত্রী কি এই বিশয়ে বিশেষজ্ঞ? উনি কি হিসাবে বলেন ভাড়া কত হওয়া উচিৎ ও ঠিক? জনগণ নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে প্রস্তুত উনি বলেছেন,এই “অতিরিক্ত” শব্দটা ভাড়ার আগে উনি কেন বসালেন? তার অর্থ ভাড়াটা যে অতিরিক্ত হয়ে গেছে এটা উনি স্বীকার করে নিলেন! কেন সাধারণ জনগণ অতিরিক্ত ভাড়া দেবে? অতিরিক্ত মানেই তো পরিষ্কার দুর্নীতি! প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং কি ভাবে এই বে আইনি কথা প্রকাশ্য জন সম্মুখে বোলতে পারেন!
উনি নিশ্চয়ই এলিট শ্রেণীর প্রধানমন্ত্রী পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করছেন, যারা কি না উনার ভাষায় “‘প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ৮৫ টাকা নির্ধারণ, সবার জন্য সুবিধাজনক হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে প্রস্তুত”। এই জনগণ কারা? যে দুই কিলমিটার ভাড়া ৮৫ টাকা দিতে পারবে, সেতো ব্যাক্তিগত গাড়ি ব্যাবহার করার ক্ষমতা রাখে।
পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার চার্জ ৩৪ টাকা, ওয়েটিং চার্জ ৮ টাকা/ ২ মিনিট! এই যদি হয় তবে এয়ারপোর্ট যেতে ৭০০-৮০০ টাকা! মতিঝিল যেতে ৪০০-৫০০ টাকা! আর ভাবতে পারছি না............... এই টেক্সি কেবের যাত্রী হবে ছিনতাইকারী, অসহায় রুগী আর দূরদূরান্ত থেকে ঢাকা ফেরত অসহায় যাত্রীরা। এই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ এলিট শ্রেণীর না হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস উদ্বোধন করতে হয়?
এই রকম প্রধানমন্ত্রী তো সাধারণ জনগণের হতে পারে না। তাহলে আমাদের মতো সাধারণ জনগণের প্রধানমন্ত্রী কি দুরাশা?