কুরবানি না দিয়ে সে টাকা বানভাসি মানুষের সাহায্যে দিন। যারা এই কথা বলছেন বানভাসি মানুষের জন্য তাদের ভালবাসা নিয়ে সন্দেহ করার কোন সুযোগ নেই।
ইসলামি লিটারেচারে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার ব্যাপারে অনেক বেশি বর্ণনা করা হয়েছে। কুরঅান, হাদিস এবং বিভিন্ন ইসলামি স্কলারদের লেখায়। অনেক শাস্তির সাজা হল দান করা। জাফর (রাঃ) নাজশিকে ইসলামের বিধান কেমন তার ধারনা দিতে অল্প কয়েকটা উল্লেখ করেন; তার মধ্যে একটা ছিল অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করা। তখন নামাজ, রোজা ফরজ হয়নি, জিহাদ সংক্রান্ত কোন রকম বিধানই নাযিল হয়নি। একই সাথে ইসলাম অনুযায়ী মানুষ হল আল্লাহের খলিফা- প্রতিনিধি। অর্থাৎ ক্ষমতা এবং অর্থ সবকিছুর মালিক আল্লাহ। আল্লাহের প্রতিনিধি হিসেবে তা আপনার-আমার কাছে আছে কিছু সময়ের জন্য। যতটুকুই থাক তা খরচ করতে হবে আল্লাহের পছন্দ অনুসারে। এটাই ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি।
কুরবানি সব মুসলিমের জন্য ওয়াজিব নয়। পরিবার ভরণপোষণ করার পর, ঋণ থাকলে তা বিয়োগ করে, জিলহজ্জ্ব মাসে ৭.৫ ভরি সোনা বা ৫২.৫ তোলা রুপা বা সমপরিমাণ নগদ অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব। মানে কুরবানি যে দেয় সে ইতিমধ্যে একজন সচ্ছল ব্যক্তি।
কিন্তু অভাবগ্রস্তকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে নূনতম সামর্থ্য থাকলেই।
কুরবানির পশুর চামড়ার অর্থ দান করা হয়। কুরবানির মাংসের ৩ ভাগের ২ ভাগ বেলানো হয়। কুরবানি মানু্ষকে ত্যাগের শিক্ষাই দেয়।
কুরবানি আল্লাহতালার নির্ধারিত বিধান। তাই কুরবানি না দিয়ে সে অর্থ সাহায্য দিয়ে মানবতা দেখানো এটা কোন ভাবেই মুসলিম মনের আবেগ হতে পারে না। একটা কথা যোগ করা যায়, ঈদে শপিং ঠিকই করবেন, পিজ্জা হার্টে গিয়ে ১৫০০ টাকায় পিজ্জা ঠিকই খাবেন, উইকেন্ডে ব্লক বাস্টারে মুভি-পার্টি সবই চলবে। এছাড়া দেশে সাবেক #১ পর্ন স্টার আসছে; তাকে দেখতে যাওয়ার টিকেটের দাম সবচেয়ে কমটা ১৫০০০। সেটাও চলবে; শুধু কুরবানি দেবেন না
যাদের ব্যক্তিগত জীবনে বা চিন্তায় ধর্মের কোন গুরুত্ব নেই; যারা সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে নাস্তিক্যবাদী চিন্তা লালন করে তারাই এইসব কথা প্রচার করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭