আকবরের থিংক ট্যাংকরা সব ধর্ম এক করে দ্বীন ই ইলাহি নামে একটি অভিনব দর্শন তৈরি করে। দ্বীন ই ইলাহির প্রভাব আরও দৃঢ় করতে ইসলামি হিজরি ক্যালেন্ডার সরানোর চিন্তা করেন। সেই চিন্তাধারা থেকে আকবরের আদেশে তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করেন। এই ক্যালেন্ডার বানানোর ক্ষেত্রেও ফতেহউল্লাহ সিরাজি দীন ই ইলাহির কৌশল অনুসরণ করেন। ক্যালেন্ডারের প্রথম বছর করা হয় হযরত মুহাম্মাদ সা: মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের বছর অর্থাৎ হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে। আর মাস গুলার নাম নেওয়া হয় হিন্দু মিথলজি থেকে [https://goo.gl/pt8s94] । ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে মানে ৪৩২ বছর আগে এই ক্যালেন্ডারের সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই ক্যালেন্ডারের নাম ছিল তারিখ-ই-ইলাহী [https://goo.gl/VPEY0B] পরে এই তারিখ-ই-ইলাহী বঙ্গাব্দ বা আরো পরে বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত পায়।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সরকার এই ক্যালেন্ডারের সংস্কার করে। তাই এখন কোলকাতাতে যে বাংলা ক্যালেন্ডার চালু আছে এবং আমাদের দেশে যে বাংলা ক্যালেন্ডার আছে তা এক নয়। অর্থাৎ আমাদের এই ক্যালেন্ডার শুধু নামই বাংলা, এর কৃতিত্ব মোঘল এবং কিছুটা পাকিস্তানি প্রশাসনের।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০১