মনে আছে, যখন আমরা ছোট ছিলাম মনে কতশত প্রশ্নের মেলা বসত? এটা এমন কেন? ওটা ওমন কেন? মা, বাবা, দাদা দাদী, চাচা ফুপু সবাইকে একটার পর একটা প্রশ্ন অনবরত করেই যেতাম। অনেক সময় তারা ভীষন বিরক্ত হতেন। তখন মনে হতো হয়ত এসব প্রশ্নের কোন উত্তরই নেই। ভীষন বোকা বলেই এমন প্রশ্ন আমার মাথায় এসেছে, অথবা মনে কৌতুহল রাখা একটা অপরাধ! সবার বিরক্তিতে মনের কৌতুহলগুলোকে মনেই চেপে রাখা শিখে যেতাম।
ধমক দিয়ে বাচ্চাকে চুপ করিয়ে তার মনের কৌতুহলের জগৎটাকে ভীতির জগতে পরিণত করা একধরণের অপরাধই বটে। হ্যাঁ, জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, আলোচনার মধ্যে ছোটদের ননস্টপ প্রশ্নগুলো বিরক্তিকর মনে হতেই পারে। কিন্তু সেগুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে তাদের কৌতুহলী মনকে আশকারা দিতে হবে। কেননা বড়দের একটু ধৈর্য্য ছোটদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
অনেক সময় বড়রা ধমক না দিয়ে প্রশ্নগুলোকে মজা হিসেবে নিয়ে, না জেনে ভুলভাল কথা বলে দিতেন। বিদ্রুপের সুরে দেওয়া সেসব উত্তরকে অনেকদিন পর্যন্ত বিশ্বাস করে যেতাম বোকার মতো। শিশুমনে ভুল তথ্য গেঁথে দেওয়াও মারাত্মক একটা ভুল। ছোটদের কাছে "আমি জানি না" বলা কোন লজ্জ্বার কিছু নয়। যা জানেন না তা সঠিক জেনে জানিয়ে দিন তাকে। এতে করে বাচ্চাটির সাথে সাথে আপনারও জ্ঞান বাড়বে।
ছোটদের মনের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর জানাতে হাজির হলাম তাই। শুধু বাচ্চাদের জন্যেই নয়, নিজের মনের লম্বা সময়ের কৌতুহল গুলোকেও নিবারণ করতে পারেন পোষ্টটি পড়ে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১) আকাশের রং নীল কেন হয়?
সূর্যরশ্মি রংধনুর সাতটি রং এ তৈরি। রংগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। বায়ুমন্ডলীয় নানা গ্যাস ও পরমাণুর দরুণ রশ্মিগুলো চারিদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে পরে। অন্যান্য সব রং কে আমরা দেখতে পারিনা, শুধু নীল রংটাই আমাদের চোখে পরে।
কেন? কেননা নীল রংটির ওয়েভলেন্থ তুলনামূলকভাবে ছোট হয় এবং অন্যান্য রং এর চেয়ে সহজে ভ্রমণ করতে পারে। সেজন্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে। প্রশ্ন হতে পারে বেগুনী রং ও তো ছোট ওয়েভলেন্থের অধিকারি, তবে কেন আকাশ বেগুনী নয়? কেননা মানুষের চোখ বেগুনী রং কে সহজভাবে ধারণ করতে পারেনা! এজন্যে মানুষ আকাশকে বেশিরভাগ সময়ে নীল দেখে।
আবার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ে সূর্যরশ্মিকে লম্বা সময় ভ্রমন করে মানুষের চোখের সামনে আসতে হয়। লাল ও কমলা রং এর ওয়েভলেন্থ সবচেয়ে লম্বা হয়, সেকারনে তাদের জন্যে বায়ুমন্ডলীয় গ্যাস পার করে বিক্ষিপ্ত হওয়া সবচেয়ে কঠিন। দীর্ঘ ভ্রমন সময় পার করে আসতে আসতে সহজে বিক্ষিপ্ত হওয়া নীল রং পেছনে ছুটে যায় এবং শেষ পর্যন্ত লাল ও কমলা রং পড়ে থাকে। তাই সেসময়ে আমরা আকাশকে লাল ও কমলা রং এ দেখি।
রাতের বেলায় পৃথিবীর একটি অংশ সূর্যের অন্যদিকে মুখ করে থাকে। সূর্যের মতো কোন উজ্জল আলোর উৎস উপস্থিত না থাকায় কোন রং বিক্ষিপ্ত হতে পারে না। সেসময়ে পৃথিবীর সে অংশটিতে রাতের আঁধার নেমে আসে, আকাশকে দেখায় কালো।
চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল থাকেনা, সেজন্যে চাঁদ থেকে আকাশকে সবসময়ই কালো দেখায়!
তবে এটা বলাই যায় যে আকাশ আসলে কোন একটি বিশেষ রং এর হয়না। নানা বর্ণের আকাশকে আমরা আমাদের দৃষ্টি ক্ষমতা অনুযায়ী দেখতে পাই! আকাশ একধরণের প্রাকৃতিক ইল্যুশনই বটে!
সহজ ভাষায়, রং এর নিজস্ব চরিত্র এবং মানুষের দৃষ্টিশক্তির ধারণক্ষমতা আকাশের রং কে নির্ধারণ করে দেয়।
২) চাঁদ মামার গায়ে কালো দাগ কেন থাকে?
চাঁদের কালো দাগগুলোকে নিয়ে নানা উদ্ভট কথাই বলা হয়। এটা নাকি চাঁদের কলংক! বাচ্চাদের চাঁদের বুড়ির নানা ধরণের গল্প শোনানো হয়। আমাদের পুরো ছোটবেলাটাই কেটে যায় বহুদূরের চাঁদকে ভীষন আপন মামা ভেবে! হাহা। কিন্তু সাহিত্য, ছড়ার আড়ালে নানা বিজ্ঞান লুকিয়ে আছে যা হয়ত আমরা জানিই না!
৪.৫ বিলিয়ন বছর বয়সের চাঁদকে হাজার হাজার বার নানা ভাবে আঘাত পেতে হয়েছে। যেহেতু চাঁদে বাতাসের অস্তিত্ব নেই, মহাশূন্য থেকে অনেক উল্কাপিন্ড অথবা মহাজাগতিক পাথর চাঁদের সাথে সহজেই সংঘর্ষিত হয়। আর দাগগুলো তৈরি হয়।
চাঁদের সেই দাগগুলোকে ক্রেটারস বা গর্ত বলা হয়। সূর্যের আলো সেসব গর্ত ভেদ করতে পারেনা। তাই আমরা যখন চাঁদের দিকে তাকাই, কালো দাগগুলো সহজেই চোখে পরে।
৩) পাখিরা ওড়ে কি করে? আমরা কেন উড়তে পারিনা? নাকি পারি?
ছোটকালে, ইভেন এখনো লোভী চোখে উড়ন্ত, মুক্ত পাখিদের দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে হয় তাদের মতো ডানা মেলে যদি উড়ে যেতে পারতাম! আমি বেশি কৌতুহলী ছিলাম না, তাই মেনে নিয়েছিলাম মানুষেরা উড়তে পারেনা। অনেক বাচ্চা তো আসলেই ওড়ার চেষ্টা করে। নানা ধরণের মুভির অতিমানবদের দেখে তাদের মনে ধারণা হয় যে একটু চেষ্টা করলেই ওড়া সম্ভব। কত ভয়াবহ দূর্ঘটনাও হয় এসব কারণে। বাচ্চাদেরকে মানবজাতির সীমাবদ্ধতা এবং শক্তির জায়গাগুলো বোঝানো দরকার এজন্যেই।
পাখিদের পাখা এবং পালক থাকে। হাত ও বুকের শক্তিশালী মাংসপেশীর সাহায্যে পাখিরা নিজেদের পাখা ঝাপটায় এবং ওড়ে। পাখিদের হাড়গুলো চিকন এবং শরীরের হালকা ওজনের কারণে তারা বেশি শক্তি ব্যায় না করে সহজেই উড়তে পারে। পাখিরা লেজ ব্যবহার করে দিক পরিবর্তন করে এবং থামার জন্যে পা গুলোকে প্রসারিত করে দেয়।
কখনো খেয়াল করেছেন প্লেন এবং পাখিদের শেইপ একই রকম? সামনের দিকটা চিকন, মাঝের দিকটা প্রশস্ত! পাখিদের ওড়ার টেকনিক প্লেইন আবিষ্কারে স্বাভাবিক ভাবেই ভূমিকা রেখেছিল। এজন্যেই মানুষেরা অসাধারণ। মানুষ যেসব ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়না, সেগুলোকে পর্যন্ত বুদ্ধির জোরে আয়ত্ত করতে পারে!
৪) মন খারাপ হলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?
ছোট থাকার সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে গলা ছেড়ে যেকারো সামনে যেকোন পরিস্থিতিতে কাঁদা যায়। বড় হলে অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখতে হয়। হাসি কান্না পরিস্থিতি অনুযায়ী গিলে ফেলতে হয়। বাচ্চারা জেনে না জেনে কান্নাকে ব্যবহার করে বড়দের সাথে কমিউনিকেট করার জন্যে। তারাও কোনভাবে জানে চিল্লিয়ে জেদ করলে, কাঁদলে বড়রা তাদের আব্দার মেনে নেবে। এটা শিশুর সরল মন ইচ্ছে করে বড়দের বিরক্ত করার জন্যে করেনা। যেহেতু তারা নিজেদের ইচ্ছেগুলোকে পূরণ করতে পারেনা, সেহেতু কেঁদে বড়দেরকে নিজেদের প্রয়োজন ও গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করে। কৌতুহলী বাচ্চাদের মনে এই প্রশ্ন আসতেই পারে যে এই চোখের পানির উৎস আসলে কি?
চোখের পানি নানা ধরণের হয়।
বেসাল টিয়ার্স বা মৌলিক অশ্রু: মানুষের দুচোখেরই আইবলের ওপরে বাম দিকে একটি করে অশ্রুগ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থি থেকে যে অশ্রু তৈরী হয় সেটাই মৌলিক অশ্রু। সবসময় অশ্রু উৎপন্ন হয়েই যাচ্ছে অশ্রুগ্রন্থি দিয়ে। দিনে ৫-১০ আউন্স মৌলিক অশ্রু উৎপন্ন করে মানুষ। এত অশ্রু কোথায় যায়? চোখের নিচের কোনার ডান দিকে ল্যাক্রিমাল পাংক্টা অবস্থিত থাকে যা এই অশ্রুগুলোকে কালেক্ট করে এবং নাসারন্ধ্র দিয়ে অপসারিত করে। এই প্রক্রিয়া অনবরত চলতে থাকে আর এজন্যই চোখ কখনও শুকিয়ে যায় না।
মৌলিক অশ্রু চোখে পুষ্টি সরবরাহ করে, নানা জীবানুর থেকে রক্ষা করে। সারাদিন আপনার চোখকে সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকলেও আপনি টেরই পাননা এই অশ্রুর উপস্থিতি!
রিফ্লেক্স টিয়ার্স প্রতিরোধী অশ্রু: আরেক ধরণের অশ্রু। চোখে কোন কারণে বিষাক্ত গ্যাস প্রবেশ করলে বা কোন কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে, চোখ জ্বালা শুরু করে এবং অশ্রুগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে। যার কারণেই রিফ্লেক্স টিয়ার্স তৈরি হয়। এই অশ্রুও জীবাণু থেকে চোখকে বাঁচিয়ে রাখে।
ইমোশনাল টিয়ারস বা আবেগ অশ্রু: সবার সবচেয়ে পরিচিত কান্না। মানুষ যখন ইচ্ছে কাঁদতে পারেনা কেননা এর সাথে তীব্র আবেগ সম্পর্কিত। হাইপোথ্যালামাস এবং বেসাল গ্যাংলিয়া হলো মানব মস্তিষ্কের এমন অংশ যা আবেগের সাথে জড়িত। এগুলো অশ্রুগ্রন্থির সাথে যুক্ত থাকে এবং আবেগের তীব্রতা কমানোর জন্যে মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাঠায়। তখন চোখ দিয়ে পানি পড়ে! আবেগ অশ্রুর সাথে স্ট্রেস হরমোন এবং নানা রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মানুষের মনের তীব্র আবেগকে প্রশমিত করে তাকে স্বস্তি দেয়।
সহজ ভাষায়, মানুষের আবেগ এবং চোখের অশ্রু উৎপাদনের অংগ কানেক্টেড। তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে অশ্রু উৎপন্ন করে। আবেগের কারণে কাঁদলে মানুষ মানসিক ভাবে শান্তি বোধ করে।
৫) আমি কেন রাত জাগতে পারব না? আমি কেন একা বাইরে যেতে পারব না? তোমরা যা করতে পার আমি কেন পারব না?
স্বাভাবিকভাবেই হাজারটা এমন নিয়ম আছে যা ছোটদের জন্যে প্রযোজ্য, বড়দের জন্যে নয়। এজন্যে ছোটদের সবসময় মনে হয় যে বড়রা তাদেরকে বন্দি করে রাখছে। তাদেরকে বুঝতে চাচ্ছে না। তাদের ভাবনাগুলোকে মূল্য দিচ্ছে না। এসব ভেবে তারা বড়দের কাছে উপরোক্ত প্রশ্নগুলো করে। আমাদের দেশে বাচ্চাদের ধমক দিয়ে, ইভেন গায়ে হাত তুলে মানুষ করার, আদেশ উপদেশ মানানোর বাজে রীতি প্রচলিত রয়েছে। এসব কখনোই শিশুর কল্যাণ বয়ে আনেনা।
তারা মুখ বুজে মনে জেদ নিয়ে কদিন নিয়ম গুলো মানবে, কিন্তু একদিন তাদের স্বাধীন সত্ত্বা বিদ্রোহ করবেই। যদি বাচ্চাদের প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া হয়, কোন নিয়ম কেন মানতে হয় তা ঠিকভাবে বোঝানো না হয় তবে তারা নিজেরা উত্তর বানিয়ে ফেলবে, আর সেটা খুব ভয়ংকর কিছু হতে পারে। বাচ্চারা জেদী, অবাধ্য হয়ে যেতে পারে। বড়দের কোন কথাই শুনতে চাইবেনা তখন। একটা গ্যাপ তৈরি হবে বড়দের আর ছোটদের মধ্যে। বড়দের কাছ থেকে সদউত্তর না পেলে বাচ্চারা বড়দের কথাগুলোকে ভুল মনে করবে এবং তাদের লুকিয়ে অনেক কাজ করতে থাকবে।
বাচ্চাদেরকে মনের বিরুদ্ধে মেরে ধরে কিছু করানো যাবে না। তাদের চাইল্ডহুড এবং এডাল্টহুডের পার্থক্য ঠান্ডা মাথায় বোঝাতে হবে। মানব জীবনের নানা বয়সে একেক ধরণের স্বাধীনতা ও একেক ধরণের দায়িত্ব থাকে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সুন্দর। বাচ্চাদেরকে বোঝানো যেতে পারে যে তারা সারাদিন ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি করছে। স্কুলে গিয়ে নতুন নতুন জিনিস শিখছে। বড়দের তুলনায় তাদের জীবনযাত্রা আরো দ্রুতগতির তাই তাদের জন্যে নিয়মে খাওয়া ও ঘুম আরো বেশি জরুরি। আর ছোটদের জন্যে হলেও বড়দেরও ডিসিপ্লিনড জীবন জরুরি। যা দেখবে তাই তো শিখবে।
আজকালকার ব্যস্ত জীবনে বড়রা শিশুদেরকে সময় দিতে পারছেন না। অফিস বা সংসারের কাজ সামলে, রাতের বেলায় অনেকে টিভিতে পছন্দসয়ী অনুষ্ঠান দেখতে পছন্দ করেন। বাচ্চাটি হয়ত সারাদিন একা একাই খেলছে, পড়ছে। এটা স্বাস্থ্যকর নয়। শিশুদের সাথে সময় কাটাতে হবে বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে। তাদের সাথে খেলতে হবে, তাদের কথা মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। গল্পের ছলে জীবনের নানা গভীর দর্শন তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে।
বাড়ির ছোট বড় সবাইকে মিলে পারিবারিক নিয়মাবলি ঠিক করা একটা ভালো উদ্যোগ হতে পারে। যেমন একটা নির্দিষ্ট সময়ে সবাই ডিনার করবে, ঘুমাবে, টিভি দেখবে ইত্যাদি। তখন বাচ্চারা সেটাকেই স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবে মেনে নেবে। ছোটবেলা থেকে ভালো অভ্যাসগুলো তৈরি করা গেলে একটু বড় হলে বাচ্চারা কথায় কথায় জেদ দেখাবে না। বাচ্চারা কাদামাটির মতো, যে শেইপে তাদের গড়ার চেষ্টা করা হবে, তারা তেমন আকৃতিরই হবে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি জানি যে মাত্র পাঁচটি প্রশ্ন বাচ্চাদের মনের বিশাল কৌতুহলী জগতের তৃষ্ণা মেটাতে পারবেনা। এজন্যে আমি সিরিজটি কন্টিনিউ করব, এমন আরো অনেক প্রশ্ন নিয়ে।
যারা ভাবছেন এসব কঠিন বিজ্ঞান ও দর্শন কথা বাচ্চারা বুঝবে না, তাদের আগেভাগেই বলে রাখছি, বাচ্চাদের ধারণ ক্ষমতা অন্তহীন। বড় হবার পরে আমরা বাচ্চাদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করি। ভাবি ওরা কিছু বুঝবে না, তার চেয়ে ধমক দেওয়াই বেটার। কিন্তু শিশুকালেই ব্রেইন সবচেয়ে শার্প থাকে, স্ট্যামিনা, এনার্জি, দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তি বেশি থাকে। আস্তে আস্তে বয়স বাড়তে বাড়তে তা ক্ষয়ে যেতে থাকে। বিশেষ করে প্রযুক্তির যুগে বাচ্চারা নিজের বয়সের তুলনায় বেশি জানছে, বুঝছে। তাই তাদের সাথে মুক্তভাবে আলোচনা করুন। তাদেরকে উৎসাহ দিন, নিজেও কিছু শিখতে পারবেন। আর একবারে না বুঝলে সহজ ভাষায় আবারো বোঝান। তারা বুঝবে, হয়ত আপনার আমার চেয়েও বেশি গভীরভাবে!
তথ্য ও ছবি সূত্র: অন্তর্জাল!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৫