সব ছেলেকেই বলতে শুনি নারী জাতিকে বোঝা বড় দায়! তাদের দুনিয়া নাকি জান্নাত হয়ে যেত মেয়েদেরকে বুঝতে পারলে। মেয়েদের কিছু কিছু স্বভাব রহস্যময়ী বটে। কিছু অদ্ভুত আচরন যার কোন মানে অনেক ছেলেই করতে পারেন না। ছেলেরা মেয়েদের মন, স্বভাব, আচরণ ব্যাখ্যা করে নানা বাণী দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসল ব্যাখ্যার চেয়ে তারা কয়েকশ মাইল দূরে থাকে! তাই একজন মেয়ে হয়ে আমিই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলাম আমার প্রিয় ব্লগীয় দোস্ত, ভাই দের প্রতি।
ইউ আর ওয়েলকাম গাইজ!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রহস্য নাম্বার ১: কেন মেয়েরা যা বোঝাতে চায় তার উল্টোটা বলে?
এটা তো সবাই জানে যে একটা মেয়ে যদি বলে, "আমি রাগ করিনি, ইটস ওকে", মানে সে ভেতরে ভেতরে রাগে সেদ্ধ হচ্ছে! অভিমানের পাহাড় জমাচ্ছে। যদি সে বলে, "আমার মন খারাপ না, আমি ঠিক আছি, তুমি তোমার কাজে যাও!" মানে সে ভীষনভাবে চাচ্ছে আপনি তার পাশে হাত ধরে চুপচাপ বসে থাকুন, এক পাও দূরে না যান। যদি সে বলে, "ঠিক আছে, তোমার যা ইচ্ছে তাই করো!" তার মানে আবারো একই ভুল করবে, তারপরে আমাকে শুধরাতে হবে? পেয়েছটা কি? যদি সে বলে "আমি তোমাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্যে চলে গেলাম, আর আটকে লাভ হবেনা!" মানে হচ্ছে, সত্যিই কি আটকাবে না? চলে যেতে দেবে এত সহজে? এই ভালোবাসো? একবার হাতটা টেনে ধরো প্লিজ!
ছেলেদের ব্যাখ্যা: ১) ছেলেদের পাজল করে মেয়েরা আনন্দ পায়। ২) মেয়েরা জানেই না তারা কি চায়! ৩) মেয়েরা চায় ছেলেরা তাদের না বলা কথাও বুঝে যাক। কিন্তু কিভাবে?
প্রথম ব্যাখ্যাটি ভুল, মেয়েরা মনের আনন্দে এসব করেনা। আর বেশিরভাগ মেয়ে জানে নিজেদেরকে। তৃতীয় কথাটি ঠিকই বলা চলে। তবে আরো কারণ রয়েছে।
আসল ব্যাখ্যা: মেয়েরা সবসময় নিজেদের ওপরে বেশি চাপ নেয়। তারা চায় সবকিছু পারফেক্টলি করতে। পারফেক্ট বউ, মা, বোন, মেয়ে হতে। কেননা ছোটবেলা থেকে একটা মেয়েকে শেখানো হয়, "তুমি মেয়ে, তোমাকে বেশি মানিয়ে নিতে হবে! কোন কারণে যদি সংসার না টেকে তবে দোষ সব তোমার!" এজন্যে যখন কোন কারণে তার মন খারাপ হয়, সে সর্বাত্মক চেষ্টা করে নিজেকে বোঝাতে। অভিমান লুকিয়ে সংসার, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। একদিকে সমাজ, পরিবারের সকল শিক্ষা এবং অন্যদিকে নিজের আত্ম অভিমান, একদিকে নারী সত্তা, অন্যদিকে মানুষ সত্তার মধ্যে পিষে যায়। অনেককিছু চলতে থাকে তার মনে। যখন নারীটি দেখে যার কথা ভেবে প্রতিটি অপ্রাপ্তিকে লুকানোর চেষ্টা করেছে, সে খেয়ালও করে তাকায়নি তার ভেজা চোখের দিকে, তখন অভিমানে ফেটে পরে। এভাবেই একধরণের বিপরীতমুখী রহস্যময়ী স্বভাবের সৃষ্টি হয় যা অনেকসময় ছেলেদেরকে কনফিউজড ও বিরক্ত করে।
দ্বিতীয় বড় কারণ হচ্ছে মেয়েরা ছেলেদের কমিটমেন্ট লেভেল পরীক্ষা করে। একটা ছেলে যদি সহজেই হাল ছেড়ে দেয়, মেয়েটির পরোক্ষ কথাগুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা না করে তবে মেয়েটি বুঝে যায় ছেলেটি তাকে নিয়ে খুব একটা সিরিয়াস না। মেয়েটির সকল আবেগ অনুভূতি তার কাছে মূল্যবান না! ছেলেটি নিজের স্বস্তিতে থাকতে চায়, মেয়েটিকে শান্তিতে রাখার তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ না!
পুরুষের করণীয়: আপনি কখনো শুধু চা পাতা খেয়েছেন? না খাননি। চা পাতার সাথে গরম পানি, চিনি, দুধ, মিশিয়ে তবেই তো খান! মেয়েদের কথাগুলোও এমনই! সেগুলোকে লিটারেলি নেবেন না দয়া করে। তাদের চোখের ভাষা, গলার স্বরের সাথে মিশিয়ে কথাগুলোকে বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আমাকে যেতে দাও বলার সময়ে তার চোখ ছলছলে থাকে তার মানে অবশ্যই সে কষ্ট পাচ্ছে, চায়না আপনাকে ছাড়তে। যদি উচ্চ শব্দে বলে যে যা ইচ্ছে করে বেড়াও মানে সে খুশি না আপনার কাজে। তখন সে কি বলতে চাইছে তা বোঝার চেষ্টা করুন অথবা নিজের অবস্থান তাকে ঠিকভাবে বোঝান।
তার না বলা অনুভূতিগুলোকে "তুমিই তো বলেছিলে" বা "তুমি তো কোন অভিযোগ করোনি" বলে উপেক্ষা করবেন না। একজন নারীর কথা শব্দের চেয়ে বেশি তার চোখে প্রকাশ পায়। আপনি তার চোখের ভাষার চেয়ে শব্দের ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেবেন। তা নাহলে সে তিলে তিলে নিজের ভেতরে অভিমান জমিয়ে এত দূরে সরে যাবে যে চাইলেও আর আগের অবস্থায় ফিরতে পারবেন না! মনে রাখুন, নারীর মনের রাস্তার কোন শর্টকাট নেই!
রহস্য ২: মেয়েরা কেন খারাপ ছেলেদেরকে পছন্দ করে?
ভালো ছেলেদেরকে দিকে মেয়েরা ফিরেও তাকায় না। আর খারাপ ছেলেদের দিকে নিজেরাই ছুটে যায়! তারপরে যখন বিপদে পরে পুরুষজাতিকে গালাগালি করে! আরেহ ছেলেরা যাবে তো যাবে কোথায়?
ছেলেদের ব্যাখ্যা: মেয়েরা টাকা, বাইক আর স্মার্টনেসের পেছনে ঘোরে। ভালো ছেলেদের সরল ভালোবাসায় তাদের মন ভরে না।
মেয়ে বলে পক্ষপাতিত্ব করে মিথ্যে বলব না। অনেক মেয়ে আছে যারা আসলেই ভীষন লোভী, কোন নীতি নৈতিকতা নেই। ছেলেদের আবেগ নিয়ে খেলে। কিন্তু সব মেয়েকে এক পাল্লায় মাপাটা অন্যায়। ছেলেদের মধ্যে ভালো খারাপ যেমন থাকে, মেয়েদের মধ্যেও তো থাকে, নয়?
আসল ব্যাখ্যা: মুদ্রার অন্যপিঠের ব্যাখ্যা হচ্ছে কয়টা ভালো ছেলে মেয়েদেরকে এপ্রোচ করে? তারা তো তাদের পড়াশোনা অথবা খেলাধূলাকেই প্রেমিকা বানিয়ে রেখে দেয়। কোন মেয়ে যদি ইশারায় মনের কথা বোঝাতে চায়, তারা বোঝেইনা! আবার কোন ভালো ছেলে যদি একটি মেয়েকে প্রপোজ করেই ফেলে তবে একবার না শোনার পরে লজ্জায় আর ফিরে আসেনা। অন্যদিকে একটা খারাপ ছেলে মেয়েটির "না" কে পাত্তা না দিয়ে চেষ্টা করেই যায়।
তো আপনি মেয়েটির জায়গায় থাকলে কি করতেন? তাকে পছন্দ করতেন যে আপনাকে পাবার কোন চেষ্টাই করেনি? নাকি তাকে যে প্রায় সব ধরণের পাগলামি করেই যাচ্ছে? মেয়েটি তো জানেই না যে ছেলেটি খারাপ এবং এমন কথা হাজারটি মেয়েকে বলে ফেলেছে! মেয়েরা খারাপ ছেলেদের নয়, খারাপ ছেলেদের অভিনয়কৃত পারফেক্ট, ভালো ছেলেকে পছন্দ করে।
এক মহাপুরুষের কবিতা ব্যবহার করে মেয়েদের মনকে বোঝানোর চেষ্টা করি।
রবীঠাকুর তার "সাধারণ মেয়ে" কবিতায় একজন হৃদয়ভাঙ্গা মেয়ের মনের কথা লিখেছেন,
"সে বলেছিল কেউ তার
চোখে পড়ে নি আমার মতো।
এতবড়ো কথাটা বিশ্বাস করব যে সাহস হয় না,
না করব যে এমন জোর কই।"
এটাই হচ্ছে আসল কথা! মেয়েটির মনে কোথাও একটা ভীতি, সন্দেহ থাকলেও সে শক্তি বা জোর করতে পারেনা ছেলেটির সুন্দর সব প্রেমময় শব্দমালাকে অবিশ্বাস করতে। এজন্যে মেয়েরা খারাপ ছেলেকে মন দিয়ে ধোঁকা খায়!
দ্বিতীয়ত কখনো কখনো মেয়েরা জেনেবুঝে খারাপ ছেলেদেরকে ভালোবাসে। কেন?একজন নারী নয় মাসে মা হয়না। মা হবার মতো এত বড় একটা প্রক্রিয়া হুট করে হয়না। মেয়েদের জিনে ছোট থেকেই মাসুলভ ব্যাপার থাকে। খেয়াল করে দেখবেন, আপনার মা ছাড়াও, বান্ধবী, বোন, প্রেমিকা আপনার সাথে কেমন যেন একটা মাসুলভ আচরণ করে! অগোছালো আপনাকে নানা উপদেশ দেয় গোছালো হবার! মেয়েদের এই মাসুলভ ব্যাপারটি তাদেরকে উৎসাহিত করে অগোছালো খারাপ একটা ছেলেকে ভালো পথে আনার। এটি একটি মহৎ গুণ। সফল হলে মেয়েরা স্বর্গ পায়, অসফল হলে কষ্ট!
করণীয়: ভালো ছেলেরা: ভালো হওয়া মানে আনস্মার্ট, বোকা বোকা বা স্বল্প আত্মবিশ্বাস থাকা নয়। একটি মেয়ে খারাপ ছেলেদেরকে তাদের পাগলামিপূর্ণ রোমান্টিক স্বভাবের কারণে পছন্দ করে, তাদের চরিত্র খারাপ হবার জন্যে নয়। একটি খারাপ ছেলে যা বানিয়ে বলে, একজন ভালো ছেলে তাই মন থেকে অনুভব করে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না। ব্যাস একটু চেষ্টা করুন মেয়েটির মন কি চায় তা বোঝার। এক নাম্বার রহস্যে ফেরত যান। তার চোখের ভাষা পড়ুন! নিজের কথা ও কাজে তার মন এবং মান রাখুন। তখন বুঝবেন আপনার ভালো হওয়াটা আসল সমস্যা ছিলইনা! সমস্যা ছিল আপনি মেয়েটিকে ঠিকমতো বোঝাতেই পারেননি সে আপনার জন্যে কি! তো ভালো ছেলেদের মেয়েরা পছন্দ করে না এমন ভ্রান্তিতে না থেকে আসল সমস্যার দিকে নজর দিন।
খারাপ ছেলেরা: কোন মেয়ে যদি আপনার সব খারাপ স্বভাব জেনে আপনাকে ভালোবাসে তবে দয়া করে তার ভালোবাসাকে সম্মান দিন। তার কোন ক্ষতি করবেন না, তাকে ঠকাবেন না। তাহলে আপনি নিজেই বিশালভাবে ঠকবেন।
রহস্য নাম্বার ৩ : আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? না সত্যি করে বলো, বাজে দেখাচ্ছে, তাই না?
"আমাকে কেমন লাগছে?" মেয়েদের একটি কমন প্রশ্ন। আপনি ভালো বলার পরেও সে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকবে। যেমন তাকে মোটা লাগছে কিনা, ত্বক প্রাণহীন লাগছে কিনা ইত্যাদি। আপনি যদি ভুল করেও বলে ফেলেন যে হ্যাঁ একটু মোটা লাগছে, তবে কাজ সেরেছে! সে অভিমান করে বসবে। আপনি তাকে আগের মতো আকর্ষনীয় মনে করেন না সেটা ভেবে অভিমানে কষ্ট পাবে।
এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে একবার ভালো বলার পরেও কেন সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করে বিরক্ত করছে? আর যদি জানতে চায়ই, তবে কেন সত্যি শুনে গাল ফোলাচ্ছে?
ছেলেদের ব্যাখ্যা: মেয়েরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে।
কাইন্ডা ট্রু, কিন্তু আরো বড় ও আসল কারণ অন্যকিছু!
আসল ব্যাখ্যা: বেশিরভাগ মেয়েই মনে করে ছেলেরা মেয়েদের বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে আকৃষ্ট হয় এবং কোন কারণে যদি তা ঘাটতির দিকে যায় তবে ছেলেটি আর তাকে ভালোবাসবে না! এধরণের কমপ্লেক্সে মেয়েরা প্রেগন্যান্সি পরবর্তী সময়ে মারাত্মক ভাবে ভোগে। কেননা তখন তাদের নানাবিধ শারীরিক পরিবর্তন হয়। তাছাড়া বয়স বাড়তে থাকলে চেহারার রিংকেলস, মুটিয়ে যাওয়া শরীর তাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। তবে সবসময় এত বড় কোন কারণ থাকবে তা নয়। কোন একটা ব্যাড হেয়ার ডে তেও এমনকিছু মেয়েটির মাথায় আসতে পারে। সবমিলে মেয়েদের মনে একটা সার্বক্ষনিক ভয় লেগে থাকে যে আমি কম সুন্দর হয়ে গেলে সংগীর মনোযোগ কমে যাবে। এমন মনে করার কারণ কি? সাহিত্য, টেলিভিশন মিডিয়া ইভেন জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া বিলবোর্ডটাও যেভাবে নারীর সৌন্দর্যের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টায় মেতে আছে, তাতে করে এমন ভাবনা কি অমূলক?
করণীয়: আপনার সঙ্গীনি জিজ্ঞেস করুক না করুক তার দিকে মাঝেমাঝেই হা করে তাকিয়ে থাকুন, বলুন সে কি ভীষন সুন্দরী! তার সবকিছুই কত পারফেক্ট আপনার চোখে! আপনি নিজেই বেশি বেশি প্রশংসা করলে তার মনে কোন ধরণের অভিমানের অস্তিত্ব থাকবেনা। মনে রাখবেন সে আপনাকে ভালোবাসে বলেই আপনাকে হারানোর ভয়ে মন কুঁকড়ে যায়। সে আপনাকে ভালোবাসে বলেই আপনার টাক মাথা, বর্ধিত ওজনের দিকে নজর না দিয়ে নিজে কিভাবে আপনার সামনে আকর্ষনীয় থাকা যায় সে চিন্তায় মগ্ন থাকে। তার জন্যে একটু আকটু প্রশংসা সে পেতেই পারে। সে যদি শান্তিতে থাকে তবেই না আপনাকেও শান্তিতে রাখবে!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পোষ্টটি পড়ে আপনি নারীর মন পুরোপুরি বুঝতে পারবেন তা কিন্তু নয়। নারীর মনের এতশত ঘর রয়েছে যে সবগুলোর দরজা খোলা হয়ত সম্ভব না। আর সব মেয়ে এক নয়। এই পোষ্টে যে স্বভাবগুলোর কথা লিখেছি তা হয়ত কোন কোন মেয়ের একদমই নেই! স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর সব মেয়ের সাথে রহস্য এবং ব্যাখ্যা গুলো নাও মিলতে পারে।
তবে আশা করি এই পোষ্ট কমন কিছু প্রশ্নকে সামনে আনতে পেরেছে। এর সাহায্যে পুরুষেরা নারীদের অবস্থানকে কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারবেন। পুরুষেরা নারীদের মন বোঝার চেষ্টায় অন্য কনফিউজড পুরুষদের সাথে আলোচনা করেন। তার চেয়ে একজন মেয়ের মতামত বোধহয় বেশি কাজে আসবে।
মেয়েদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য শরীরে নয়, বরং তাদের রহস্যময়ী মনে। একজন নারী সমাজের প্রতি পদে হাজারটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সে জানে সে নারী বলে তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সমাজের চোখে একজন নারীর ভুলগুলো পাপ, একজন পুরুষের পাপগুলোও ভুল! সমাজের মাত্রাতিরিক্ত ভালো ও সুন্দরী মেয়ে হবার চাপ একজন নারীকে ইনসিকিউর করে দেয় নিজের ব্যাপারে। এই প্রক্রিয়ায় তার ভেতরটা নানা জটিলতায় পূর্ণ হয়ে যায়। আপনার মা, জীবনসঙ্গীনি, বোন, মেয়ে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অনেককিছু সহ্য করে প্রতিনিয়ত। একজন নারী কতকিছু যে নিজের মাঝে ধারণ করে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না! তাদের ছোটখাট অদ্ভুত আচরণের পেছনে রয়েছে হাজার বছরের বৈষম্যের ইতিহাস, অপ্রাপ্তির জ্বালা, সঠিক মূল্যায়নের অভাব, ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংঘর্ষ সহ অনেককিছু! মেয়েদের প্রতি বিরক্ত অথবা হতাশ না হয়ে তাদেরকে সম্মান করুন এবং সঠিকভাবে তাদের মূল্যায়ন করুন। তারা ভীষনভাবে সেটার যোগ্য।
এই লেখার আরো পর্ব লিখব কিনা ঠিক করিনি এখনো। পাঠক চাইলে অবশ্যই করব।
ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭