somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামুতে সামু পাগলার ৬ বছর! প্রথমাংশে: ব্লগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর, সামুর কাছে কৃতজ্ঞতা! শেষাংশে: পার্টি ফর ব্লগারস! :) :)

২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেখতে দেখতে সামুতে পার করে ফেললাম ৬ টি বছর! বিশ্বাসই হচ্ছেনা। নিজেকে বেশ সিনিয়ার সিনিয়ার মনে হচ্ছে! হাহা। আমার ব্লগ নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন বারবার শুনি, সেগুলোর জবাব অনেকবারই দিয়েছি আলাদাভাবে। আজকে সুযোগ পেয়ে পোস্টে দেব। আর তাছাড়া সামু নিয়ে অনেককিছু বলার আছে। সেসব পোস্টের প্রথমাংশ। পোস্টের পরের অংশে থাকবে ধুম ধারাক্কা পার্টি! :)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

প্রথমাংশ:



আমার ব্লগ নিয়ে ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চনস এন্ড আনসারস:

১) ব্লগের সন্ধান কিভাবে পেলেন?
আমি একদিন গুগল বাংলাদেশে কি একটা খবর নিয়ে সার্চ দিয়েছিলাম, সামু এসেছিল সার্চ রেজাল্টে। ব্লগ কি বুঝিনা তখনো। এসে অবাক হয়ে ভাবছি এটা কি পেপার? এমন কেন? কিছু পোষ্ট দেখলাম মানুষজন তুমুল ঝগড়া, তর্ক বিতর্ক করছে। বেশ অবাকই হয়ে গেলাম। আবার মজাও লাগল ব্লগের পুরো ব্যাপারটা। বেশ কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করলাম। দেখলাম নানা বিষয় নিয়ে নানা ধরণের লেখা। তখন সামুতে ভীষন ভালো ভালো গল্প লেখক ছিলেন। সেসব গল্পগুলো পড়তে পড়তে ব্লগের নেশায় পড়ে গেলাম। পরের অন্য নানা ধরণের পোস্টও পড়া শুরু করি। প্রথম দিন থেকেই সামু ব্লগ খুব প্রিয় জায়গা হয়ে গিয়েছিল। হাতে সময় থাকলেই ঘুরে যেতাম। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন ভাবলাম আমিও একাউন্ট খুলে ফেলি!

২) আপনি মেয়ে, কিন্তু আপনার নিক নেম এমন কেন? সামু পাগলী নয় কেন? আর ০০৭ এর রহস্য কি? একটা মেয়েলি প্রোফাইল পিকচার রাখতে পারেন না?
এই প্রশ্নটি আমি কোটিবার পেয়েছি, সামনে আরো কোটিবার পাব সেটাও জানি।

আমি যখন ব্লগ একাউন্ট খুলি অনেক ছোট ছিলাম। কৈশোরে পা দিয়েছি সবে এমন। অন্তর্জালেও বেশ নতুন ছিলাম। তখন এতকিছু বুঝিনি। আমি ব্যাস এটা বোঝাতে চেয়েছিলাম যে সামু আমার অনেক পছন্দের। পাগলা লিখলে সবাই ছেলে ভাববে আর কনফিউজড হয়ে আমাকে বকাবকি করবে (প্রথমদিকের মতো), এবং অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এই বিষয়টি মাথায় আসেনি। কেননা চলতি কথায় আমরা অতটা খেয়াল করে বলিনা। পাগলা, পাগল, বুদ্ধিমান, গাধা একটা মেয়েকেও বলে ফেলি। নিক খোলার সময়ে আমার এদিকটি খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল, কিন্তু অতো ম্যাচিউরিটি সেই বয়সে ছিল না। উত্তেজিত ছিলাম ব্লগ একাউন্ট খুলছি! বিরাট ব্যাপার!

মাশরাফি ভাইয়া আমার জানের জান। উনি আমার আইডল। মানুষ হিসেবে ওনার ১% ও হতে পারলে জীবন ধন্য হতো! আই লাভ হিম, লাভ হিম! এজন্যে ওনার ছবি দিয়েছি।
তবে হ্যাঁ এটা আমার মাথাতেও এসেছিল যে একটা ন্যাকা ন্যাকা মেয়েলি প্রোফাইল পিক দেই, তাহলে সবার কনফিউশন দূর হবে। পরে মনে হলো, সেটা খুব জরুরি না। আমি মেয়ে সেটা প্রমাণের এত চেষ্টার প্রয়োজন নেই। আমার কয়েকটি লেখা পড়লেই মানুষ বুঝে যাবে। কেননা মেয়েদের কথার, লেখার ধাঁচই আলাদা হয়। আর না জানলেও আমার কোন সমস্যা নেই। আমাকে কেউ ছেলে ভাবলে কি আমার ছেলেদের মতো গোঁফ গজিয়ে যাবে নাকি? ব্লগার ব্লগারই! ছেলে হোক আর মেয়ে হোক! মাশরাফি ভাই সরবে না!

০০৭ এ আমার কোন দোষ নেই। সামুতে যখন একাউন্ট খোলার চেষ্টা করছিলাম শুধু সামুপাগলা চেয়েছিলাম, তারা বলল এটা এভেইলেবল না। সামুপাগলা০০৭ এভেইলেবল। ব্যাস নিয়ে নিলাম সাথে সাথে!

এরপরে নিক পরিবর্তন করিনি কেন? হুমম, এই নিকটির সাথে অনেক মায়া, স্মৃতি জড়িয়ে গেছে। আর এমনিও আমার এমন খারাপ অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যে দু একজন ভাই, ভাইয়া না বললে মনেই হয়না সামু ব্লগে আছি! ;)

৩) আপনি এত অনিয়মিত কেন? হুটহাট উধাও হন কোথায়?
আমি আসলে যখন কোন সামার ব্রেক বা উইন্টার ব্রেইক পাই তখনই ব্লগে আসি। কেননা যখন আমার ক্লাস চলতে থাকে ক্লাস, এসাইনমেন্ট, এক্সামসের চিন্তায় ব্রেইন পূর্ণ থাকে। তখন নতুন নতুন ক্লাস প্রজেক্টের আইডিয়া ভাবতে ভাবতে ব্লগীয় কন্টেন্ট মাথায় আসতে চায়না। আর ব্লগ লিখতে একটু আকটু ভাবতে হয়। "আজকে মেঘলা আকাশ" এইটুকু তো লেখা সম্ভব না ব্লগে। ডিটেইলে কিছু লিখতে গেলে ভালো একটা আইডিয়া লাগে। যখন পড়াশোনার প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকি, সেই আইডিয়াগুলোই মাথায় ঘুরপাক খায়। ব্লগীয় ভাবনাগুলো আর আসতে চায়না।
তবে এতে ক্ষতির কিছু নেই। আমি যখন রেগুলার হই, একসাথে প্রচুর পোষ্ট করি। যারা কাজের ফাঁকে ফাঁকে পোষ্ট করেন তারা হয়ত মাসে ৩/৪ টা করে পোষ্ট করলেন, আমি দেখা গেল একটি ছুটির মাসে ৯/১০ টি পোষ্ট একসাথে করে ফেললাম। সো যারা আমার ব্লগ পড়েন অথবা বন্ধুতাপূর্ণ সম্পর্ক আমার সাথে, তাদের বলব, ডোন্ট গেট ম্যাড গাইজ! পুরো বছরের ঘাটিতে কয়েকমাসে পুরোপুরি পোষানো সম্ভব না, তবুও আমি চেষ্টা করি। আর যখন থাকি না তখনো সবাইকে মনের ভেতরে রাখি! :)

ব্লগে যা কিছু মজার:

১) ব্লগে আমার সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা হচ্ছে মানুষজন আমাকে ভাই, ভাইজান, ভাইয়া ইত্যাদি বলে ডাকে। যতোবার দেখি ততোবার হাসি পায়। ইট নেভার গেটস ওলড। অনেকসময় তো মানুষ বিশ্বাসই করতে পারেনা যে একটা মেয়ে এমন অদ্ভুত দর্শন নাম রাখতে পারে! আমি ফান করছি না সিরিয়াসলি সত্যি বলছি সেটা ভেবে কনফিউজড হয়ে যায়! মানুষ আমাকে ছেলে ভাবছে সেই অদ্ভুত মজার অভিজ্ঞতা সামু ছাড়া আর কোথাও সম্ভব হতো না। অবশ্য আমার নিক নেম এমনই, কারো দোষ নেই। বাট স্টিল, স্ক্রিনের এপাশে বসে থাকা মেয়েটির জন্যে অবশ্যই খুব মজার একটা বিষয়।

২) আমি যখন ব্লগে একাউন্ট খুলি তখন ভার্চুয়াল জগৎটা ভীষন অপরিচিত ছিল। কোন লেখা দেবার পরে যখন কেউ কমেন্ট করত মনে হতো, ওমা! মানুষটা আমাকে বলছে? চেনে না জানে না আমার লেখার ব্যাপারে মতামত দিচ্ছে? ব্যাপারটি খুবই মজার লাগত।

৩) ক্যাচাল ট্যাচাল প্রথমদিকে খুবই মজার লাগত, ভাবতাম মানুষজন কোন কারণ ছাড়াই অনলাইনে এসে অপরিচিত মানুষের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ঝগড়া কার শক্তি পায় কোথা থেকে? এসব ভাবতে ভাবতে ক্যাচাল পোষ্টে ঢুঁ মারতাম আর হেসে খুন হতাম।
এখন যদিও বিরক্তি লাগে ক্যাচাল পোষ্ট। কেন? (ব্লগে এতদিন আছি, একটা ভাবগাম্ভীর্যের ব্যাপার আছে না?!) :D

ব্লগীয় জীবনের অর্জন:

১) অবশ্যই সব ব্লগারের মতোই সেইফ হওয়া অসাধারণ কিছু ছিল।

২) প্রথম যখন নিজের পোষ্টকে নির্বাচিত পাতায় দেখি।

৩) আমার লেখা পোষ্ট স্টিকি হওয়াটা অনেক আনন্দের ছিল।

৪) ব্লগ কর্তৃপক্ষের মূল্যায়নের সাথে সাথে কিছু কিছু লেখার ব্লগারদেরও মারাত্মক সারা পেয়েছি। অবশ্যই সেটাও অনেক আনন্দের।

ব্লগে মন এবং মেজাজ কখন খারাপ কখন হয়?

১) যখন পরিচিত ব্লগাররা ব্লগ ছেড়ে চলে যায় বা অনিয়মিত হয়।

২) যখন আমার প্রিয় কোন ব্লগার অহেতুক আক্রমণের শিকার হন।

৩) যখন নির্বাচিত পাতায় কোন নিম্নমানের পোষ্ট দেখি।

৪) যখন দু মিনিটে কোন ব্লগারের পোষ্ট ৫০০০ বার ভিউ হয়। রিলোড ভূতের কারবার দেখে বিরক্তি লাগে। লেখা হিট করাতে এত ছোট কেন হতে হবে? আলোচিত পাতা এমন কোন বড় এচিভমেন্ট না। তার চেয়ে নির্বাচিত পাতায় জায়গা পাবার চেষ্টা করুন এবং উন্নতমানের লেখা লিখে উন্নত করুন নিজেকে।

৫) যখন কেউ অহেতুক ক্যাচাল করে মন্তব্য সংখ্যা বাড়িয়ে পোস্ট হিট করার চেষ্টা করে। আরেহ পাগলা আমার নাম, আপনারা কেন পাগলামি করেন? হিটের লোভে ব্লগের পরিবেশ খারাপ কেন করেন?

৬) যখন শুনি বছরের পর বছর ধরে একাউন্ট খোলার পরও নতুন কোন ব্লগার সেইফ হতে পারছেনা। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে একটু দৃষ্টি দিতে বলব, নাহলে প্রচুর গুণী ব্লগার হবার যোগ্য মানুষকে আমরা হারিয়ে ফেলব।

সামু ব্লগ আমাকে কি দিয়েছে?

১) মানুষজনের ভালোবাসা, আদর পেয়েছি প্রচুর। সেটাই সবচেয়ে অমূল্য। অনেক ইয়ার, দোস্ত, ভাই, বোন পেয়েছি। তারা আমাকে কি ভীষন আন্তরিকতায় বেঁধে রেখেছেন তা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমি কারো নাম স্পেসিফিক্যালি নিচ্ছিনা শুধু এ ভয়ে যে যদি একজনেরও নাম মিস করি তবে ভীষন খারাপ লাগবে। লাস্ট ৬ বছরে প্রচুর প্রচুর মানুষ আমার প্রিয় ও আপন মানুষের লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে। আমি নাম না নিলেও আপনারা জানেন আপনারা কারা। লাভ ইউ অল!

২) সামুতে অনেককিছু শিখেছি। আমি সত্যি বলছি জীবনে সবচেয়ে বেশি বকা সামুতেই খেয়েছি। বাস্তবজীবনে কেউ আমাকে এত কড়া কথা বলেনি। ছোটবেলায় খুব নরম স্বভাবের ছিলাম, কেউ কিছু বললেই চোখ ছলছল করে উঠত, তাই উঁচু স্বরে আমার সাথে কথা বলে না কেউ। কিন্তু সামুতে নিক নেইমের কারণে প্রচুর কনফিউশনে পড়ত অনেকে প্রথম প্রথম। ভাবত আমি ফান করছি নিজেকে মেয়ে বলে। সেজন্যে আজেবাজে বকাঝকা করত। কেননা আমি যখন সামুতে যাত্রা শুরু করি, তখন কিছু ফেক নিক ছিল যারা জেন্ডার নিয়ে ফাজলামি করত। আমাকেও অনেকে সেই ক্যাটাগরির ভেবে ভুল করত।
তাছাড়া কোন পোষ্ট কারো ভালো না লাগলে বা পোষ্টের বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন না করলেও বেশ লম্বা রচনা লিখেছেন আমার নিন্দা করে। গঠনমূলক সমালোচনায় মানুষ লেখার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেয়, কিন্তু এক ধরণের মানুষ আছে যারা লেখিকাকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন। সেটাই সমালোচনা আর আক্রমণের মধ্যের পার্থক্য। আমি সমালোচনা কখনোই খারাপ ভাবে নেইনি কিন্তু যখন কেউ পারসোনালি আঘাত করত কেমন যেন অড লাগত। আমি প্রথম প্রথম খুব অবাক হতাম ভেবে যে কারো এত সময় বা ইচ্ছে হয় কি করে না জেনে না বুঝে একটা মানুষকে এভাবে বলার!
পরে দেখলাম যারা আমাকে বাজে কিছু বলছে তারা অন্যদেরও বলছে। অনেকে বাস্তব জীবনে মিনমিনে স্বভাবের হয় বিধায় ব্লগে এসে সব রাগ ঢেলে দেয়! তেমন ব্লগারের সংখ্যা খুবই কম, বা তারা আসলে ব্লগার গোত্রীয় না। তাদেরকে এভয়েড করা আর তাদের কথাগুলো সিরিয়াসলি না নেওয়াটা ব্লগ থেকে শিখেছি। এই শিক্ষা বিরাট কাজের শিক্ষা বোথ ভার্চুয়াল এবং রিয়েল লাইফে।

৩) আমি ব্লগিং শুরু করি অনেক কম বয়স থেকে। সেই সময়ে যখনই স্কুলে কোন লম্বা ছুটি পেতাম, ব্লগে এসে সময় দিতাম। কিশোর কিশোরিরা সবচেয়ে বেশি বিপথগামী হয় ছুটির মধ্যেই। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কর্মশালা, সেই নিয়ম মেনে যেকোন বাজে কাজে বন্ধুদের চাপে পরে জড়িয়ে যায়। কিন্তু আমার ছুটির দিনের বন্ধু ছিল সামু, যার চাপে আমাকে ছুটিতেও জ্ঞান চর্চা করে যেতে হয়েছে। সেকারণে আমি হয়ত অনেক বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছি, মাথায় আজেবাজে কোন কাজের চিন্তা আসেনি।

৪) আমি বিদেশে পড়াশোনা করেছি হাইস্কুল থেকে। বাংলা সেভাবে চর্চা করতে হয়না পড়াশোনার খাতিরে এবং দৈনন্দিন জীবনে। সামুতে না আসলে বাংলা পুরোপুরি ভুলে যেতাম। বানান একটাও মনে থাকতনা। এর জন্যে আমি যতোই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি কম হবে।

৫) লেখালেখি বা যেকোনকিছু যতোই চর্চা করা যায় ততোই হাত খোলে। সামু আমাকে জ্ঞান চর্চার অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে, নিজেকে দক্ষ করার সুযোগ দিয়েছে।

৬) সামুর কারণে নানা নতুন নতুন বিষয়ে ইন্টারেস্ট তৈরি হয়েছে। কি নিয়ে পোস্ট লেখা যায় ভাবতে ভাবতে নতুন নতুন বিষয় জানার ও শেখার ইচ্ছে তৈরি হয়েছে মনে। অনেক বিষয়ে জ্ঞান বেড়েছে।

৭) আমি বিদেশে থেকেও দেশী একটা মায়া মায়া আদর আদর পরিবেশ পাই সামুর কারণে।

৮) আড্ডাঘর পেয়েছি সামুর কারণে। যারা জানেন তা তাদের জন্যে একটু বলি। আড্ডাঘর হচ্ছে আমার দেওয়া একটি আড্ডাপোষ্ট যা কবছর ধরে চলে আসছে। নানা ব্লগার এসে সেখানে আড্ডা দেয়। নিয়মিত আড্ডাবাজেরা একদম ফ্যামিলির মতো হয়ে গিয়েছে। অসাধারণ কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে সামুর আড্ডাঘরের সুবাদে। আড্ডাঘরে গেলে সবার হাসি মজা খুনসুটিতে আমার মন অনেক ভালো হয়ে যায়।
আড্ডাঘর: সামুপাগলার ব্লগবাড়িতে আমন্ত্রিত সিনিয়ার, জুনিয়ার সকল ব্লগার!

আসলে সামু আমাকে এত কিছু দিয়েছে যে বলে শেষ করা যাবে না। আমি অন্যকোন প্ল্যাটফর্ম থেকে লেখায় হাত পাকিয়ে ব্লগে আসিনি। আমি জানতামও না সামু ছাড়া কোনকিছুকে। আমি যে বয়সে ব্লগিং শুরু করেছি তার কারণে এবং ভিনদেশে থাকার কারণে অন্য অনেক ব্লগারের চেয়ে সামুর ইমপ্যাক্ট আমার বাস্তব জীবনেও খুব ভালো ভাবেই পরেছে।

সামুতে এসে সংকোচে চেয়েছিলাম শুধু একটি সাদা লাইনটানা পেপার এবং কিছু কালো কালি। সামু আমাকে নির্দ্বিধায় গোটা এক আকাশ দিয়েছে.................

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

শেষাংশ



ভারী কথা অনেক হলো। এবারে রিয়েল সেলিব্রেশন শুরু হবে। :) বিশেষ দিনের কিছু আয়োজন!











গান ছাড়া পার্টি বেমানান! সাম ঝাকানাকা সংস! :D













শেষ করছি পাঠকের জন্যে সহজ একটি কুই দিয়ে।
কুইজ: আজকে আমার ব্লগ পরিসংখ্যানে কাকতালীয়ভাবে আরেকটি বিশেষ ব্যাপার যোগ হয়েছে। বলুনতো কি? :)

সকল ছবি ও ভিডিও সূত্র: অন্তর্জাল!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
৫১টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×