তুমি আমার যন্ত্রনাদায়ী এক অত্যাচারী! তবু অন্ধ,আমি অন্ধ! একই দঁড়িতে বাঁধা,তোমার আমার জীবন যাপন।
তোমার নামে আমার যত বিরহী প্রলাপ,
তুমি আমার হাহাকারে ডাক! তোমার সাথেই আমার গোপন আলাপ।
লাখো মিথ্যার ভিড়ে একটা সত্য জেনে রেখো
তুমি এখনো মিশে আছো আমার সবটা জুড়ে।
তুমি যাই বলো, আমি ভালবাসা শুনি! তুমি ব্যস্ততা মাখো, আমি তারা গুনি! আমি তোমার নামে যুদ্ধ করি,তোমার নামেই তুলি ফুল!
তুমি আমার মেঘবালিকা, কল্পলোকের ভুল!
আর বিশ্বাস করো,কতটা হয়ে বলি আকুল;
সত্যিই ভালোবাসি,যতটা বলি তার চেয়ে বেশি ব্যাকুল!
আমায় তুমি যখন ভাববে, এটা কিভাবে সম্ভব?
আমার শরীর জুড়ে বরফ শীতল বিষন্নতা অনুভব! আমি তুষের আগুনে শরীর সেঁকি!
নিত্য তোমারই উদ্ভব,আমার তুমি ছাড়া একরাত্রি দারুন অসম্ভব!
আমি ভাবি সহজ। আমি সরল,আমি সঠিক মনে তোমার নামে মুগ্ধতার প্রহর গুনি।বিষন্নতা ধীরে ধীরে যাচ্ছে গলে,আমি উষ্ণতায় ভাসি!
অকারনে ছুঁয়ে যায়- আমি ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠি! হৃদয় যেন নিত্যদিনের ফাঁসি!
উষ্ণতা আমার হৃদয় প্রাচীর ভেদ করে প্রবেশ করেনা!
এ বুকে তোমার সাথে আমার কবিতায় সংলাপ।
আমি তুমি নামের আগুনপাখি পুষি রাশিরাশি!
আমি চাঁদকে ভালবাসি, তুমিময় আমার চাঁদ।
তুমি আমার হৃদয়মাঝে জলন্ত উত্তাপ! আমি তোমার চুলকে ভালোবাসি,অন্ধকারের কালরাত্রি আমার গলার ফাঁসি!
তোমার উষ্ণ দেহ নোনাজলের বিশাল বিস্তৃতি,
আমার তবে আছে কিছু তোমার দেহের প্রিতি।
আমি তোমাকে দেখি, আঙুলের কড়ে তোমায় গুনি, আমি তবু দিবারাত্রি তোমার গল্প সদাই শুনি!
বাউলা মেঘের মায়ায় মত তোমার চুলে বেঁধে রাখবে অনায়সে, বিবর্ণ রাতগুলো আবার ভরে উঠবে শুধু তোমায় ভালবেসে!
ভালবাসি বলে চিৎকার করি! আমার চিৎকারের প্রতিধ্বনি,পাগলা ঘোড়ার মতো ছুঁটে বেড়ায়,
হৃদয়ে ফাটল ধরে; আমি পুঁড়ে যাই, জ্বলে যাই,
তবু রক্তাক্ত আমি তোমাতেই আত্মা হারাই!
যতোবারই তোমার সাথে আমার হয়েছে কথা,
ঘুমের খুব গোপনে হয়েছে দেখা। মুঠোফোন কেঁপে কেঁপে উঠেছে, ঠিক ততোবারই মনে হয়েছে-খুব মায়া ভরে কেউ একজন আমায় ডাকছে! খুব কাছে,তাও আমি স্থিরতায় নেই।
তোমায় দেখলে বুঝি, তুমি মেয়ে সেই।
বানিয়ে বলছি না কিছুই! আমি কতোবার যে তোমার ডাকে ছুটে এসেছি ঘুম ভুলে আর তুমি তার জানোনা কিছুই!
তুমি আহ্লাদী চুমোর উত্তাপে করো সচল,তোমার নামে কতযে মৃত্যু,ঝরছে কত অশ্রুজল!
আমি তবু বলি, তবু বাঁচি,
একজন তুমি দিয়ে যদি সারাটা জীবন কাটানো যায় তবে একজন তুমিতেই পুরো পৃথিবী ঘুরে আসা সম্ভব।
তিন লাইনে পৃথিবীর পরিচয় দেয়াও সম্ভব!
তুমি ছাড়া যায় আর সবকিছু বিফলে!
অমিও চক্রবর্তীর মত আমিও বলি তোমায়-
"নির্ঘুম চিলেকোঠার জানালার পাশে জেগে আছি আমি আর একটা জ্বলন্ত সিগারেট,
দ্বিধা হয় তবু চেপে ধরে আছি মুঠোফোনটা
তোমার কণ্ঠস্বর শুনব বলে!"
সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়(এ নামেই লিখি)
১১.৫.১৮
আগারগাঁও,ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১