somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার
আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

একটা তুমি নিশ্চই আছো

৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ আমি তোমাকে নতুন কোন গল্প শোনাব না।
আমি অন্য কিছু বলবো না,আমি শুধু তোমার প্রয়োজনীয়তার কথা বলবো
তোমার ভাবনায় মিস করি শেষ লোকাল ট্রেন আর
আমাকে দেখে হাসে স্টেশনের গেটম্যান!

রোজ বাঁ পাজরে কিছু স্বপ্নের জন্ম হয়,যেখান থেকে জন্ম নিচ্ছে
তুমি আর তোমার নতুন এক একটা রুপ!
আমি রোজ ছুটে চলি যেখানে রোজ তোমার জম্ম হয়!
প্রতিদিন তোমার নামে আমার ভেতর শত আমি'র মৃত্যু হয়!

প্রতিটি সহকর্মী জানে আমার যেন কি হয়েছে!
আমি কীভাবে মুখস্থ করেছি তোমার বলা এক একটা কথা!
তোমার মোবাইল নাম্বারর মুখস্ত করতে গিয়ে আমি আমার নিত্য কাজ ভুলতে বসেছি!
এমনকি নিতান্তই আমার ফোন নাম্বারও!
ওরা জানে সারাটাজীবন সাধনা করেও এমন দুটো ছন্দ সৃষ্টি করা হয়ে উঠত না আমার!
সৃষ্টি হচ্ছে কারন মাঝরাতে স্বপ্নে এসে তুমি ভ্রূঁ বাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করো-এই তুমি কেমন আছো ?

আজ তোমাকে বলতে বাঁধা নেই কোনো!এত আয়োজনেরও প্রয়োজন নেই কোনো।
আমি বললেই কাব্য হয়ে ওঠে, আমি বললেই হৃদপ্রকষ্ঠ থেকে রক্ত ছোটে; তবে আমি জানি আমার কথন তোমায় ঠিকই রাঙিয়ে দিয়ে যাবে!
আমি জানি তুমি মানে আর অন্য কিছু নও,
তুমি মানে রক্তের মাঝে এক অদ্ভুত আস্ফালন!
তোমার নামে কথা বলা শুরু হলে মাদকতা ছড়ায় তোমার উড়ন্ত চুল,
আমি তোমার গল্প করি তুমিময়তায় ডুবি -
এমনকি তা বুঝে নিয়েছে শেষ রাতের রিক্সাচালক!

রাতের মধ্যাংশের আরেক নাম অনুভূতির অপভ্রংশ।
হাত খুলে ইচ্ছে করে কিছু লেখি!
তোমার ঘুমের স্বপ্নে কোলবালিশের আরাম হয়ে যাই।
হাত বেঈমানী করে শব্দ আসে না।
এই মরুভূমির মত রাতে তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাওয়া পরিব্রাজক রুপী নিশাচরদের যা চাই তা হলো..
সেই উত্তর দিতে দিতেই ঘুমিয়ে যাব!
জেগে দেখতাম কি দারুণ একটা কবিতা হয়ে গিয়েছে!
কবিতার নাম,'বুকের পশমে তোমার নিঃশ্বাস'!

সে স্বপ্নমানবী'র,হয়তো কল্পনাপূর্ণ মস্তিষ্কই তাঁর বসতবাড়ি;কিংবা ভাগ্যবিধাতার খবরদারি!
এ কারণেই একা একা রাত জাগি।
সম্মুখে দাঁড়িয়ে ধমকের সুরেও যদি কাছে টেনে পাঁজরে বেঁধে বলতে ভালোবাসি,
তাহলে আমার একটা সচেতন চোখ খুব সাবধানে প্রবেশ করতো তোমার জামার ফাঁক গলে!
তারপর কিছু মসৃণ উষ্ণতা,কিছু জমাট অন্ধকার হাতড়ে আমি তোমার মাঝে আমাকে হারাতাম,
যেমন করে এখন তোমাকে খুঁজি!

শুধু তোমাকে এক আধবার না দেখলে, ভীষণ কষ্ট হয় আমার!
অথচও চোখ বুজলেই তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাই।
তোমার কপালের ঐ বিন্দু বিন্দু ঘাম,তোমার গালের লাল রঙ্গের রাগমিশ্রিত অভিমান!
আমার হৃদয় ভেঙেচুরে তুমি মিশে গেছো যেনো অস্থির ভেতর মজ্জার মত;
আমি ঠিক বুঝতে পারি আমার কোথাও না কোথাও তুমি আছো!
আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, আমার বলা হয়না!
আমার রাজ্যের রাজপথে রক্তিম হৃদয়ে, শব্দ,বর্ণ,কথা,কাব্য,বাক্যে তোমার অবাধ বিচরণ!

তবু আমি হতাশায় ডুবি, তৃষ্ণার্ত তোমাতেই বাঁচি।
তোমার মনের প্রেমদীঘিতে ফুটন্ত যে ১০১ টি নীল-পদ্ম আমার তা চাই, একি খুব বেশি চাওয়া আমার?
তুমি যেন কল্পনার দুয়ারে বিচরিত হও রোজ!
হৃদয় রাজ্যে তোমার একক আধিপত্য।
প্রোফাইল থেকে উঠে এসে যখনই সামনে দাঁড়াও,
আমি মুহূর্তেই মূষঢ়ে যাই তবু কেন এত নীরব থাকো?
তবু বহু পথ পেরিয়েছে প্রেম
দুই হাতে লেগে আছে সময়ের ধুলো,
বুকে তবু জলতরঙ্গ মেঘ-আর কতো যোগ্য হতে বলো!!

আমার তবু তুমিময় সব এমনকি একান্ত গোপন হৃদ- ঘাঁটিও!
কবি সুবীর সরকার হলে আজ তোমায় চিৎকার করে বলেই দিতাম-
"আমার ঠিকানা খুবই ছোট । তুমি সমস্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চিঠি দিও, হৃদস্পন্দন পাঠিও।"

সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়
১৮.৫.১৮
তালতলা,ঢাকা
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×