বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই আমি শুধু ভাবছি
একটা লালচে রংয়ের জামদানীময় আর বিষণ্ন দুপুর!
মেয়েটিকে পুতুল সাজাতে বড্ড ইচ্ছে
তার অপেক্ষায় বয়স আর বাড়ে না!
এই যে কত শত রাত ধরে ভাবছি
এতটা দর্শনে আমি ব্যাকুল আগ্রহী!
এই সব সহজ কথা বলা ততটা নয় সহজ
বুক জুড়ে তারই নামে রক্ত কবজ!
এই যে কত শত রাত হয় ভোর,
এলোমেলো শহর জ্যামে মানুষের ঢল,
ভর দুপুরে থমকে যায় কিছু সময়;
স্মৃতিভূক মন তার আসার অপেক্ষায়!
কত আবহমান কাল ধরে একটি প্রহর,
কত কালান্তর এক যন্ত্রনাময় প্রতিক্ষা!
হৃদয়ের প্রতিটি চেম্বারে তোমার নামের মিছিল,
নীল বেদনায় লেখা তোমার নামের কবিতা।
এ বর্ষায় ফোটে যতো কদম ফুল,এ শহরে যতবার আসে বৃষ্টি,
আমি শুধু মন ও মননে তুমি নামক একটি স্থীর বসন্তের অপেক্ষা করি!
তোমার নামেই স্থিরতা খুঁজে পাই আজো।
তোমার নামেই কাটে এক একটি নীলচে প্রহর!
তোমার নাক ফুল হোক ভালবাসার স্মারক,
লাল টিপ হোক উদিত সূর্যের ন্যায়,
তোমার চুলের গন্ধে হোক আমার মায়াবী বিকেল ব্যয়,
তুমিহীনতায় শহরে লেগেছে মরক!
তোমার শাড়ীর আঁচলে মিশে থাক মাদকতা!
বুক আমার নিরাপদ বাসস্থান,আমার বাহুতে থমকে থাক তোমার একটি দুপুর!
তোমার চুম্বনে মাতাল হোক একটি বিকেল।
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে কেটে যাক আমার শতজনমের চাতকীয় তৃষ্ণা,
তোমার মন করুক আত্মসমর্পণ,তুমি ভেঙেচুরে একাকার হও,
তুমি বিদ্ধস্ত হও আমার হৃদবাওড়ে!
তোমার সাথে ভাগাভাগি একইকাপে উষ্ণ কফি,
জোনাকজ্বলা এক রাত্রি একই সাথে জোছনা ভাগাভাগি,
তোমার নামে একটা জনম দিচ্ছি পাড়ি,
অনুরাগের একটি প্রহর আমি জাগি,
ঘুমিয়ে থাকে অবাক শহর!
এমন করে হয়না বলা তোমার খোলা চুলের ডগা
নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নিতে চাই একটি বেলা!
তোমার লাল টুকটুকে ঠোঁটের আদর,
তোমার নামেই বয়ে চলা রক্ত নহর!
নীলচে আকাশ, তুমি যখন থাকো পাশে
তোমার নামে আবেগ প্রবন সজল আঁখি!
যোগ বিয়োগে হৃদয় মাপা বিন্দু ব্যাসে,
তোমার নামেই হৃদয় আমার আগুনপাখি!
হিম অরণ্যে ব্যস্ত থাকি আগুন চাষে!
বুকের ডাকবাক্সের চিঠির বদলে জমছে প্রেম
তুমি ছাড়া জীবন আমার গোলক ধাঁধার আধার শূন্য!!
এই শহরের ধুলোর মত তোমার নামে জমাই পাপ,
তোমার নামেই হৃদমাঝারে কামাই পূণ্য।
তোমার জন্যে শূন্য হলাম ঘর বাড়ি ছাড়ি,
জলের মাঝে কেমন চলে আমার স্বপ্ন হাওয়াই গাড়ি!?
তুমি কি আর সহজ কোনো নারী!!
কবি বিনয় মজুমদার হলে তোমায় বলেই দিতাম-
"লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝরে যায়
হাসি, জ্যোৎস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকে না।
এ আমার অভিজ্ঞতা। পারাবতগুলি জ্যোৎস্নায়
কখনো ওড়ে না; তবু ভালোবাসা দিতে পারি।"
সানবীরের দ্বিতীয় অধ্যায়(সানবীর খাঁন অরণ্য)
আগারগাঁও, ঢাকা
২৯.৫.১৮
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭