৯
ইজ দ্যা স্টোরী টেকিং অ্যা ইউ টার্ন? আই উইশ। তবে আমার সিক্সথ সেন্স বলছে, তেমন কিছু না। কালকে সোহেল ল্যান্ড করছে। অ্যান্ড দেন…। ফ্যান্টাসি টাইপ কিছু মাথায় না এনে আমার উচিৎ প্র্যাক্টিক্যাল কিছু ভাবা। নীলা চলে যাওয়ার পরে কিভাবে নিজেকে সামলাবো। কিছুদিন কি ছুটি নেব? দূরে কোথাও ঘুরে আসব?
আজকে হাসপাতালে জয়েন করলাম। এই কয়দিনের ছুটির কারণে বেশ অনেকগুলো রুগী জমে ছিল। হাসপাতালে পৌঁছবার পরেই রিসেপশানিস্ট জানাল, তথ্যটা। সো, মনের ভেতর যতই তোলপাড় থাকুক, আই হ্যাভ টু ডু মাই জব। রুগী দেখা শুরু করলাম।
খুব ভাল কনসেন্ট্রেশান ছিল, এমন বলব না। সকালে হাসপাতালে এসে সারাক্ষণ মাথার ভেতরে আজগুবী সব আইডিয়া ঘুরছে। ট্রায়াঙ্গল লাভ স্টোরী গুলোতে যেমন একজন নায়ক হঠাৎ করে ভিলেন বেরোয়, হঠাৎ করে দেখা যাবে সোহেল ইজ অ্যা ডিসগাইজড মনস্টার, এমন কিছু একটা ঘটবে। হয়তো খবর আসবে, ওখানে আরেকটা বিয়ে করেছে কিংবা… ইয়া, প্লেন ক্র্যাশে মৃত্যুও ভেবে ফেলেছি।
ইউ টার্ন টাইপ আইডিয়াও খেলছে। গত কদিনের ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছি। কোন কাজ কি অন্য কোন মিনিং দেয়? স্পেশালি, ডিড আই মিস এনি হিন্ট? একটু দুষ্টুমির দৃষ্টিতে তাকানো, হাত জড়িয়ে ছবি তোলা আর কিছু এক্সাইটিং কথায় না রেগে হেসে উড়িয়ে দেয়া। আর দিজ সাইন অফ এনিথিং? অর টেকিং অ্যা ইউ টার্ন?
— স্যার, আজকে আর রুগী নাই।
অ্যাটেন্ডেন্ট জানাল। গ্রেট রিলিফ। সো, চাইলে এখন বাসায় যেতে পারি। ইচ্ছেও করছে। বাট, এটাও বুঝতে পারছি, গেলেই…। নো, যেভাবেই হোক নিজেকে আজকে রেজিস্ট করতে হবে। নীলার সামনে যাওয়া মানেই কিছু একটা ঘটা। ক্যান্টিনেই খাব সিদ্ধান্ত নিলাম। নীলাকে ফোন করে দেয়া উচিৎ।
নীলা যদি বাসায় ফিরতে বলে? পারবো তো 'না' বলতে? রিস্ক নেয়ার দরকার কি? দাম্পত্য জীবন পার্ট ওয়ানে ফিরে যাই। নীলা যদি দেখে দুটার ভেতরে আসছি না, ও নিজেই খেয়ে নেবে।
চেয়ার ছেড়ে উঠলাম। ঠিক করলাম, দুপুরটাও রেস্টরুমে থাকব। রাতের চেম্বার শেষ করে একেবারে বাসায় যাব। এমন সময়… ইয়েস ইট কেম। মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল।
— বাসায় আসছো?
— সেটাই ভাবছি।
— এসো না, তোমার ওখানে আসছি।
— কেন?
উত্তর পেলাম না, নীলা ডিসকানেক্ট করে দিল। যেটুকু আত্মসংযম তৈরি করেছিলাম, এক মুহুর্তে তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। ফিল করলাম, হার্ট বিট বেড়ে গেছে। স্টার্টেড এঞ্জয়িং ইট।
মাথায় তখন চিন্তার ঝড় বইছে। এখানে, ক্যান্টিনে খাওয়াব? না আসে পাশের কোন চাইনিজে নিয়ে যাব? সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ফোন করে জানতে চাইব?
কিন্তু কেন এমন ফিল করছি? এটাতো একটা লস্ট ব্যাটল। পরাজয়ের জন্য তৈরি না হয়ে কেন শুধু শুধু বড় একটা ধাক্কা খাওয়ার জন্য নিজেকে এগিয়ে দিচ্ছি। আই ওয়াজ নট সিওর।
সেদিনের সেই কিস ইভেন্টের পর তো আমার বুঝে যাওয়া উচিৎ, ইট ইজ ওয়ান সাইডেড। নীলা বাধা দেয়নি, বাট রেস্পন্ডও করেনি। আসলে নীলা বোধহয় আমাদের সম্পর্কটা ফ্রেন্ডশীপ প্লাস টাইপ কিছু একটা স্ট্যাটাস দিতে চেয়েছিল। বন্ধুত্ব থাকবে, পারস্পরিক বোঝাপড়াও থাকবে, কেবল ওসব থাকবে না। অ্যান্ড দ্যাট মিনস… দ্যা স্টোরি ইজ ওভার।
সরি বলেছিলাম। শি এক্সেপ্টেড ইট টু। আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়েছিল। চোখে অবিশ্বাস ছিল? না কষ্ট? হয়তো দুটোই। এরপরেই মাথা নীচু করে ফেলেছিল। আমি শুধু একটা কথাই বলতে পেরেছিলাম
— আর হবে না।
এনিওয়ে, এরপরে তেমন আর কিছু হয়নি। গতকাল পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে ছিল। নীলা চেস্টা করছিল, স্বাভাবিক হতে, বাট আমি পারছিলাম না। ওর চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছিলাম না। আজ সকালে ওকে স্কুলে ড্রপ করেছি, বাট কোন কথা বলিনি।
দরজায় নক হল। এরপরে দরজা খুলে শুধু মুখটা ঢোকালো নীলা। আমার রুমের অ্যাসিসট্যান্ট যেহেতু নীলাকে চেনে, তাই বাধা দেয়নি। নীলার মুখ খুশিতে ঝলমল করছে।
— আসতে পারি?
অন্য সময় হলে দুষ্টুমি হয়তও করতাম। এখন করলাম না। স্মিত একটা হাসি দিয়ে শুধু বললাম
— এসো।
নীলা ভেতরে আসল।
—ডিসটার্ব করলাম?
মাথা নেড়ে না সুচক ইঙ্গিত করলাম।
— আমি কিন্তু খেয়ে আসিনি।
স্মিত হাসলাম। এধরনের কথা সাধারনতঃ বলা হয় কিছু দুষ্টুমি টাইপ উত্তর শোনার জন্য। বেশ কিছু উত্তর মুখে চলেও আসছে। বাট… আই হ্যাভ টু কন্ট্রোল মাইসেলফ। আমার রেসপন্স রুড লাগলেও, আই স্যুড ডু দ্যাট। শান্তভাবে উত্তর দিলাম
— দুটো অপশান, এখানে ক্যান্টিনে খাওয়া, আর অন্যটা আশেপাশের কোন রেস্টুরেন্টে যাওয়া।
নীলা ঘড়ির দিকে তাকাল। এরপরে ঘোষণা করল
— রেস্টুরেন্ট দেন।
সম্মতি জানিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। নীলা কিছুটা অবাক হল
— এখনই বেরোব?
আমারও ব্যাপারটা অবাক লাগল। ভ্রু কুচকে গেল। জিজ্ঞেস করে ফেললাম
— দেরী করতে চাও?
নীলা কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। এরপরে কিছুটা গম্ভীর হয়ে বলল
— আর ইউ ওকে?
কি উত্তর দেব বুঝে পেলাম না। সত্যিই তো, এতো রুডলি বিহেভ করার কি আছে? আমার মনের ভেতরের তোলপাড় নীলাকে দেখানো তো জরুরী না। নিজেকে সামলাবার চেষ্টা করলাম।
— সরি। আসলে… ইউ নো… সেদিনের পর থেকে আই ওয়াজ ফিলিং অ্যা লিটল গিল্টি।
— ওর ইনসাল্টেড?
কথাটা সোজা মাথায় আঘাত করল। ইজ শি রাইট। ওয়াজ ইট ইনসাল্ট দ্যাট ইজ বদারিং মি? কিছুক্ষণ ভাবলাম। এরপরে নীলার দিকে তাকিয়ে বললাম
— অনেস্টলি স্পিকিং, আই রিয়েলি ডোন্ট নো। আসলে তোমার কক্সবাজার যাওয়া, এরপরে আমার সাথে এমন ফ্রেন্ডলি বিহেভ করা… আই প্রবাবলি থট… ইউ নো… সরি ফর দ্যাট ডে।
নীলা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। সম্ভবতঃ কথাগুলো গুছিয়ে নিল। এরপরে বলল
— অ্যাই অ্যাম অলসো ভেরি সরি। অনেস্টলি স্পিকিং, আমি নিজেও সম্ভবতঃ তোমাকে কিছুটা সিডিউস করেছিলাম। — কেন?
— জানি না। হয়তো তোমার সেই প্রেমিক রুপটা এঞ্জয় করছিলাম। আই থিঙ্ক, হার্ট কোন লজিক মেনে চলে না।
হেসে ফেললাম। বললাম
— হার্ট অনেক বেশি লজিক মেনে চলে। তুমি যেটা বলছ, তার অরিজিন ব্রেনে। এনিওয়ে, লেটস ফরগেট দ্যা পাস্ট।
নীলা মিস্টি করে হাসল। মাথা ঝুকিয়ে সম্মতি জানাল।
— আই থিঙ্ক উই স্যুড মুভ।
নীলা সম্মতি জানিয়ে উঠে দাড়াল। আমিও এগিয়ে গেলাম। পাশাপাশি হেটে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে গেলাম। নীচে নেমে আমার দিকে তাকাল নীলা। চোখে প্রশ্ন, 'এবার কোন দিকে'।
উত্তর দিলাম।
— কাছেই, হেটে যাই?
সম্মতি জানিয়ে হাটতে লাগল নীলা। অ্যান্ড অ্যাজ ইউজুয়াল আই স্টার্টেড ফিলিং অসাম। একসময় মনে হচ্ছিল রেস্টুরেন্ট টা যদি আরও কিছুটা দুরে হত।
এনিওয়ে, পৌছে গেলাম। ভেতরে ঢুকে এক কোনের একটা টেবিলে বসলাম। বয় মেনু নিয়ে আসল। সেদিকে তাকিয়ে নীলা কিছুটা ইতস্ততঃ করল। এরপরে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
— আসলে, আই হ্যাভ সামথিং টু সে।
ওর বলায় কিছু একটা ছিল। বুঝলাম, ভয়ঙ্কর কিছু বলবে। বয়কে ইশারায় একটু পরে আসতে বললাম। এরপরে নীলার দিকে তাকিয়ে বললাম
— বল।
দারুণ অস্বস্তির সাথে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিল।
— তোমার সিগনেচার লাগবে।
কাগজটার দিকে তাকিয়েই বুঝলাম। মিউচুয়াল ডিভোর্সের কাগজ। ওয়াইফের জায়গায় ইতিমধ্যে নীলা সিগনেচার করে দিয়েছে। আমারটা হলেই সম্ভবতঃ কোর্টে জমা দিয়ে দিবে।
কাগজটা দেখে বেশ বড়সড় ধাক্কা খেলাম। কখন করল এসব কাজ? আমাকে বললেই পারত। এসব নিয়ে ভাববার সময় এটা না। নিজেকে সামলে শুধু জানতে চাইলাম
— সোহেল পৌছে গেছে?
— হ্যা।
— বলোনি তো?
বুক পকেট থেকে কলমটা বের করলাম। কাগজটা নিজের দিকে টেনে নিলাম। বল পয়েন্টটা অন করে আমার সিগনেচার করবার জায়গাটায় কলমটা এগিয়ে নিয়ে গেলাম।
অ্যান্ড দেন? দেন কেম দ্যা টুইস্ট অফ দ্যা টেল। নীলার মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল।
চলবে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭