প্রতি বছরই রোজার আগে লাইব্রেরি করতে হয়। গতবছর রোজার আগে লাইব্রেরি করা হয়েছিলো চট্টগ্রামের মহেশখালী,রাউজান এবং কাফকো তে। এরপর সেখান থেকে এসেই চলে গিয়েছিলাম দিনাজপুরে।
এবছরও ব্যতিক্রম হয়নি। ৮ তারিখ রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই এবং ফটিকছড়িতে লাইব্রেরি করার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সকাল ভোরে মিরসরাই এর মিঠাছড়াতে নেমে সেখানে লাইব্রেরির কাজ শুরু করে দেই। বাচ্চাগুলোতো তাদের জন্য নতুন গল্পের বই দেখে ক্লাসে যেতে রাজিই হচ্ছিলো না। অফিস রুমে দাঁড়িয়েই একেকজনের বই পড়া শুরু। এরপর অনেক কষ্টে তাদের বুঝালাম যে একদিনে তো পড়ে শেষ করা যাবে না, বইগুলো তাদের স্কুলেই থাকবে এবং প্রতি বৃহঃস্পতিবার তারা বইগুলো বাসায় নিয়ে পড়ার জন্য নিতে পারবে। এবং সপ্তাহে একদিন তাদের বাংলা ক্লাসের জায়গাতে গল্প ক্লাস হবে।
মিরসরাইয়ের লাইব্রেরি করা শেষে রওনা হলাম ফটিকছড়ির উদ্দেশ্যে। তবে দূরত্বটা নেহায়েত কম নয়, ফটিকছড়ির বখতপুর দায়রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে বিকাল হয়ে যায়। সেখানেও বাচ্চারা গল্পের বই আসছে শুনে স্কুল থেকে যেতে রাজি না। স্কুলে গিয়েই তাদের হাতে বইগুলো ধরিয়ে দিয়ে তাদের আনন্দ দেখতে লাগলাম।
আমাদের দেশের বাচ্চারা এখনো বই পড়তে ভালোবাসে, তাদের জন্য লাইব্রেরি করতে না গেলে হয়তো জানাই হতো না। বই পাওয়ার পর তাদের খুশি না দেখলে তারা শুধু মোবাইল এর প্রতিই আগ্রহী এই ভুল ধারণা নিয়েই পার করতাম জীবন।
এমন আরো হাজারো বাচ্চার কাছে বই পৌঁছে দিতে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে BAAI- BANGLADESH ASSOCIATION OF AMERICA, INC. তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার এলাকার আশেপাশে লাইব্রেরি করতে যোগাযোগ করতে পারেন https://www.facebook.com/porua.the.reader/ অথবা ০১৯৪৪৯১২৭২৯ এই নাম্বারে।
আলো আসবেই, অন্ধকার দূর হবেই বই পড়ুয়া জাতির হাত ধরে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭