ধর্মীয় রীতি অনুসারে আমরা ইমাম হোসেনকে স্মরণ করতে পারি। যুদ্ধক্ষেত্রে তার বীরত্বসহ জীবনের নানা পর্যায় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু এই বাচ্চা ছেলেটিকে রক্তাত্ত্ব করে কেন আমাদের তাকে স্মরণ করতে হবে! এই শিশুটিরতো কে ইমাম হোসেন, কারবালা কী জিনিস, এসব বোঝার বয়স এখনো হয়নি। তাহলে কেন ধর্মের নামে আমরা তার মাথা খানিকে তরবারির নিচে ধরছি?
যে ছেলে এভাবে রক্ত দেখে বড় হয়, বড় হয়ে সে কারো গা থেকে রক্ত ঝরাবে না এ নিশ্চয়তা কে দেবে?
ঘটনাটি ভারতের আহমেদাবাদের। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তক ডেইলি মেইল মুসলমানদের কারবালা উদযাপন নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমি নিচে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ছবি দিলাম। এসব ছবি দেখে একজন মানুষের এমনটা ভাবা অস্বাভাবিক নয় যে, মুসলমানরা আজও সভ্যতা পায়নি। তারা হিংস্র ও অমানবিক। যদি কেউ এমন ভাবে তাহলে কীভাবে তাকে দোষ দিবেন আপনি!
আমি জানিনা, ইসলামের ব্যাখা এবেলা কী! এভাবে রক্ত ঝরাণো ছাড়া কি আর কোন উপায়ে ইমাম হোসেনকে স্মরণ করার সুযোগ নেই! যারা মুসলিম পণ্ডিত আছেন, বিশেষ করে শিয়া মুসলিম পণ্ডিত, তাদের উচিৎ বিষয়টি নিয়ে বসা। এটা একবিংশ শতক, অন্তত এ বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে কারবালা দিবস উদযাপনের এ ধরন পাল্টানো উচিৎ!
আশার কথা হচ্ছে, নিউজটির নিচে বেশ কয়েকজন বলার চেষ্টা করেছেন, এ কাজটাকে মূলধারার ইসলাম সমর্থন করে না। এখানে মুসলধারার ইসলাম বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে তার কোন ব্যাখা মন্তব্যকারী দেননি। আমার কথা হচ্ছে, এভাবে কারবালা দিবস উদযাপনের রীতিকে যদি মূলধারার মুসলমানরা অবৈধ মনে করে তাহলে তাদের উচিৎ যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা। এতে ভুল বুঝাবুঝি কমবে। মুসলমানদের নিয়ে পশ্চিমা সমাজে যে ভয় ও ভুল ধারণা তাও কমে আসবে।
যাইহোক, বাংলাদেশে যেন কেউ এমন নির্মম উপায়ে কারবালা পালন করতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আমার কাছে, বিষয়টাকে ধর্মের নামে অধর্মের বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭