কিছুটা সময়ের জন্য ধর্মটা ভুলে যান, ভুলে যান দেশ নামক সীমানা পরিচয়। নিজের রাজনৈতিক পক্ষপাতটাকে পায়ে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেন। তারপর তাকান নাফ নদীর দিকে। দেখুন একদল অস্ত্র সজ্জ্বিত মানুষ মারছে আর একদল নিরস্ত্র মানুষকে। শুধু মারছে না, তাদের বোনদের ধর্ষণ করছে, মা’দের বিবস্ত্র করছে, বৃদ্ধ বাবাদের না খাইয়ে উপোস রাখছে। আর মৃত যুবকদের বিকৃত লাশ ঝুলিয়ে রাখছে গাছের সাথে।
ঠিক একইরকম পরিস্থিতীর মুখোমুখি আমরা ৭১ এ হয়েছিলাম। আমাদের পূর্ব পপুরুষরা যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে পরদেশে আশ্রয়ের জন্য ছুটেছিল আজ আমরা কীভাবে একই দৃশ্য দেখে চুপ থাকি!
সুচির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নিতে অনলাইনে আবেদন
যে মানুষ তার বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয় আজ তার সে দ্বায় রয়েছে নিপীড়িত এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর। অন্তত এটা বলা তার দায়িত্ব এভাবে কোন মানুষকে তোমরা হত্যা করতে পার না। হত্যার এ উৎসব বন্ধ কর।
আমরা আশা করেছিলাম, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সুচির বিজয়ে পরিস্থিতী স্বাভাবিক হবে। রোহিঙ্গারা তাদের স্বাভাবিক জীবনের গ্যারান্টি পাবে। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা, সুচির আমলে নির্যাাতন আরও বেড়েছে। নাফ নদী ফুলে উঠেছে মানুষের রক্তে।
সুচির এই প্রাণ বিধ্বংশী হিংস্র অবস্থানের প্রতিবাদ জানাচ্ছে একদল মানবতাবাদী। তারা শান্তির জন্য একদিন সুচিকে যে নোবেল দেওয়া হয়েছিল তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে। আর দাবির পক্ষে খুলেছে একটি পিটিশন। সবায় এ পিটিশনে সাইন ইন করুন। বিশ্বকে জানার সুযোগ করে দিন মিয়ানমারে মানবিক সভ্যতা আজ বিপর্যন্ত। মধ্যযুগের সেই বর্বরতা দেশটির বৌদ্ধ মৌলবাদীদের বর্বতার কাছে হার মেনেছে।
পিটিশনের লিংক আবারো দিলাম:
মিয়ানমারের চলমান গণহত্যার এক কার্যকর প্রতিবাদ হতে পারে পিটিশনে সাইন ইন করা।
আসুন ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী থেকে না, মানবতা বিপন্ন হচ্ছে এই বোধ থেকে আমরা মৌলবাদী বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করি।
এ নিয়ে বিবিসির সংবাদ
জয় হোক মানুষের।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩