তাপমাত্রা মাইনাস ৫/১০/১৫ বা ২০ ডিগ্রী। পুরো দেশ যেন একটা সাদা চাদরে ঢাকা। দেশে বসে আমরা হয়তো এমন আবহাওয়া কল্পনাও করি না। কিন্তু পুরো ইউরোপ জুড়ে এটাই স্বাভাবিক। গত’কদিন ধরে টানা তুষার পড়ছে ইস্তাম্বুলে। গতকাল সারাদিন উপোস ছিলাম এই তুষার ঝড়ের মধ্যে শুধু খাওয়ার জন্য বেরুব না বলে। কিন্তু আজ একাডেমিক কাজে বের হতেই হলো।
হঠাৎ মাথায় এলো দেশের মানুষের সাথে তুষারের কিছু ছবি শেয়ার করি। নিজের ফোন দিয়ে কিছু ছবিও তুললাম। কিন্তু বরফে ঢাকা রাস্তায় হাঁটাই যেখানে পুলসিরাত পার হওয়া সেখানে ছবি তুলা খুবই মুশকিল। ২/১ মিনিটের মধ্যে পুরো হাতে রক্ত জমে টকটকে লাল, যেন এখনই ফেটে রক্ত বেরুবে।
এই ছবিগুলোর বেশ কয়েকটা মহল্লার ফাঁড়ি রাস্তা থেকে তোলা। আর কয়েকটা আমার প্রফেসরের কাছ থেকে নেওয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই সময়ে প্রথম তুষার দেখার আনন্দ ফ্রেম বন্দী হয়েছিল, সেখান থেকেও তিনটা শেয়ার করলাম।
আজ তুষার ঝড়ে ভিজতে ভিজতে ভাবছিলাম। স্রষ্টা, আল্লাহ, ভগবান, ইশ্বর বা প্রকৃতি যে শব্দেই পেছনের কারিগরকে অভিহিত করি না কেন তিনি বেশ বুদ্ধিমান। একবারও ভেবে দেখেছেন আমার দেশের রাস্তা তুষারে ঢাকা পড়লে কত শত মানুষ শুধু ঠাণ্ডায় মারা যেত!!!
তার্কিশে তুষারকে বলা হয় খার। পুরো দেশটা ছোটখাট পাহাড় কেটে বানানো। সুলতান সুলেমানের এ ভূমিকে যেন প্রকৃতি ভালোবেসে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। তার্কির মধ্যে ইস্তাম্বুলের আবহাওয়াকে সহনশীল ও স্থিতিশীল বলা হয়। অন্য শহরগুলো অধিক তুষারের কারণে জনজীবন বীপর্যস্ত হলেও ইস্তাম্বুলে তেমন একটা হয় না। ও, ২৪ ঘন্টাই সিটি কর্পোরেশন নিয়োজিত ক্লিনাররা কাজ করে রাস্তা সচল রাখার জন্য!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪০