দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলার মতো ‘শিক্ষিত’ আমি না। সে জায়গায় যাওয়ার জন্য যে চেষ্টা করা দরকার তাও কোনদিন করতে পারব বলে মনে হয় না। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার কথা ছিল আমাদের বিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের, মান্যবর বুদ্ধিজীবীদের। কিন্তু তারা কেন জানি না সবকিছু নিয়েই আজকাল বড় নিরব। কখনো কিছু একটা বলেন বটে তবে কী বলতে চান তা বুঝা মুশকিল হয়ে যায়। ইনিয়ে বিনিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সমাজপতিদের গুণগান গাওয়ায় তাদের যতটা আগ্রহ দেখা যায় ততটাই অনাগ্রহ সামাজিক দূষণ নিয়ে বলায়। সে যাইহোক, তাদের মতো বিজ্ঞজনেরা থাকতে কেন আমি লিখতে গেলাম? এর পেছনে প্রধানত কাজ করেছে একজন ‘ক্রীতদাশ’ হিসেবে নিজে যা বুঝি তা বলা বা মনের অভিব্যক্তি আমার মালিকের (রাষ্ট্রের) কাছে জানানোর অধিকারবোধ। আর একটা ব্যাপার হলো, জীবনের পথে চলতে-ফিরতে নিজের দেখা অভিজ্ঞতাটকু শেয়ার করা। আমি যেমনটা ধারণা করি, যারা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকেই আমার চেয়ে বা অন্য যে কারোর চেয়ে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। এই যে যারা জানে বা যারা জানে না তাদের কেউই বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলতে চান না, উদ্যোগী হন না। হলে হয়তো বাড়তি ঝামেলা নিতে হবে তাই।
কর্মকর্তারা নির্বিকার থাকলেও রাষ্ট্রের নির্বিকার থাকার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। আজ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধমিক পরীক্ষাটাকে যেভাবে খেলো বানিয়ে ফেলা হয়েছে তা অতিসত্ত্বর বন্ধ না করলে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে এই রাষ্ট্রকে। শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণহীন ভয়াবহ মহামারী শুরু হবে। একটা জনপদ ধ্বংশের জন্য এই বিমারই যথেষ্ঠ। একজন তরুণ নাগরিকে হিসেবে আমি তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না। সেই উদ্বেগেরই খানিকটা এখানে। বিতর্ক তৈরি হতে পারে যুক্তি দেখিয়ে একটা অনলাইন লেখাটা প্রকাশ করতে অপারগতা জানিয়েছিল। তবে তা যুগান্তর প্রকাশ করল আজ। ধন্যবাদ প্রিয় যাবের ভাইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
যুগান্তরের লিংক, স্ট্যামফোর্ডকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কিছু হবে না, চাই আমূল সংস্কার!
প্রায় একইরকম একটা লেখা এর আগে সামুতে পোস্টাইছিলাম। তবে এটা আগেরটার পরিমার্জিত রুপ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১