ধরেন দুইজন বন্ধু। আরও ধরেন, তারা পড়াশোনা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন প্রাইভেট সংবাদ হাউজের তরুণ কর্মজীবী। একই ব্যাচ, একই বিভাগ। বিভাগের নাম দিলাম সাংবাদিকতা আর তাদের নাম যথাক্রমে টনা ও মনা। এখানে যে কাহিনীটা বর্ণিত হচ্ছে তা টনার জবানিতে, জীবন ও সংসার নিয়ে ‘টনা-মনাভিজ্ঞতা’। তো শুরু হোক আজকের দ্বিপক্ষীয় সংলাপ।
একদিন মনা ভাইরে কইলাম, বয়সতো আর কম হইল না। বিয়েশাদি কি কপালে নাইরে! ভাই প্রায় কান্দা কান্দা কণ্ঠে, কোন লক্ষণতো দেখি না। মাইয়ার মাগুলা হইছে দুনিয়ার হারামি। ‘সরকারি চাকরিজীবী না’ শুনলেই গুটিবাজি শুরু করে দেয়। আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, লো… সাংবাদিকতায় পইড়াওতো দেখি বিপদে পড়ছি। বড় ভাইগুলারে দেইখা যা বুঝতাছি, ফকিন্নী টকিন্নী ছাড়াতো সাংবাদিকদের কপালে কিছু জুটে না। ভাই: ক্লিকবাজ আর ছোটলোকে ভরা মিডিয়া হাউজগুলো। নোটিশ ছাড়া চাকরি খাইয়া দেয়। কে নিজের মাইয়ারে জাইনা শুইনা সাগরে ভাসতে দেয়। আমি: তোর ওয়ালে যে টু করলেই লাফ দিয়ে উঠে কয়েকটা দেখি। এইগুলা কি সবই ফকিন্নী। ভালো টালো নাই? ভাই: আছে না। বহুৎ আছে। আমি: সবচেয়ে ভালো হয়। একটারে লইয়া ভাইগা যা। ভাই: তাই করমু চিন্তা করতাছি। এ ছাড়াতো কোন উপায়ও নাই।
এবার আমি ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা চিনু ভাই বিয়া করেনা ক্যারেরে? মনা ভাইয়ের ভয়েস একদমই চেঞ্জ। চোখ লাল টাল করে, ক্ষেইপা টেইপা: চিনু ভাইয়ের বিয়া নিয়ে তোমার এত চুলকায় ক্যান, হে! বড় ক্লাসে পড়লেও তোর চেয়ে বয়সে ছোট সে। তুইতো বুইড়ার হাড্ডি, আমাগো দাদার সমান বয়স। তুই বিয়া করতে পারস না ক্যারে। আগে নিজে কর, তারপর আরেকজনের খবর নিস। যত্তসব, নিজের কোন খবর নাই, আইছে আরেকজনের বিয়ার ঘটকালি করতে। ধইরা থাপড়ানো দরকার, তাইলেই চুলকানি টুলকানি সব ছুইটা যাইব
বি, দ্র: ভাই-বোনদের মধ্যে চিনু ভাই মনা ভাইয়ের দুই জনের বড়। একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। উনি ২০২০ সালের দিকে বিয়ে করলে ২০২২ সালে করবেন পরেরজন। তারপর আসবে মনা ভাইয়ের সিরিয়াল।
যাইহোক, আরেকবার শুভ বন্ধু দিবস। চিরঞ্জীব হোক সে বন্ধন, পরিবারের বাইরে যে বাঁধন জালে ভালোবাসার বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসের আবছায়াটা হলেও খুজেঁ পাওয়া যায়। অভিমান, রাগ, ক্ষোভ, উচ্ছাস ও আনন্দ জলে ভাসা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩০