somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বংশপরিচয়

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল।
দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কটি একটি পরিণতিতে এগুচ্ছিল। কায়সার একদিন তার বন্ধু রনিকে বলল, শেষ পর্যন্ত শেষ টার্মিনালে পৌছাবো দোস্তো।
কায়সার-মিলার ছয় বছরের প্রেম। ফেমেলী মেনে নিয়েছে অবশেষে। তেমন সমস্যা হয় নি। হওয়ার কথাও না। কায়সার পড়াশুনা শেষ করে একটি মোবাইল কোম্পানীতে ভালো বেতনের চাকরী পেয়েছে। আর মিলারও পড়াশুনা শেষ। চাকরী খুজছে। মিলা দেখতেও অসাধারণ সুন্দরী। কায়সারের বাবা-মার মানা করার প্রশ্নইতো আসে না। তাছাড়া কায়সার তাঁদের একমাত্র পুত্র। তার পছন্দই বাবা-মা মেনে নেবে। এমনটা তার বিশ্বাস ছিল।
ওদের দুজনের বিয়ে হবে, সংসার হবে; এই স্বপ্নটাতো বহুদিনের। সেই স্বপ্নের একদম দার প্রান্তেই ছিল সব কিছু।
এই তো সেদিন কায়সারকে নিয়ে মিলা মারকেটে মারকেটে ঘুরে বেড়িয়েছে। শেরওয়ানী, পাগড়ী, পাঞ্জাবী আরও কতো কি কিনলো তারা।
মিলার বড় ভাই মিলটন কায়সারকে নিয়ে স্যূট বানাতে দিয়ে আসলো।
মিলার ক্ষেত্রেও একি অবস্থা। কায়সারের মা মিলাকে নিয়ে শপিং করছেন। সব কিছুই মিলার পছন্দের হতে হবে এমনটাই চান কায়সারের মা। তিনি বলেই দিয়েছেন, দেখো মা, আমি এতো কষ্ট করে তোমার জন্য বিভিন্ন জিনিস কিনবো কিন্তু তোমার পরে পছন্দ হবে না; এটা হওয়ার চেয়ে তুমিই আমার সাথে গিয়ে তোমার পছন্দের জিনিস কিনে নাও।
তাই মিলাও খুশি মনে হবু শাশুড়ীর সাথে মারকেট ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
দুই পক্ষের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল খুব জোরেসোরে। কোনদিকে যাতে ঘাটতি না পড়ে সে দিকে নজর সকলের।
খাওয়ার মেনুর দিকেও নজর আছে তাদের। কোনো মেহমান যাতে বলতে না পারে যে, খাওয়া ভালো হয়নি। ঢাকার ভালো বাবুর্চিও ভাড়া করা হয়েছে।
সবই চলছিল অত্যন্ত আগ্রহের সাথে। হঠাৎ সে আগ্রহের আগুন নিভে গেলো। বিয়ের সমস্ত আয়োজন অনুষ্ঠানের ঠিক দুদিন আগে বন্ধ হয়ে গেলো। দু’পক্ষের মাঝেই নেমে আসলো কালো মেঘের ছায়া।
মিলার বাবা সরাসরি কায়সারের বাবাকে ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন, ইটস ইমপসিবেল।
প্রথমে কায়সারের বাবা ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারছিল না। পরে ঘটনাটি শুনে তিনি নিজেই স্তব্ধ হয়ে যান। কায়সারের মা স্বয়ং। কায়সারের মাও ঘটনাটি জানতেন না। তাদের বিয়ে হয়েছে ৪০ বছর। এই ৪০ বছরে এসব কথা কোনোদিনও আসে নি। তবে আজ কেনো নিজ পুত্রের বিয়েতে এধরনের কথার সৃষ্টি হলো!!
অনেকটা কষ্ট বুকে নিয়েই তিনি তার স্বামীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ইজ ইট ট্রু?
তার স্বামী জাহেদ খান একদম নিশ্চুপ ছিলেন। তিনি নির্বাক ছিলেন।
বিয়ের আগে বংশের পরিচয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বলে একশত বছর আগের ঘটনাও বংশ পরিচয়ের মাঝে উঠে আসবে এটা জাহেদ খান নিজেও ভেবে দেখেননি।
কায়সারও ব্যাপারটা বুঝতে পারছিল না। বাসার সবার নিরবতা ওকে অস্থির করে তুলেছিল। মাকে সে অনেকবার প্রশ্ন করেছে। মা শুধু অশ্র“ ঝরিয়েছেন। কিন্তু কিছুই বলছিল না। শেষমেষ বাধ্য হয়ে মিলাকেই ফোনটা করে।
- মিলা, কি হয়েছে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। কেউ তো আমাকে কিছুই বলছে না।
মিলাও কোনো উত্তর দেয় না। এক পর্যায়ে ফোন কেটে দেয়। কায়সার আবার ফোন করে। মোবাইলে রিংয়ের পর রিং হতে থাকে। কিন্তু কিছুতেই সে কলটি রিসিভ করে না মিলা।
কায়সার পাগল হয়ে ওঠে। সারাদিন অফিস করে সে ঘরের হঠাৎ পরিবর্তন মেনে নিতে পারছে না। এরপর সে ফোন দেয় মিলার বড় ভাই মিলটনকে।
- ভাইয়া প্লিজ আমাকে একটু বলেন কি হয়েছে। সবাই এমন করছে কেনো! কি হয়েছে?
মিলটন কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। তারপর বলে, আস্ক ইউর ফাদার। হু ইজ হি।
- মিলটন ভাইয়া প্লিজ। আপনি অন্তত এমন করে কথা বলবেন না। আমাকে একটু ব্যাপারটা বলেন।
মিলটন এরপর আর কথা ঘুরায় না। সরাসরিই বলে দেয়, তোমার বংশে কেউ একজন এক ইংরেজের রক্ষিতা ছিল। ইউ নো রক্ষিতা মিনস? ওয়ান কাইন্ড অফ প্রস্টিটিউট।
কায়সার হতবাক হয়ে যায়। ইংরেজদের রক্ষিতা মানে কি! সেতো বহু বছর আগের ঘটনা। কে ছিল। আর এতো বছর পর এসব বন্দনা হওয়ার মানে কি! কায়সার ভাষা হারিয়ে ফেলে। ফোনের লাইনটা সে নিজেই কেটে দেয়।
দৌড়ে যায় বাবার কাছে। বাবা প্লিজ; চুপ করে থেকে লাভ নেই। আমাকে বলো এর মানেটা কি! আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জাহেদ খান তখন বারান্দায় দাড়িয়ে সিগেরেট টানছিলেন। আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, দিস ইজ মাই হোম সান। ঢাকা শহরের এই বাড়ি আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে বানিয়েছি। কোনো পৈত্রিক সম্পত্তি জাহেদ খান পায়নি। আজ জাহেদ খান নামটা নিজের প্রতিষ্ঠিত নাম।
- বাবা প্লিজ। কথা লাইন মতো বলো।
এবার জাহেদ সাহেব ঘুরে দাড়ালেন। বারান্দায় রাখা রকিং চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলেন। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন আবার আকাশের দিকে। তারপর বলতে শুরু করলেন, ইতিহাস বুঝিস বাবা! ইতিহাস। তোর ভাগ্য এখন হেরে যাচ্ছে সেই ইতিহাসের কাছে। যে ইতিহাস আমারও শোনা। আমিও শুনেছি আমার বাবার কাছে। আমার বাবাও শুনেছে তার বাবার কাছে। আসল ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা কেউ জানে না। কিংবা বলা যেতে পারে আদও তা ঘটেছিল কিনা তাও কেউ জানে না। আমার বংশের কোনো এক মহিলা এক ইংরেজের রক্ষিতা ছিল। নাম ছিল চন্দ্রদেবী। হিন্দু ছিল। ইংরেজদের একটা প্রচলন ছিল যে রক্ষিতাদের তারা পছন্দ করতো; সে সকল রক্ষিতাদের মাঝখান থেকে তারা একজনকে বিলেত যাওয়ার সময় নিয়ে যেতো। সেই চন্দ্রদেবী নাকি আসলেই চন্দ্রের মতো সুন্দরী ছিলেন। যার রূপ ছিল দেখবার মতো! সেই চন্দ্রদেবীকেই ইংরেজ লোকটি সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন বিলেতে। সেই সময় বিলেত যাওয়া হিন্দু ধর্মে নিষেধ ছিল। বিলেত যাওয়া মানে জাত যাওয়া। এমন একটা ধারনা ছিল গোড়া হিন্দুদের। যেহেতু চন্দ্রদেবী সেই ইংরেজকে মনে প্রাণে ভালোবেসে ফেলেছিলেন তাই তিনি এসব তোয়াক্কা না করে চলে গেলেন বিলেতে।
কায়সার অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো, চন্দ্রদেবীর বাবা-মা বাধা দেয়নি?
জাহেদ সাহেব হেসে ওঠেন আর বলেন, সে সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কার ছিল রে বাবা। তো, সেই যে গেলো চন্দ্রদেবী আর কোনো খোজ গ্রামের কেউ জানতো না তার সম্পর্কে। হঠাৎ এক বিকেলে গ্রামের নদীর ঘাটে এক নৌকা ভিড়লো। বিশাল এক নৌকা। সেই নৌকা ঘিরে রেখেছে গ্রামের সব মানুষ। সবাই হুড়মুড় করে নৌকার ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সে সময় সেই চন্দ্রদেবী প্রায় ৩০ বছর পর দেশে ফিরেছেন। তাকে দেখা মাত্র গ্রামের মানুষ মুখ গম্ভীর করে যে যার বাড়ীতে চলে যায়। সে যখন আসে তখন তার পিতা-মাতা গত হয়েছিলেন। কিন্তু তার বড় ভাই ছোট বোন সবাই ছিল। বড় ভাইয়ের বউ, ছোট বোনের জামাই তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার জানায়। যেহেতু গ্রামের অধিকাংশই হিন্দু তাই গ্রামের কারও ঘরেই চন্দ্রদেবীর জায়গা হলো না। চন্দ্রদেবী তবুও তার ভাইয়ের ঘরের সামনে অনেক কেঁদেছে। বলেছে কিভাবে অনেক কষ্টে সে দেশে ফিরেছে। তার সেই ইংরেজ লোকটি হঠাৎ মারা যায়। পরে সে বিলেতের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে। কতদিন না খেয়ে না দেয়ে কাটিয়েছে। পরে সৌভাগ্যক্রমে এক দয়াশীল বৃদ্ধ মহিলা তাকে অর্থ দিয়ে এই বিশাল নৌকাটাতে উঠিয়ে দেন। বিলেত থেকে সেই মহাসমুদ্র সে এই নৌকা দিয়ে পার করে নিজ দেশে ফিরে এসেছে। চন্দ্রদেবী যখন আসে তখন তার সাথে এক পুত্র সন্তান ছিল। বলাই বাহুল্য এই সন্তান সেই ইংরেজের রক্ত বহন করছিল। যাইহোক, কোনোভাবেই তাকে তার ভাই গ্রহণ করলোর না।
অতপর, সেই গ্রামের মসজিদের ইমাম তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার অনুরোধ জানায়। ইমাম বললেন, মা, আপনি তো হিন্দু থেকে আর সে স¤প্রদায়ে মিশতে পারবেন না। তার চাইতে অন্তত আপনার এই সন্তানটার দিকে তাকায়া আপনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। অন্তত পেটের ভাতটাতো জুটাইতে পারবেন।
চন্দ্রদেবী অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। এরপর সেই মুসলমান স¤প্রদায়ের সাথে সে ধীরে ধীরে মিশে গেলো। আর তার সেই সাদা ছেলেও গ্রামের সাথে মিশে গেলো।
চন্দ্রদেবীর নাম বদলে হলো চাঁদ বেগম। আমরা হলাম সেই চাঁদ বেগমের বংশধর।
আর আজ তোর বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে চাঁদ বেগমের বংশধর হওয়ার অপরাধে। মিলার চাচা আমাদের গ্রামে খোজ নিতে গিয়ে এই তথ্যের সন্ধান পায়।
কায়সারের অবাক হওয়া ছাড়া গতি নেই। এমন রোমাঞ্চকর ঘটনা সিনামে-গল্প-উপন্যাসে হয়। কিন্তু সে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারছে না। এও বা কি করে সম্ভব! চন্দ্রদেবীর বিলেত যাওয়া তারপর আবার ফিরে আসা এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা এ সবই কেমন যেনো! সেই চন্দ্রদেবী হলো একটি বংশের স্রষ্টা। কি অদ্ভুত!
কায়সার কিছুই ভেবে পায় না। তার এখন কি করা উচিত। হঠাৎ তার বাবা আবার বলে উঠেন, বুঝলি বাবা, এ পৃথিবীটা কেমন যেনো। কোনো কিছুর কোনো মানে এ পৃথিবী ভেবে দেখে না। হয়তো শত বছর আগের এই ঘটনাটি। কিন্তু তখন এ পৃথিবী কিংবা সেই চন্দ্রদেবী কি ভেবেছিল তার বংশের এক ছেলের বিয়ে ভেঙে যাবে তার পরিচয়ের কারণে!
প্রতিটি ঘটনার নাকি একটি উদ্দেশ্য থাকে। কিন্তু চন্দ্রদেবীর ঘটনাটির কি উদ্দেশ্য ছিল কে জানে!
এক সময় আমি খুব গর্ববোধ করতাম। কারণ, এসব ঘটনা ইতিহাসে আমরা পড়েছি। আমরা পড়েছি, এক সময় আমাদের দেশে হিন্দু সম্প্রদায় ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধর্মীয় গোড়ামীর কারণে অনেক হিন্দু মুসলমান হতে শুরু করে। আমার বংশের এই ঘটনাটি হয়তো ব্যতিক্রম। তাই মনে মনে বলতাম, চন্দ্রদেবী আমাদের অহংকার। সংগ্রাম করে তিনি একটি বংশের পরিচয় পৃথিবীতে টিকিয়ে রেখেছেন।
আর আমাদের বাংলার মানুষতো সুযোগ খুজে কখন কার কি দোষ পাবো আর তার পিছে লেগে যাবো। ভালো কিছুতো তারা জানতে চায়ও না। বাংলাদেশের কয়টা মানুষ জানে, ভারতীয় এক মহিলাকে এক ইংরেজ বিয়ে করে নিয়ে যান বিলেতে। সেখানে তাদের সন্তান হয়। নাম হচ্ছে, অ্যামেলিয়া জেনকিনসন। সেই অ্যামিলিয়া জেনকিনসনের পুত্র ১৮১২ সাল থেকে ১৫ বছরের জন্য বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হন। এই ঘটনাটি কেউ কি জানে? কিংবা জানলেও কয়জন জানে! ওটা তো গর্ব করার মতো ঘটনা। আমরা কলংক নিয়ে বেঁচে থাকতে পছন্দ করি। কারণ, আমরা সমালোচনা করতে পছন্দ করি। যদি কলংককে জীবিত না রাখা যায় তবে সমালোচনা কীভাবে হবে! গর্ব করার মতো ঘটনা আমরা খুব সহজে ভুলে যাই।
এসব বলা শেষ করে জাহেদ সাহেব একটা দীর্ঘ নিশ্বাস নেন। তারপর বলেন, আমি নিজের যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছি মাই সান। এই পর্যন্ত আসতে আমাকে অনেক ঘাম ঝড়িয়ে আসতে হয়েছে। তারপরও আমার পরিচয় আজ তোকে কিছুই দিতে পারলো না। আমি যাই হই না কেনো মাই সান, আমি তো এক রক্ষিতার বংশধর।
বলতে বলতে কেঁদে দেন জাহেদ সাহেব। অঝোরে কাঁদতে থাকেন। আর বলেন, আই এম সরি মাই সান, আই আম সরি। আই হ্যাভ নো আইডেন্টিটি.......

কায়সার কি বলবে! কিছুই সে ভেবে পায় না। হাঁটতে হাঁটতে নিজের রুমে যায়। রুমে ডিম লাইট জলছে। কেমন যেনো নিস্তব্ধতা। ভেবে সে কিছুই পায় না। এতো বছর পর এসব কি ঘটনা সে শুনছে! একটি মানুষের বংশ পরিচয়টাই কি আসল! সেখানে এতোদিনের ভালোবাসা, এতো দিনের স্বপ্ন সব হেরে যাবে সেই বংশ পরিচয়ের মাঝে। এটা কেমন কথা।
হঠাৎ কনিংবেল বেজে ওঠে। জাহেদ সাহেব তখনও বারান্দায় আর কায়সারের মা বেডরুমের জানালার শিক ধরে তখনও চোখের পানি ফেলছেন।
কায়সার হেটে যায় দরজার দিকে। ড্রয়িংরুম পেরিয়ে কায়সার দরজাটা খোলে।
দরজাটা খুলেই কায়সার অবাক হয়ে যায়। মিলা দাড়িয়ে আছে।
- তুমি!!
মিলার হাতে একটি ছোট্ট ব্যাগ। শাড়ী পরেছে। খুব সুন্দর লাগছে মিলাকে। কপালে সাধারণত টিপ পরে। কিন্তু আজ কোনো টিপ নেই। মিলার চোখের দিকে কায়সার তাকায়; ঠিক তখনই মিলা বলে ওঠে, আমি তোমাকে ছয় বছর ধরে চিনি। ওটাই আমার কাছে তোমার পরিচয়।
কথাগুলো বলার সময় মিলার চোখ থেকে গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল।
কায়সার হেসে বলল, ভেতরে আসো।
২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×