ডাঃ গুলব উদ্দিন ( রম্য)- ২য় পর্ব
আবার পত্রিকার দিকে নজর দিলেন ডাঃ গুলব উদ্দিন। পত্রিকা পড়ছেন আর বিরক্তি বোধ করছেন। তিনি ভেবে পাচ্ছেন না সাংবাদিকদের কি কোন কাজ নেই? আজেবাজে খবর ছাপিয়ে দেশের বারোটা বাজাচ্ছে।
এটা একটা খবর হল? " স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে ফেসবুক" ফেসবুকে নাকি বিভিন্ন পেজ আছে যেখানে বিশেষজ্ঞরা ভিবিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন। আজব দেশ! আজব সাংবাদিক! ফেসবুক যদি সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে তাহলে ডাক্তার কী জন্যে? সাংবাদিকেরা কি এটা বুঝে না?
এসব দেখে তার খুব রাগ হচ্ছে। গুলব উদ্দিনের রাগ। সবার মত যেই সেই রাগ না! রাগে পত্রিকা ময়লার ঝুড়িতে চলে গেছেন।
তার রাগ আরো বাড়িয়ে দিতেই কিনা কে জানে, বুড়ো মত একজন প্রবেশ করলেন। বসেই সোজা মূল প্রসঙ্গে চলে গেলেন।
- গুলবাবু আমি ......
তাকে কথা শেষ করতে দিলেন না গুলব উদ্দিন। চেচিয়ে উঠলেন "আমি গুল না, আমি গুলব"
- ঠিক আছে, গোল গোলক ঐ একই কথা।
এসব মানুষকে বুঝানো যাবে না। হাল ছেড়ে দিলেন ডাক্তার। তাকে বলার সুযোগ দিলেন।
- ইদানিং আমার স্ত্রী আমার সাথে চিৎকার করে কথা বলে। আর বলে আমি নাকি কানে কম শুনি। কিন্তু আমার মনে হয় সমস্যা আমার না, ওর! তারপরও আপনি একটু চেক করে দেখুন।
-আমি কানের ডাক্তার না। মেডিসিনের ডাক্তার।
- ঠিক বলেছেন! আমিও তাই ভাবছি। ওকে মেডিসিন দিতে হবে।
ডাক্তার গুলবুদ্দিনের অবস্থা বেশ ডাইল, যাকে বলে একেবারে ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা আর কি! ভাবছেন, কেন যে ডাক্তারী পড়ললেন, জীবনে শান্তি বলে আর কিছু রইল না! কতকিছুই ত করা যেত। তা না, সর্বসুখ বিসর্জন দিয়ে ডাক্তারী পড়ে এখন হাফ পাগল হওয়ার অবস্থা!
ঘরে জ্বালা বাইরে জ্বালা চেম্বারে জ্বালা পত্রিকায় জ্বালা। চতুর্দিকে শুধু জ্বালা। এরকম চলতে থাকলে কিছুদিনের ভিতরে গারদে যেতে হবে। (চলবে)