somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুরোধের গল্প

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চিনতে পারার কথা। একটু ভাবতে নিলেই মনে পড়ে যায়। অার মনে পড়বেইনা বা কেন! এমন ছেলেকে ভুলে যাওয়া যায় নাকি! অদ্ভুত রকমের ছেলেটা। প্রথমে মনে হচ্ছিলো পুরো গম্ভীর একটা। কেমন মেপে মেপে কথা বলা, গা ছাড়া গা ছাড়া ভাব। অার ছেলেটার মধ্যে এখন পর্যন্ত স্থায়ী একটা বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, ছেলেটা নিজের প্রতি যত্নের ব্যাপারে বড্ড উদাসীন।
সৌরভ, ছেলেটা অাসলে অতোটা গম্ভীর না। তবে গাম্ভীর্যের অাবহে বেশ মানায়ও ছেলেটাকে।

মহুয়ার জীবনের একটা অদ্ভুত পট পরিবর্তন ঘটে সৌরভের সংস্পর্শে এসে। ছেলেটার মধ্যে কি যেন একটা অাছে। সেটা অাবিষ্কার করতে করতে অমন রহস্যাবৃত ছেলেটাকে ভালবেসে ফেলেছে মহুয়া। সৌরভের একটা কথা মহুয়াকে প্রায়ই ভাবায়, "অামার কাছে পৌঁছানো সম্ভব, কিন্তু আমার জগতে প্রবেশ করা খুব কঠিন। কঠিন বলছি কেন, বলা যায় অসম্ভব"। কথাটার সম্পূর্ণ গভীরে ঢোকার চেষ্টা করে মহুয়া। কিছুদূর এগোয়, অাবার অাটকে যায়। ছেলেটা সত্যিই দুর্বোধ্য। তবে মহুয়া হাল ছাড়ার পাত্রী নয়।

ছেলেটা যতো দুর্বোধ্যই হোক না কেন, ভালবাসায় বিন্দুমাত্র কার্পণ্য নেই তার। এতোটাও ভালবাসা যায়, সেটা সৌরভকে না দেখলে হয়তো জানাই হতো না মহুয়ার। এখন মহুয়ার রাতে ঘুম না অাসা রোগের ওষধ সৌরভ। মন খারাপের সময়টাতে মহুয়ার জন্য সাইকলজিস্ট হয়ে যায় ছেলেটা। কখনও হয়ে যায় গায়ক, কখনও কবি আবার কখনও লেখক।

ছেলেটা এতো ভালবাসে মহুয়াকে কিন্তু তাও ছেলেটা নিজের দুর্বোধ্যতা দিব্যি বজায় রেখে চলেছে, মহুয়ার রাগও হয় এজন্য। তবে ছেলেটা প্রায়ই এমনসব কান্ড ঘটায়, যা দেখে মহুয়ার রাগ নিমেষেই উবে যায়। সেদিন হলো আরেক মজার ঘটনা।

খুব শীত পড়ছে। রাতে ঘুমুতে বেশ দেরীই হয়ে গিয়েছিল সৌরভের। তো ভালোমতো লেপে পুরো শরীর ঢেকে ঘুমালো সে। হঠাৎ অনুভব হলো শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। লেপের ভেতরে থেকেও মনে হচ্ছিলো হাঁড় কাঁপানো সে শীত। বুঝে ওঠতে পারছিলো না সে। লেপ থেকে একটু মাথাটা বের করে উঁকি দিয়ে দেখলো এই ঠান্ডায় ফুল স্পীডে ফ্যান চলছে ঘরে। সৌরভের বুঝতে বাকি নেই এটা তার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য করা হয়েছে, অার মহুয়ার এমন কৌশল দেখে মুচকি হাসে সৌরভ। উঠে ফ্যান অফ করে অাবার শুতে যাবে এমন সময় মহুয়ার শাসনভরা কন্ঠে চিৎকার করে ওঠে, "তোমাকে কতোবার ডেকে গেছি, ওঠতেছো না যে? সকাল কয়টা বাজে সে খেয়াল অাছে?"
মহুয়ার চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে বিছানা ছাড়ার বদলে সৌরভ স্বভাবসুলভ মৃদু হেসে লেপটা আরও ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে অারাম করে ঘুমুতে লাগলো। আর মনে মনে নিজেকে বলতে লাগলো, "বিয়ের অাগে যতো পারো শান্তিতে শীতনিদ্রা যাও, বউ এলে অার পারবা না "
এ ঘটনাটা মহুয়াকে জানাতে হবে। মহুয়া শুনলে খুব হাসবে, মন ভরে হাসবে মহুয়া। মহুয়া এমনিতেই ভীষণ সুন্দরী। আর হাসিভরা মুখে সে আরও ভয়ংকর সুন্দর হয়ে ওঠে। সে মুহুর্তটা সৌরভের খুব প্রিয়। মহুয়াকে ঘটনাটা বলার জন্য ফোন করে সৌরভ।
ক্রিং...ক্রিং.. ক্রিং
-হ্যালো
:অাসসালামু অালাইকুম
-.......
(থাক ওদের ব্যক্তিগত অালাপ নাহয় অার নাই লিখলাম)
ভালবাসার গল্প বুনে চলেছে দুজন, রোজ, দুজনের দুষ্ট, মিষ্টি খুঁনসুটি, অভিমান, প্রতিদিন দুজনের হৃদয়ের অারও গহীনে প্রবেশ করতে থাকে দুজন। ভালবাসা জীবন্ত থাকুক, জয়তু ভালবাসা ☺☺☺

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×