যে রাজার ছেদন দাঁত বৃদ্ধি পেয়ে ছিল
অনেক বছর আগে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কেদা-তে এক জন অনেক ভালো রাজা ছিলেন। প্রজারা তাঁর খুব অনুগত ছিল। রাজা ও রাণী একটি চমৎকার প্রাসাদে বাস করতেন।
রাজা প্রতি দিনই নানা প্রকারের উপাদেয় খাবার খেতেন। এটা তার কাছে এক ধরনের শখের মতোই ছিল।
একদিন রাজা তাঁর প্রধান পাচককে তাঁর জন্য একটি বিশেষ উপাদেয় খাবার তৈরী করার জন্য আদেশ করলেন।
পাচক মহাশয় খাবার প্রস্তুত করতে রান্না ঘরে কাজ শুরু করলেন। তিনি যখন ছুরি দিয়ে সবজি কাটছিলেন তখন হঠাৎ করেই অসাবাধানতাবশতঃ তিনি তার আঙ্গুল কেটে ফেলেন।
তার কাটা আঙ্গুল থেকে ফোটায় ফোটায় রক্ত খাবারে পড়ে গিয়ে তাতে মিশে গেল।
রাজা যখন তাঁর জন্য রান্না করা খাবারের বিশেষ ডিশটি আস্বাদন করলেন তখন তিনি খুবই আমোদিত হলেন। তিনি প্রধান পাচকের খুব প্রশংসা করতে লাগলেন।
“তুমি খাবারের সাথে কি এমন জিনিস মিশিয়েছ যে এটা এতো বেশী সুস্বাদু হয়েছে”? রাজা জানতে চাইলেন।
কিন্তু প্রধান পাচক একথা র কোন জবাব দিতে পারলেন না।
পরের দিন রাজা খেতে বসে একেবারেই খেতে পারলেন না। খাবার তাঁর পছন্দ হয়নি। তিনি প্রধান পাচককে ভর্ৎসনা করে বললেন, “কেন এই খাবার গতকালের মতো সুস্বাদু হয়নি?”
প্রধান পাচক জানতেন যে, খাবার সুস্বাদু হবার গোপন উপাদানটি হচ্ছে তার নিজেরই রক্ত।
প্রধান পাচক রাজাকে খুশী করতে চাইলেন। তিনি প্রতিটি ডিশেই সামান্য কিছু রক্ত মিশিয়ে দিয়ে রান্না করলেন।
রাজা খুবই খুশী হলেন। তিনি প্রধান পাচকের খুব প্রশংসা করলেন। শিগগিরই রাজা রক্তের স্বাদ পেতে শুরু করলেন। তাঁর ছেদন দাঁত বৃদ্ধি পেতে থাকলো।
“ এটা আমি কি করতে যাচ্ছি?” রাজা লজ্জিত হয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করলেন।
কিন্তু রাজা রক্তের জন্য তার ব্যগ্রতা নিয়স্ত্রন করতে পারলেন না।
অধীর হয়ে এক রাতে রাজা একটি বালককে ধরে এনে তার ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিলেন। তিনি বালকটির রক্ত চোষে খেতে শুরু করলেন।
কয়েক জন লোক রাজার এই অভাবনীয় কান্ড দেখে ফেলল। তারা খুবই আহত বোধ করলো। তারা চিৎকার করে উঠলো, “ এক জন রক্ত চোষা রাজা! এক জন রক্ত চোষা রাজা! ”
রাজা দ্রুত দৌড়ে পালালেন। তিনি খুবই লজ্জা বোধ করতে লাগলেন।
এই ঘটনার পর রাজা মশাই আর কখনোই্ রাজ প্রাসাদে ফিরে আসেননি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৮