হাতের লেখা সুন্দর হওয়া আবশ্যক। বাল্যকালে আদর্শ লিপি নামক বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রথম পুস্তকেই্ এই মহান উক্তিটি প্রথম জানতে পারি।
কিন্তু এ গুরু উক্তিটি আমার জীবনে কোন কাজে আসেনি। আমার হাতের লেখা সুন্দর হয়নি। আমার আরেক সমস্যা আমার লেখার মান অনেক খারাপ।
আমার লেখা কেউ পড়তে চায় না। যখন দেখি আমার কোন লেখা মাত্র ১০/১১ জন পড়েছে তখন মনে হয় এর চেয়ে দলিল লেখক হলেই তো ভাল হত। দলিল লেখক তার লেখার জন্য পারিশ্রমিক নেন। ব্লগে লিখে কেউ কোন সম্মানী ভাতা পায়না। তবে মাঝে মাঝে অসম্মানের সাথে ব্যানড হয় বা জেনারেল হয়।
আমার মনে আছে, দোহারের জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমি যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন আমার এলাকার এক মুরুব্বী আমাকে বলেছিলেন-
-কোন ক্লাসে উঠলা, মিয়া?
স্কুল পর্যায়ে নাইন তখন অনেক উপরের ক্লাস। নাইনে উঠলে অন্য রকম ভাব চলে আসে। আমার মধ্যেও মনে হয় খানিকটা ভাব চলে এসেছিল। তাই বললাম
- নাইনে পড়ি।
দলিল পড়তে পার মিয়া??
দলিল পড়তে পারাটা ছিল অনেক বড় একটা কঠিন কাজ। দলিলের লেখা মানেই জটিল হাবি-জাবি টাইপ কিছু একটা। এমন বাজে লেখা খুব কম লোকই পড়তে পারে। যে ছেলে দলিলের মতো জটিল আর বাজে লেখা পড়তে পারে সে তো অবশ্যই অনেক ভাল ছাত্র। তার নাইনে উঠা সার্থক।
আমি নাইনে উঠলেও দলিল পড়তে পারিনি। এখন যত দূর জানি, দলিল কম্পিউটারে টাইপ করে তৈরী করা হয়।
তবে এই আমলে ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন পড়তে পারাটা এখনো অনেক বিদ্বান লোকের কাজ। আজ পর্যন্ত পড়তে পারা যায় এমন প্রেসক্রিপশন আমি খুব একটা দেখিনি।
ব্লগে কোন সহব্লগার ডাক্তার থাকলে রাগ না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। কেননা, কোন কোন ডাক্তারের লেখা মুক্তার মতো ঝকঝকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫০