somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিনদেশীর চোখে আমাদের মজার বাংলাদেশ। নিজেকে জানুন , দেশকে জানুন অপরের দৃষ্টিতে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমি মনে করি এই দেশটি প্রায় সব দিক দিয়েই ইন্ডিয়ার মত কারন তারা একে অপরের প্রতিবেশী এবং তাদের ইতিহাস একই সুত্রে ঘাথা। কিন্তু প্রচুর পরিমান মুসলিম জনসংখ্যা মিশে গেছে হিন্দু আর ক্রিশ্চিয়ান জনসংখ্যার সাথে আর ছোট একটি জায়গার মধ্যে বিপুল পরিমান জনসংখ্যা দেশটিকে করে তুলেছে ভিন্নতর।

১. এটি একটি মুসলিম প্রধান দেশ যেখানে প্রতিদিন ৫ বার নামাজ পরতে হয়, এবং এটি আপনি মিস দিতে পারবেন না !! প্রতিটা মসজিদেই লাউড স্পীকার আছে যেখানে priest একটি গানের মত করে সবাইকে প্রার্থনায় ডাকে। দিনের প্রথম প্রার্থনা শুরু হয় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে , ৪;৪৫ এর দিকে।
My sweet, sweet dreams… spoiled.

২. মুসলিম মেয়েরা তারা নিজেদের ঢেকে রাখে এবং “বুরকা” পরিধান করে।যদিও সবাই এমন না। কিন্তু বর্তমানে বুরকার প্রচলন বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। তারা দিনে দিনে আরও রক্ষনশীল হচ্ছে।

৩। কিন্তু এখানকার মানুষরা তত ধার্মিক না, যতটুকু প্রথম দেখায় মনে হয়। তারা খুব কম-ই ৫ বার নামাজ আদায় করে।বেশিরভাগ পুরুষ শুধু শুক্রবারেই মসজিদে যায়। এই জন্য এখানে সপ্তাহ শুরু হয় রবিবার আর শেষ হয় বৃহস্পতিবার। শুক্র আর শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি। শুক্রবার প্রায় সবকিছুই এখানে বন্ধ থাকে।

৪. এখানকার মেয়েরা রঙিন ও চকচকে হতে বেশি পছন্দ করে।তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে তারা রঙিন শাড়ি অথবা সালোয়ার কামিজ আর সাথে থাকবে চকচকে কানের দুল, গলার হার,চুড়ি আর জুতা। হ্যাঁ...প্রতিদিনই !! যখনই কেউ ঘর থেকে বের হয়, তাদের চেষ্টা থাকে যাতে তাদেরকে যথেষ্ট সুন্দর দেখায়,কারন কেউ না কেউ তাদেরকে দেখছে। বিশ্বাস হয় ???
এই ব্যাপার গুলো দেখতে অনেক ভাল লাগে , যেখানে পশ্চিমে আমরা ভুলতে বসেছি প্রতিদিনের জীবনে রঙ এর গুরুত্ব।

৫. পুরুষরা লুঙ্গি বা এক প্রকারের কাপড় পরে যেটাকে দেখতে লম্বা স্কারট এর মত লাগে। পুরুষরা আসলেই এটা পছন্দ করে আর এটি হাল্কা ও গরমের জন্য অত্যান্ত উপযোগী।

৬। স্ট্যাটাস এবং সম্পদ এখানকার সমাজে মূল্যবান জিনিস।একই শ্রেণীর মানুষরা সবসময় একসাথে থাকতে চায়। এমনকি একজন নিম্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে উচ্চ শ্রেণীর মানুষের বিয়ে এখানে গ্রহণযোগ্য নয়। ঠিক তেমনি আপনি যদি গরিব হন, ধনীরা আপনার সাথে ভাল ব্যবহার করবে কিন্তু কাজে কর্মে বুঝিয়ে দিবে যে আপনি তাদের চেয়ে নিচু।

৭। জনসংখ্যা প্রচুর---১৬০ মিলিয়ন মানুষ এই ছোট দেশটিতে বাস করে যেখানে দেশের অর্ধেকটাই নদী, পুকুর,লেক ,জঙ্গল আর উচু উচু পাহাড় দ্বারা পরিপূর্ণ।কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা ম্যানেজ করে চলতে পারছে।এখানে শুধুই মানুষ আর ভিড় , সবখানেই মানুষ...রাস্তায়, বাসে,ট্রেনে,দোকানে,অনুষ্ঠানে,রেস্টুরেন্টে,বাসায় মোটামুটি সব জায়গাতেই।

৮। মোটামুটি ৩টি প্রজন্মকে আপনি একি বাসায় পাবেন। তারা একসাথে থাকতেই পছন্দ করে, আলাদা থাকা তাদের সংস্কৃতিতে নেই বললেই চলে।এমনকি তারা তাদের মা-বাবাকে আলাদা রাখতেও ভয় পায়, কারন এতে হয়ত তারা একাকীত্ব অনুভব করবে।এই জন্যই কিছু পপুলার প্রশ্নের মধ্যে আপনার সব সময় শুনতে হবে যে প্রশ্নগুলো, তা হল...
“তুমি কি এখানে তোমার বাবা-মার সাথে এসেছ???!!!
“তুমি কি এখানে তোমার হাসব্যান্ড এর সাথে এসেছ???!!!
“তুমি কি একা???
“তোমার কি একা একা লাগে না???

৯। এখানে বয়স্করা যথেষ্ট সম্মানিত।একই সাথে পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পিতা-মাতা, দাদা-দাদি , নানা-নানি এমনকি চাচা-চাচিদেরও যথেষ্ট সম্মান ও যত্নআত্তি করে থাকে। এবং যুবসমাজ শুনতে চেষ্টা করে তাদের সিনিওররা কি বলছে-(তা এমনকি একজন রক্ষণশীল বয়স্ক দাদিমার কথাও শুনে যার কিনা তাদের ছেলে-মেয়েদের জীবন সম্পর্কে অথবা ২১ শতকের জীবন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।)

১০। এখানে একটা মজার ব্যাপার হল, যখনই কোন ছেলে-মেয়ে তাদের মুরুব্বিদের সাথে দেখা হয় তারা প্রথমে মুরুব্বিদের পা ছোয় তারপর হাতটি বুকে লাগায় এবং এই কাজটি ৩ বার রিপিট করে। অন্যদিকে মুরুব্বিরা তাদের হাত ছেলে-মেয়ের মাথার উপর রাখে এবং দোয়া করে দেন।

১১। এখানকার প্রধান যানবাহন হচ্ছে রিক্সা বা ট্রাই-সাইকেল। রিক্সাতে শুধু মানুষ চলাচলই নয় বরঞ্চ মালামাল বহনের জন্যও এটি অত্যান্ত উপকারি।একটা রিক্সা সাধারনত ২ জন মানুষের জন্য উপযোগী কিন্তু আমি কিছু মিশন ইম্পসিবল ব্যাপার দেখেছি যেখানে একটা রিক্সার উপর একগাদা মালামাল আর তার উপর ৪ জন মানুষ বসে আছে।

১২। ভলিবল ৫ জনের বিপক্ষে ৫ জন খেলার দরকার কি, যেখানে এই দেশে ৯ জনের বিরুদ্ধে ৯ জন খেলে।

১৩। সম্ভবত এটিই একমাত্র দেশ যার জাতীয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। আর বিশ্বকাপ-১১ ঠিক এমন সময় হল যখন আমি এই দেশে আছি। হ্যা...আমি ভাগ্যবতী। কিন্তু, প্লীজ আমাকে বোলোনা খেলাটা দেখতে।আমার হাতে ৮-১১ ঘণ্টা সময় নেই শুধু এই একটি খেলা দেখার জন্য।

১৪। মোটামুটি সবার কাছেই একজন হলেও গৃহকর্মী আছে।তোমার যদি গৃহকর্মী না থাকে আর সব কাজই যদি তোমার নিজের করতে হয় তার মানে হচ্ছে তুমি একজন গরিব মানুষ।
আমি সত্যিই গরিব ছিলাম...যদিও শুধুমাত্র কিছু সময়ের জন্য।

১৫। এখানের মানুষ তাদের মাথায় অনেক জিনিস বহন করে।মাঝে মাঝে দেখা যায় তারা অনেক ধরনের দ্রব্য একসাথে একটি ঝুড়িতে রাখে এবং তা মাথায় বহন করে। আশ্চর্য হতে হয় তারা কিভাবে এত দ্রব্য একসাথে বহন করে।

১৬। এখানে সবকিছুই বসার মাঝে বদ্ধ। আপনি শপিঙে যান,প্রায় সব দোকানেই চেয়ার আছে এবং তারা শুধু বলবে বসেন আপু বসেন।তারা আপনাকে বিরক্ত করে ছাড়বে যতক্ষন আপনি না বসেন।আপনি যদি কোন বাসায় বেড়াতে যান তারা প্রথমেই আপনাকে বলবে বসতে।আপনি হয়ত কোন বন্ধুর সাথে বা কারো সাথে দাড়িয়ে আড্ডা মারছেন তাহলে গৃহকর্মী আপনাকে এসে জিজ্ঞেস করবে চেয়ার লাগবে নাকি যাতে আপনি বসতে পারেন।
“Boshen, apu! Boshen!”

১৭। দুপুরের খাবারের পর নিজের দোকানে বা কোন দোকানের বেঞ্চে বা খাবার টেবিলে একটি ছোটখাটো ঘুম খুব নরমাল আর দৈনন্দিন ব্যাপার।

১৮। এবং খুব জোরসে হাই তোলা বা বায়ু-ত্যাগ করা বা আরেকজনের নাকের উপর হাঁচি দেয়া খুব সাধারন ব্যাপার।

১৯। রাস্তার পাশের খাওয়ার দোকানে সাধারনত চা, তাদের নিজস্ব কিছু নাস্তা আর মিষ্টি পাওয়া যায়। অবশ্যই, কেউ বলতে পারবে না সেগুলো কতটুকু পরিস্কার। যা হোক, তারা বিশ্বাস করে পুকুরের পানিতে কোন ব্যাকটেরিয়া থাকে না কারন তারা সেগুলো ফুটিয়ে নেয় আর তাতে সব ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। বিশ্বাস হয় !!!!
তারা নাস্তার জন্য প্রচুর তেল আর খাবারে অনেক মসলা ব্যাবহার করে। কিন্তু সেই তেলের খাবার গুলো খেতে যে কি পরিমান মজা তা বলে বুঝানো যাবে না।
!! Love!!

২০। বিয়ে , তাদের সংস্কৃতির বড় একটা অংশ। সেই কারনে তাদের বিয়েতে অনেক ধরনের পার্টি আর ঐতিহ্য যুক্ত থাকে। কিছু কাপল বিয়ের পূর্বে এঙ্গেজমেন্ট পার্টি আয়োজন করে।এটি বিয়ের মুল অনুষ্ঠানের সাথে পুরোপুরি মিল আছে।রঙ-বেরঙের কাপড়, বাহারি অলঙ্কার, নানান বর্ণের সমাগত হয় এই উৎসবে।মজার ব্যাপার যা দেখা যায় তা হচ্ছে উচ্চ-শ্রেণীর লোকরা তাদের নাম আর অনুষ্ঠানের নাম বড় করে ব্যানারে স্টেজে লিখে রাখে।
সাধারনত বিয়ের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানের কয়েকটি পর্ব থাকে।প্রথম পর্বে ছেলে-মেয়ের পরিবার পরস্পরের বাসায় আসা-যাওয়া করে বাকি অনুষ্ঠানের শিডিউল ঠিক করে।
Coloring day এর দিন সব relative তাদের নিজেদের spice (হলুদ) দিয়ে সাজিয়ে রাখে। নিকটতম রিলেটিভরা বর বা কনে কে spice কপালে বা হাতে বা নখে মেখে দিয়ে তাদের আশীর্বাদ জানায়।তারা এমনভাবে spice (হলুদ) ব্যাবহার করে যে পরের কিছুদিন তাদেরকে হলুদ হয়ে ঘুরতে হয়।
বর আর কনে দুজনই খুব কালারফুল আর জমকালো জামা ব্যবহার করে।আর বর কনের সাথে সাথে কাছের বা দুরের সব আত্মীয়র কাছে থাকে স্বর্ণের জমকালো বাহার। মেয়েরা নাকে ফুল দেয়া মানে সে বিবাহিতা। বড় আর ছোটদের মধ্যে একটা দূরত্ব থাকে। এদের বিয়েতে আসলেই দেখা যায় দৃঢ় পারিবারিক দৃঢ় বন্ধন আর সম্পর্কের গুরুত্ব।

২১। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতীক অনেক।তাদের মাথায় থাকে একটি লাল দাগ,লাল টিপ, ২ টা সাদা চুড়ি আর গলায় একটি সাধারন হাঁর। এটি হচ্ছে একটি সাধারন হিন্দু মেয়ের প্রতিদিনের LOOK.

২২। যে দুইটি প্রশ্ন আমাকে সব সময় শুনতে হয় টা হল “তুমি কি খাও?? তুমি কি গোসল কর?? এখানে মাঝে মাঝে মনে হয় খাওয়াই ওদের সব কিছু।

২৩। এরা নিজেরা ভাল আর দামি কাপড় পড়ে আর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করে কিন্তু পরিবেশের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই।শুধুমাত্র ঘর রঙ করা আর ইদুর-তেলাপোকা থেকে ঘরকে রক্ষা করায় সবকিছু না। এখানের রাস্তাঘাট খুবই নোংরা।এমনকি আমি দেখেছি অনেক শিক্ষিত লোকদেরকেও, যারা রাস্তায় ময়লা ফেলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না।আশা করি নতুন প্রজন্ম এ ব্যাপারে অনেক সচেতন হবে।

২৪। ট্রাফিক এর সংজ্ঞা এখানে এসে পুরোপুরি বদলে গেছে। এখনে রাস্তায় শুধু একটি নিয়মই মানা হয়, আর তা হল নিয়ম না মানা।
লাল বাতি – কোন ব্যাপারই না...
ট্রাফিক সংকেত - কোন ব্যাপারই না...
এবং রাস্তায় নামলে আপনি সব ধরনের যান-বাহনই পাবেন।নিয়মিত যানবাহন কার,বাস,ট্রাক সেই সাথে বাইক,রিক্সা,মানুষ,গরু,ছাগল, মুরগি.........ইত্যাদি... ইত্যাদি...
রাস্তা গুলো খুবই ছোট যেখানে একসাথে দুই লাইন থাকে।সর্বউচ্চ স্পীড থাকে ৭০-৮০ কিঃমিঃ/ঘণ্টা।
ঢাকা শহরের আমি আর একটা নাম দিবো আর তা হল ট্রাফিক জ্যামের শহর। এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুধু রাস্তাতেই কাটাতে হবে।অনেক সময় শুধু আধা কিঃমিঃ যাওয়ার জন্য আপনার সময় লাগবে ১-২ ঘণ্টা।
আমার এক বন্ধুর ঠিক একই দশা হয়েছিল।যখন সে শপিং করতে বের হল একটানা ৫ ঘণ্টা রাস্তায় বসে ছিল এবং বুঝতে পারল আজকে আর শপিঙে যাওয়া যাবে না কারন শপিং মল একঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।সে আবার বাসার উদ্দেশে রওয়ানা দিল এবং ফিরতে লেগেছিল ৪ ঘণ্টার মত। কি এক অদ্ভুদ ব্যাপার, সারাটা দিন রাস্তায় থাকা।

২৫। আপনি যদি সাদা চামড়ার কোন বিদেশী হন তবে আপনি পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিখ্যাত হয়ে যাবেন। আপনার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকা, আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে অপর কে দেখানো, ছবি তোলা, ভিডিও করা (এমনকি আপনার খাওয়ার সময়ও) প্রতিদিনের জীবনের একটা অংশ।

২৬। সব দোকান বা গ্রসারি তে কাগজের প্যাকেট ব্যাবহার করা হয় যা ছাত্রদের নোটখাতা,বই বা খবরের কাগজ থেকে বানানো হয়।দুর্ভাগ্যবশত আমি বাংলা পরতে পারি না কিন্তু আমি কিছু প্যাকেট পেয়েছি যা মেডিক্যালের বই হতে বানানো। (Processus frontalis and sinus maxillaris!)

২৭।এখানে সব কিছুরই বিপরীত বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। একটি সুন্দর, জমকালো বাড়ির পাশে আপনি পাবেন একটি জরাজীর্ণ বাড়ি। একটি সুন্দর, মনোরম স্থানের পাশে ডাস্টবিন আবার একজন ফিটফাট মানুষের সাথে একজন মলিন কাপড়ের মানুষ।এখানে খুব খুব ধনী মানুষের পাশাপাশি আপনি দেখবেন খুব খুব গরীব মানুষ।

২৮। পরিবার আর আত্মীয়তার বন্ধন এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর খুবই শক্ত।এখানে 3rd লেভেলের কাজিন কে সবাই ভাই ও বোন বলে স্বীকৃতি দেয় এবং মামা বা চাচারাও এখানে মা-বাবার মতো সম্মান পেয়ে থাকে। তারা নিজেদের পরিবারকে ভালবাসে আর কেয়ার করে। তাদের কাছে পরিবারই সব।

২৯। এবং এখানে সব কিছুতেই পরম ভালবাসা শ্রদ্ধা মিশে থাকে। তারা কথা-বার্তায় , চিন্তা-চেতনায় ভালবাসা প্রকাশ করে। তারা খুব সহজেই অপরকে আপন করে নেয় এবং খুব সহজ সরল মানসিকতার হয়ে থাকে। এখানে ভালবাসা আকাশে উড়ে বেড়ায়।এখানের দৈনন্দিন জীবন-যাপনে আপনার মনে হবে যে সৃষ্টিকর্তা আপনার আশেপাশেই আছে।

পশ্চিমা বিশ্বের মানুষদের খুব খারাপ ধারণা আছে ৩য় বিশ্বের দেশ গুলো নিয়ে।
আমরা যে দেশেই থাকি না কেন,পৃথিবীটা এখনও অনেক সুন্দর ও উপযোগী আমাদের বসবাসের জন্য। একে যাতে আমরা নষ্ট না করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৩
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×