পল্লীকবি জসীম উদ্ দীনের 'কবর' কবিতাটি পড়ে চোখে জল আসে নি এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। সবাই যখন রাজনীতি, সমাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত কবি তখন সরল গ্রামীণ জীবন নিয়েই সাজিয়েছেন নিজের কথামালা। ছলছল কুমার নদীর কলতান, নকশী কাঁথা বোনা গ্রামের বঁধু, 'কাইজ্জা' করা ছেলে রুপা এরাই ছিল জসীম উদ্ দীনের কবিতার মূল উপজীব্য।
'নকশী কাঁথার মাঠ' আর 'সোজন বাদিয়ার ঘাট' কবিকে নিয়ে এসেছে মানুষের আরও কাছে। তাজমহলের চাইতেও কবির কাছে প্রিয় ছিল নকশীকাঁথার ইন্দ্রপুরী। গ্রামকে এত ভালোবাসেন যে মানুষটি তাঁকে ভালো না বেসে পারা যায় কি? কবি আর নেই। কিন্তু তাঁর বাড়িটি আছে, তাঁর ব্যবহার্য নানান আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র দেখার সুযোগ আছে এখানে। তাই আপনি যদি হোন পল্লীকবির ভক্ত তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন তাঁর বাড়ি থেকে।
তাম্বুলখানা নাম ছিল এক সময় এলাকাটির। বর্তমানে এর নাম অম্বিকাপুর। ফরিদপুর শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে কবির বাড়ির অবস্থান। ২০০৩ সালে কবিপত্নী মমতাজ জসীম উদ্ দীন বাড়িটিকে জাদুঘরে পরিণত করেন। বাড়ির উত্তরে কবির কবর স্থান। কবর স্থানের পাশেই পাকা রাস্তা ও কুমার নদী।
আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। মোটামুটি ভাবে ঘুরে আসতে খরচ হবে মাত্র ৮০০ টাকা। আপনাদের সুবিধাথে একটি খরচের বিবরণী দেওয়া হল
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫