বাংলাদেশের তিন পাহাড়ি জেলায় বাস করে ১৫ রকমের উপজাতি। একটা সময় এসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা ছিল জুমচাষ। পাহাড়ের একটি নির্দিষ্ট স্থান পুড়িয়ে তা আগাছা মুক্ত করে পোড়া ছাই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে প্রস্তুত করা হতো জমি। অতঃপর ধানসহ নানারকম ফসলের বীজ একত্রে মিশিয়ে নিয়ে জমিতে গর্ত করে দু-চারটি বীজ একেকটি করে গর্তে পুঁতে দিয়ে শুরু হতো জুমচাষ। অতঃপর চলত নানারকম পরিচর্যা আর সময়ভেদে একেকটি ফসল সংগ্রহের কাজ। আজও অনেক উপজাতি এ পেশাকে অবলম্বন করে আছেন। কোনো কোনো উপজাতি আজ এর পাশাপাশি অন্য পেশাও গ্রহণ করছেন। কৃষি উন্নয়ন ভাবনায় তাই পাহাড় অগ্রাধিকার পাবে সেটিই স্বাভাবিক। জুমচাষ হয় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে। জমি প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে ফসল তুলতে মোট সময় লাগে সাত-আট মাস। বছরের চারটি মাস ধরে সে জমি থেকে যায় পতিত। আর এ সময় কোনো ফসল জমিতে না থাকায় জমি থেকে যায় অনাবাদী। তা ছাড়া জুমে আবাদ করা প্রতিটি ফসলের উৎপাদন বিবেচনায় নিলে হতাশ না হয়ে পারা যায় না। কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এখন সময়ের দাবি। এমনকি টেকসই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতি বর্গ একক জমি থেকে কতটা উৎপাদন নিশ্চিত করা যায় সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে কারণেই সরকার গুরুত্ব দিয়েছে পাহাড়ি অঞ্চলের জমির সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনায়। এগিয়ে এসেছে বহু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সম্প্র্রসারণ বিভাগসহ নানারকম সরকারি-বেসরকারি উদ্যেক্তারা। বহু প্রকল্পের অধীনে চলছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সমন্বিত কৃষি কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করতে। বিশেষ করে ফল ফসল ও মসলা চাষের জন্য এসব কর্মকাণ্ডের স্বাক্ষর পাহাড়ের পথে পথে ইদানীং বেশ চোখে পড়ছে। পাহাড়ের কৃষির আর একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো ফল বা সবজিচাষ ব্যবস্থাপনার তাৎপর্যময় উন্নতি। সাজানো-গোছানো ফলের বাগান পাহাড়ি মানুষের আগাছা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফসল ব্যবস্থাপনার দিকে বাড়তি মনোযোগেরই সাক্ষ্য বহন করছে। পাহাড়ি মানুষ পরিশ্রমী। ফলে কোনো প্রযুক্তি তারা গ্রহণ করলে তা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই গ্রহণ করে। তাছাড়া প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাদের আগ্রহ এখন অনেকটাই বেড়েছে। নানারকম প্রকল্পভিত্তিক প্রশিক্ষণও হাতে-কলমে শিক্ষা স্পষ্টতই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে শাক-সবজি আর ফলমূলের চাষ আরও বৃদ্ধি করা গেলে তা পাহাড়ি ও সমতল উভয় জনগোষ্ঠীর জন্য এক তাৎপর্যময় বিষয় হয়ে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাহাড়ের কৃষি এখন চোখে পড়ার মতো
বাংলাদেশের তিন পাহাড়ি জেলায় বাস করে ১৫ রকমের উপজাতি। একটা সময় এসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা ছিল জুমচাষ। পাহাড়ের একটি নির্দিষ্ট স্থান পুড়িয়ে তা আগাছা মুক্ত করে পোড়া ছাই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে প্রস্তুত করা হতো জমি। অতঃপর ধানসহ নানারকম ফসলের বীজ একত্রে মিশিয়ে নিয়ে জমিতে গর্ত করে দু-চারটি বীজ একেকটি করে গর্তে পুঁতে দিয়ে শুরু হতো জুমচাষ। অতঃপর চলত নানারকম পরিচর্যা আর সময়ভেদে একেকটি ফসল সংগ্রহের কাজ। আজও অনেক উপজাতি এ পেশাকে অবলম্বন করে আছেন। কোনো কোনো উপজাতি আজ এর পাশাপাশি অন্য পেশাও গ্রহণ করছেন। কৃষি উন্নয়ন ভাবনায় তাই পাহাড় অগ্রাধিকার পাবে সেটিই স্বাভাবিক। জুমচাষ হয় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে। জমি প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে ফসল তুলতে মোট সময় লাগে সাত-আট মাস। বছরের চারটি মাস ধরে সে জমি থেকে যায় পতিত। আর এ সময় কোনো ফসল জমিতে না থাকায় জমি থেকে যায় অনাবাদী। তা ছাড়া জুমে আবাদ করা প্রতিটি ফসলের উৎপাদন বিবেচনায় নিলে হতাশ না হয়ে পারা যায় না। কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এখন সময়ের দাবি। এমনকি টেকসই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রতি বর্গ একক জমি থেকে কতটা উৎপাদন নিশ্চিত করা যায় সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে কারণেই সরকার গুরুত্ব দিয়েছে পাহাড়ি অঞ্চলের জমির সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনায়। এগিয়ে এসেছে বহু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সম্প্র্রসারণ বিভাগসহ নানারকম সরকারি-বেসরকারি উদ্যেক্তারা। বহু প্রকল্পের অধীনে চলছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সমন্বিত কৃষি কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করতে। বিশেষ করে ফল ফসল ও মসলা চাষের জন্য এসব কর্মকাণ্ডের স্বাক্ষর পাহাড়ের পথে পথে ইদানীং বেশ চোখে পড়ছে। পাহাড়ের কৃষির আর একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো ফল বা সবজিচাষ ব্যবস্থাপনার তাৎপর্যময় উন্নতি। সাজানো-গোছানো ফলের বাগান পাহাড়ি মানুষের আগাছা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফসল ব্যবস্থাপনার দিকে বাড়তি মনোযোগেরই সাক্ষ্য বহন করছে। পাহাড়ি মানুষ পরিশ্রমী। ফলে কোনো প্রযুক্তি তারা গ্রহণ করলে তা বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই গ্রহণ করে। তাছাড়া প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাদের আগ্রহ এখন অনেকটাই বেড়েছে। নানারকম প্রকল্পভিত্তিক প্রশিক্ষণও হাতে-কলমে শিক্ষা স্পষ্টতই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে শাক-সবজি আর ফলমূলের চাষ আরও বৃদ্ধি করা গেলে তা পাহাড়ি ও সমতল উভয় জনগোষ্ঠীর জন্য এক তাৎপর্যময় বিষয় হয়ে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দুলে উঠে
দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ
মন খুশিতে দুলে দুলে উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তরে নিয়ে এ ভাবনা
তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না
সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন
তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য
আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই
দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।
সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন