ইংরেজিতে একটি কথা আছে, 'ইয়ুথ ইজ দ্য বেস্ট পিরিয়ড অব দ্য লাইফ' অর্থাৎ যৌবনকাল হচ্ছে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। আর এ যৌবনের অধিকারী আজকের যুব বা তরুণ সমাজ। তরুণ সমাজ অমিত শক্তির অধিকারী। জরাগ্রস্ত এ পৃথিবীতে তরুণরাই পারে প্রাণস্পন্দন ও জাগরণ ঘটাতে। কারণ তাদের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয় নবজীবন ও নতুন দিনের গান। বর্তমান পরিবর্তিত পৃথিবীতে তরুণদের এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। একটি সুন্দর, সুখী বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। সব বাধা-বিপত্তি পেছনে ফেলে তরুণরা যদি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে কাজকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে আমাদের দেশের জন্য তা হবে ইতিবাচক। দেশকে উন্নতির দিকে, সমৃদ্ধির দিকে, প্রগতির দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আজকের যুব বা তরুণ সমাজকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ বর্তমান পৃথিবীতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে সমাজ পরিবর্তনে নতুন যুগের লক্ষ্যে। এ পরিবর্তন বা নতুন যুগের সূচনায় হচ্ছে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণ। তারুণ্য শক্তি দুর্বার, তাদের গতি সব সময় সামনের দিকে। এ নতুন জীবন দর্শনের মূল কথা হচ্ছে আগামীর জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। মানুষ তার উদ্যম ও প্রচেষ্টায় ব্যর্থতাকে জয় করেছে। মানুষের এ জয়ের ইতিহাসই বর্তমান পৃথিবী। আজকে তরুণরাই সজীব, প্রাণবন্ত, অসীম সম্ভাবনাময়, অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী। তারা পরাজয় মানে না। চির অকুতোভয় এ তরুণরাই চিরজাগ্রত, তাদের চোখেই নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন। যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন ও একই সঙ্গে সমৃদ্ধ জাতি গঠনের মূলনায়ক আজকের তরুণ সমাজ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের তরুণ, যুব, ছাত্র সমাজের ভূমিকা ছিল গৌরবময়। বিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রে তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ। যে কোনো দেশের ছাত্র সমাজ বা তরুণরা দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আমাদের সমাজ, দেশ, রাষ্ট্রের জাগরণ ঘটাতে ও জাতীয় সমস্যা সমাধানে তরুণ সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য তাদের সকল প্রকার জড়তা, অজ্ঞতা কাটিয়ে উঠে প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তের পথ পরিহার করে সুস্থ সমাজ গঠনে নিজেদের তৈরি করবে। সকল প্রকার অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও নৈতিক শক্তির অধিকারী হয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তরুণ উদ্যোক্তারা একটি দেশের সম্পদ। তারা একটি পরিবারের নেতৃত্ব দিবে, পরিবার থেকে সে পরিবর্তীতে দেশের নেতৃত্ব দিবে। একটি সরকার কখনো একটি দেশকে এগিয়ে নিতে পারে না, যদি না দেশের জনগন সরকারকে সাহায্য করে। এইখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে তরুণ উদ্যোক্তারা। দেশ গঠনে তরুণ উদ্যোক্তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। আজকের তরুণ উদ্যোক্তাদের থেকেই বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যৎ বিশ্ব নেতৃত্ব। তরুণরা দেশ গড়ার পাশাপাশি সৃজনশীল চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির দ্বারা দেশের কল্যাণে কাজ করুক। তরুণদের ভাবতে হবে তারাই দেশের সম্পদ, ভবিষ্যতে দেশের কর্ণধার।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯