আলোটুকু যখন তুলে দিচ্ছিলাম
তোমার বাড়িয়ে দেওয়া হাতে-
সোনার কৌটোয় কোন ব্যথা
গোপনে তুলে রেখেছিলাম কিনা
বুঝে উঠতে পারিনি ।
না ক্লান্তি, না বিষন্নতা কিংবা আশাহনন-
এসবের আর কোন মানে নেই আদতে ।
জাহাজের মাস্তুলে বসে থাকতে থাকতে
আজও চোখে পড়ে কতকি,
আগের মতই।
কেবল দেখছি না আর কিছুই - আগের মত।
যতগুলো রং মেখে নিয়েছিলাম
একে একে মুগ্ধ - আনত-
চোখের ফিল্টারে,
তীব্র গোলাপ, নবীন সবুজ,
উন্মুখ কৃষ্ণচূড়া, সোনালু স্বপ্ন।
অত:পর অপেক্ষার দরজায়-
কালো হয়ে আসা সন্ধ্যা-
ক্রমশ: সব কেমন বিভ্রমময় ।
এখন সব রং একসাথে
আচ্ছাকরে মেখে নিয়ে
ভাসিয়ে দেব সমুদ্রের নীলে।
তারপর আর কোন ঢেউয়ের জন্য
অপেক্ষা থাকবে না ,
আর কোন শঙ্খচিল গান শোনাবে না ।
তখন বুকের বা’পাশে-
বড় একটা গর্ত খুঁড়ে লুকিয়ে ফেলব সব ।
কেননা -এখন হন্তারকের উদ্যত ছুরি ছাড়া
আর যা আছে সে কেবল পশ্চাদপসারন।
—————
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০২