অামাদের পৃথিবী মেয়াদ অাছে খুব বেশি হলে-তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর।
এর ভীতর ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী।
তাই অন্য গ্রহে জায়গা খুঁজতে বলেছেন মি. স্টিফেন হকিং।
মহাবিশ্ব যে একটা কঠিন নিয়ম মেনে চলছে তাতে ইশ্বরের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে বলে উনি মত ব্যক্ত করেছেন।
অাবার বলেছেন, মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে ইশ্বরের কোন ভূমিকা নেই।
তো, স্টিফেন হকিং সাহেব(যুক্তরাজ্যের কুখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী) খুব হিরোগিরি করেন।
ভাবখানা এমন, মহাবিশ্বের অাদি-অন্ত সব উনি জানেন।(নাউযুবিল্লাহ)।
যদিও উনি গ্রীবা-মুখ বাকাঁ অবস্থায় অাছেন-যাকে ডাক্তাররা মটর নিউরন ডিজিস বলেছেন।
এই রোগের চিকিৎসা নাই। ডাক্তারের মতে, বাঁচার কথা মাত্র কয়েকবছর। অথচ বছর বছর চলে যাচ্ছে , ঠিকই বেঁচে অাছেন।
যতদূর জানি, মহাকাশের যে স্পেস বা অায়াতন-তার অতি ক্ষুদ্র অংশ অামরা এখনো পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়নি।
হ্যা, ধরতে পারেন-একবস্তা সরিসার মধ্যে একটা সরিসার উপর পর্যবেক্ষন চলছে।
সে হিসাবে সব মহাকাশ বিজ্ঞানীকে সরিসা বিজ্ঞানী বলা যায়।
অামার মূল কথা সেটা নয়। মূল কথা হচ্ছে, মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে এতে কোন বিজ্ঞানীর দ্বি-মত নাই বললেই চলে।
তাই অামার সবাই কমবেশি মহাবিশ্বের ধ্বংসের বিষয়টা বিশ্বাস করি। এমনকি ধ্বংসের দিন তারিখও ঠিক করে ফেলি।
কিন্তু চুলকানি শুরু হয় যখন কোরঅানের থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে এই মহাপ্রলয়ের বা কেয়ামতের বিষয়টি বোঝানো হয়।
দেখুন কোরঅানের কয়েকটি হৃদয়স্পর্শী এবং কত স্পস্ট অায়াত-
" ওরা বলে(অবিশ্বাসী/কাফের) অামাদের উপর কেয়ামত কখনই অাসবেনা; (হে নবী) তুমি (এদের) বলো, অামার মালিকের কসম, হ্যা, অবশ্যই তোমাদের উপর তা অাপতিত হবে"(সুরা সাবা-অায়াত-৩)
" কেয়ামত অবশ্যই অাসবে, এতে সন্দেহ নেই, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস স্থাপন করেনা।( সুরা মুমিন-অায়াত-৫৯)
"সেদিন যখন এরা(নিজ নিজ) কবর থেকে বের হয়ে অাসবে, তখন এমন দ্রুতগতিতে দৌড়াতে থাকবে, (দেখে মনে হবে) তারা (সবাই বুঝি) কোন শিকারের লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে চলেছে, তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত, অপমান অার লাঞ্চনায় তাদের সবকিছু থাকবে অাচ্ছন্ন। (তখন তাদের বলা হবে) এ হচ্ছে সেই (মহা) দিবস, তোমাদের নিকট যার ওয়াদা করা হয়েছিলো। ( সুরা-অাল মা'য়ারিজ, অায়াত ৪৩-৪৪)
"মানুষের হিসাবের সময় নিকটে অাসিয়া পড়িয়াছে। অথচ, তাহারা এখেনা গাফিলতির ভীতর পড়িয়া রহিয়াছে.....সুরা অাম্বিয়া-অায়াত-১)
"চন্দ্র বিদির্ণ হইলো , কেয়ামত নিকটাবর্তী হয়ে গেলো। (সুরা কামার-অায়াত-১)
" তাহারা ইহাকে (কেয়ামতকে) দূরে বলে মনে করে, অথচ অামি ইহাকে নিকটে দেখিতে পাইতেছি। (সুরা-অাল মা'য়ারিজ, অায়াত ৬-৭)
সুতরাং কেয়ামত কবে সংঘঠিত হবে তার জ্ঞান অাল্লাহর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অতএব, এসমস্ত জ্ঞানপাপীদের কথায় কর্নপাত না করে কেয়ামতে বিশ্বাস স্থাপন করে সেইমত অামল করাই প্রকৃত জ্ঞানীর কাজ নয় কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭