somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম৮৩
সৃষ্টির নিপুনতা, কারুকার্যতা, ক্রিয়াপদ্ধতি, জটিল নিয়মের অাবর্তে অাবদ্ধ এই মহাবিশ্ব-অামাকে এক মহান কৌশুলীর/সত্ত্বার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়।

কেন অাল্লাহপাক মানুষকে শারীরিক প্রতিবন্ধী/বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে পাঠান? কোরঅান-হাদিস এবং যুক্তি কি বলে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিষয়টি নিয়ে ব্লগে লিখবো এমন চিন্তাভাবনা কখনো করেনি। পরিতাপের বিষয়, অাবু জেহেল, অাবু লাহাবের উত্তরসূরীরা যখন এহেন বিষয়াবলী নিয়ে দাম্ভিক ভঙ্গিতে অাল্লাহপাক সম্পর্কে অাজেবাজে কথা ব্লগে বমি অাকারে উদগিরণ করে তখন অামি অধম অাল্লাহর গোলাম কলম না ধরে কেমন করে বসে থাকি।
সূত্রপাতটা ছিলো ব্লগে একজন সুপরিচিত ব্লগারের কমেন্টসকে কেন্দ্র করে। অাল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তাহার বক্তব্য ছিলো এমন, "তুমি তো জানো অামি ঘোরতর অবিশ্বাসী, চাইলেই তুমি ভুলটা ভেঙ্গে দিলে পারো।..............যাইহোক ইশ্বর ঘুমুচ্ছে। তিনি এসে ঘুম ভাঙ্গাবেন এইটা ভুলে গিয়ে আমাদের উচিত তার ঘুম ভাঙ্গানো"।
যাহোক, অামি একটি রিপিট কমেন্টস করেছিলাম তা হলো, একটা অাই ফোন অাপনার হাতে অাছে। এই অাই ফোন নির্মাতা ফোনটি তৈরী করার পর একটা ম্যানুয়াল সাথে দিয়ে দিয়েছেন।
এখন এই ম্যানুয়ালটা উপেক্ষা করে যদি বলেন, এই ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যতক্ষণ পর্যন্ত অামার বেডরুমে এসে অামাকে এটার ম্যনুয়াল না বুঝাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অামি এই ফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিবোনা এবং এটা যে তাদের তৈরী সেটাও মানবোনা। বলেনতো, অাপনার এই ইললিজক্যাল অাবদার কি ঐ অাই ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কানে তুলবে? বা এতে তার কোন ক্ষতি হবে?
মি. .হা......ড়ে.. লেখক, অাল্লাহ ঘুমান না । এটা মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তিনি ঘুমালে অাপনি যে গ্রহে বাস করেন এটা মহাশূণ্যে অাপনাকে নিয়ে ব্রেক ফেল করে কোথাও অাছড়ে পড়তো।
মানুষ যখন চিরনিদ্রায় শায়িত হবে ঠিক তখনই জাগানো তার কাজ। জীবিত মানুষ যদি ঘুমের ভান ধরে; তাকে জাগানোর দায়িত্ব ঈশ্বরের না।
এটা অাপনার জ্ঞান-বিবেক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তিনি কোন উত্তর দেননি, জনাব বাবুরাম সাপুড়ে এর প্রতিউত্তর করে একগাদা প্রশ্ন অামাকে ছুড়ে দিলেন। দেখি, প্রশ্নগুলো কি ছিলো ।
আই ফোন নির্মাতা একই মডেলের সমস্ত গ্রাহক কে একই ম্যানুয়াল দেয় , সৃস্টি কর্তা বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ দেয় কেন? এবং এই ধর্মের অনুসারীরা তাদের ম্যানুয়ালকেই শ্রেষ্ট মনে করে কেন? একজন হিন্দু কে কেন মাথা ঠুকে প্রণাম করার ম্যানুয়াল দেওয়া হয় আর মুসলমানকে পেছন তুলে নামাজ পড়ার ম্যানুয়াল ??
................সর্বশক্তিমান ঈশ্বর /আল্লাহ কোটি কোটি বিকলাংগ মানুষ পয়দা করে, জন্ম থেকেই কারুর হাত /পা নেই , কারও হৃৎপিণ্ড ডিফেক্টিভ , কারো ফুসফুস /লিভার অথবা শরীরের অন্যান্য অংশ ত্রুটি পূর্ণ।তা আপনার আল্লাহ নিরীহ মানুষের ত্রুটি পূর্ণ অঙ্গ বদলে দেয় না কেন ??
অামি বুঝতে পারলাম, উনি ধর্ম গ্রন্থ সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ।
একমাত্র কোরঅান ব্যতিত অন্যান্য সকল ধর্মগ্রন্থ গুলো মানব রচিত। এটা অাল্লাহপাক মানুষকে দেননি। যেমন, বেদ-প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি। ত্রিপিটক-বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। বাইবেল-খ্রিস্টধর্মমতে, ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন। সুতরাং সৃস্টি কর্তা বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ দেয় কেন? অাপনার এই প্রশ্ন একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
উনার মূল প্রশ্নের সারমর্মটা এরকম, কেন অাল্লাহপাক মানুষকে শারীরিক প্রতিবন্ধী/বিকলাঙ্গ করে পৃথিবীতে পাঠান?
দেখা যায়, মানুষ পৃথিবীতে যে বিপদ-অাপদে পতিত হয় সেটা তিন ধরণের হতে পারে। যথা-
(১) ভয়ংকর রকম পাপাচার বা অাল্লাহর চরম অবাধ্যতার কারণে অাযাব বা গজব( যেমনঃ কওমে নূহ, আদ, ছামুদ,কওমে লূত, মাদইয়ান, ও কওমে ফেরাঊন ইত্যদি জাতিকে অাল্লাহপাক ধ্বংস করে দিয়েছিলেন) (২) কর্মফল অর্থাৎ নিজস্ব কিছু কর্মকান্ডের ফলাফল এবং (৩) অাল্লাহর পরীক্ষা।
"অাযাব বা গজব" বিষয়টা উনার প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিক না হওয়ায় অালোচনা করবোনা।
কর্মফলঃ
মহান অাল্লাহপাক বলেন, "তোমার যা কিছু মঙ্গল হয় তা আল্লাহর তরফ থেকে আসে, কিন্তু তোমার যা কিছু অমঙ্গল হয় তা তোমার নিজের কারণে"। – (সূরা নিসা:৭৯)

"তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন (অর্থাৎ না হলে তোমাদের আরো অনেক বিপদ আসত)"। – (সূরা শূরা:৩০)
যেসমস্ত শিশু বিকলাঙ্গ বা কোন শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মায় তার ভীতর অনেক বিকলাঙ্গতার কারণ জানা সম্ভব নয়(চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতামত)।
উপরোক্ত কোরঅানের বাণী থেকে মানব জীবনের কর্মফলের অালোচনা করবো।
(১) বহুমূত্র বা ডায়বেটিস রোগ কেন হয় সেটা অামরা জানি। অকর্মঠ, শুয়ে, বসে, টিভি দেখে যারা দিন পার করেন, অতিভোজন রসিকদের এই সমস্যা বেশি হয়। সুতরাং এই রোগে অাক্রান্ত রোগীরা সিংহভাগ তাদের নিজেদের কর্মদোষেই দোষী। যদি কোন মহিলা ডায়বেটিস অাক্রান্ত থাকেন তবে তার গর্ভের বাচ্চা ত্রুটিপূর্ণ হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা খুবেই বেশি।
(২) অামার জানি, যৌনবাহিত রোগ তাদের বেশি হয় যারা একের অধিক সঙ্গী/সঙ্গীনীর সাথে মেলামেশা করেন। স্বামী বা স্ত্রী কেউ যদি এই যৌনরোগের ভাইরাস এবং ব্যকটেরিয়া বহন করে তবে ইনফেকশন হয়ে গর্ভধারিণী মায়ের বাচ্চার বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে অর্থাৎ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাতে পারে। এটা তাদের কর্মফল ছাড়া কিছুই নয়।
(৪) কোন মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় তামাক জাতীয় দ্রব্য যারা সেবন করেন তবে বাচ্চার শারীরিক ডিফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অামেরিকার ১৫.৩ ভাগ মহিলা ধুমপান করেন যেখানে পুরুষরা করেন ২০.৫ ভাগ(২০১৩ সালের রিপোর্ট) । দেখা যায়, অামেরিকায় প্রতি ৩০ টি শিশুর একটি কোন না কোন শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মাচ্ছে। এর অার একটি অন্যতম কারণ, অ্যালকোহল। অামার জানি মদ একটি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়। এটা পশ্চিমা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী পান করা হয়। এখন গর্ভাবস্থায় যদি কোন মা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় লিমিটের বাইরে সেবন করে তবে তার প্রসবকৃত শিশুটা মুখের বিকৃতি তথা চেহারার বিকৃতি, কম ওজনের ছোট বাচ্চা প্রসব, অাচারণগত সমস্যা বা মানসিক সমস্যা, এমনকি সময়ের পূর্বেই তথা ৩৮ সপ্তাহের অাগেই বাচ্চা প্রসব হতে পারে । যার কারণে স্থায়ীভাবে নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে। এটা অবশ্যই কর্মফল।

(৫) অনেক গোত্রের মেডিসিন অাছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় সেবন করলে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেমন, লিথিয়াম বা ইসোট্রিটিনিয়ন গ্রুপের ঔষধ। এগুলো সমসাময়িক কালের একটা বড় কারণ।

(ক) কোন গর্ভবর্তী মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় বেনজোডায়াজেপাইন(Benzodiazepine) গোত্রের অসুধ সেবন করে। অর্থাৎ সোজা বাংলায় অামার যেটা বুঝি "ঘুমের" ঔষধ সেবন করে তবে তার বাচ্চার জন্মের পর শাসকষ্ট বা হাপানী হতে রোগ নিয়েই জন্মাতে পারে। হার্টের সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে। দূর্বল মাংসপেশী নিয়ে জন্মাতে পারে। অনেক সময় এই অসুধটি গর্ভবতী মায়েরা ডাক্তারে পরামর্শ ছাড়াই সেবন করে থাকেন। কেননা, গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের ঘুমের সমস্যা হয়। তো এখানে যদি কোন বাচ্চা শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মায় সেটা তারই কর্মফল।

(খ) অামরা জানি, Norethisterone (নরইথিস্টেরন) হরমোনটি মহিলাদের মাসিক রজঃবৃত্তির চক্রের সাথে উঠানাম করে। এই হরমোন জাতীয় ঔষধটি নারীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় অাররেগুলার বা পেইনফুল মেনস্ট্রল নিয়ন্ত্রণের জন্য। এখন কেউ যদি নিজে নিজে ডাক্তারী করতে যেয়ে এই ঔষধটি সেবন করেন এবং পরবর্ততে দেখতে পায় যে সে গর্ভবতী ছিলো; তবে তার বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সুতরাং কোরঅান অনুযায়ী এটা তাহার কর্মফল।

(গ) অামরা জানি, গর্ভাবস্থায় যদি ভিটামিনের ঘাটতি থাকে তবে বাচ্চা নানান শারীরিক জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে। বিশেষ করে, জিংক, ফলিকএসিড, অায়রণ, ভিটামিন এ, বি, ডি, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এখন, এগুলোর ঘাটতিজনিত সমস্যার কারণে যদি বাচ্চা কোন শারীরিক সমস্যা নয়ে জন্ময় তার দায়িত্ব তাহারই। এটা তাহার কর্মফল।
এরকম অনেক মানবঘটিত কারণে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চা জন্মায়। সুতরাং কর্মফল সম্পর্কিত অায়াতগুলো যারা বুঝবেন তারা নিশ্চই অাল্লাহর উপর মিথ্যা দোষারোপ করবেন না।
অাল্লাহর পরীক্ষাঃ
অাল্লাহ বান্দাকে বিভিন্নরকম বিপদ-অাপদ দিয়ে পরীক্ষা করবেন এটা তাঁর ওয়াদা। যদিও তিনি পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অাছেন; তবুও পরীক্ষাটা একান্ত তার বান্দার জন্য।
অাল্লাহপাক বলেন, "তিনি সৃষ্টি করেছেন জন্ম এবং মৃর্ত্যু, যাহাতে তিনি যাচাই/পরীক্ষা করে নিতে পারেন যে, কর্মক্ষেত্রে কে তোমদের মধ্যে বেশি ভালো"।( সুরা-মুলক, অায়াত-২)
অাল্লাহপাক অারো বলেন, "অামি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো ভয়-ভীতি, ক্ষুদা-অনাহার, তোমাদের জান(জীবন)-মাল এবং ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে। তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও(অামার নেয়ামতের) যখন তাদের সামনে কোন বিপদ এসে উপস্থিত হয় তখন তারা বলে, অামরা তো অাল্লাহর জন্যই এবং অামাদের তো অাল্লাহর নিকট ফিরে যেতে হবে"। (সুরা বাকারা, অায়াত-১৫৫-১৫৬)।
রসুল (সাঃ) বলেছেন, মুমিনের ব্যপারটা খুবেই বিষ্ময়কর, তার সকল কাজই কল্যাণপ্রদ। মুুমিন ছাড়া অন্যের ব্যপারগুলো এরকম নয়। তার জন্য অানন্দের কিছু ঘটলে সে অাল্লাহর শুকরিয়া অাদায় করে; তাতে তার মঙ্গল সাধিত হয়। পক্ষান্তরে ক্ষতিকর কিছু ঘটলে সে ধৈর্য অবলম্বন করে; এটাও তার জন্য কল্যাণকর। ( সহীই মুসলিম-৭২৮২)
রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: কোনও ঈমানদারের উপর যখন কোনো ক্লান্তি, অসুখ, দু:খ, বেদনা, আঘাত, যন্ত্রণা আসে, এমনকি তার যদি একটা কাঁটার খোঁচাও লাগে – এর জন্যও আল্লাহ তার কিছু গুনাহ মাফ করে দেন। – (সহীহ বুখারী)
যুক্তি এবং বিশ্লেষণঃ
ধরুণ, একজন এমবিবিএস পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং অার একজন সিম্পল বিএ পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখন কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা কোনটা? নিশ্চই এমবিবিএস। এখন, এই কঠিন এবং কষ্টকর পরীক্ষা দিয়ে যদি ভালো ফল লাভ করা যায় তার সম্মান বা মর্যাদাটা কিন্তু সিম্পল বিএর থেকে অনেক বেশি। এখন, অাল্লাহপাক কাউকে যদি শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ বা শারীরীক অসুস্থ করে দুনিয়ায় পাঠানোর পরও সে অাল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে জীবন যাপন করে তার সম্মান বা পুরস্কারটা অনেক বেশি।অাবার অামরা দেখি, চাকুরীর ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল চ্যানেস্জেস এর একটা কোটা অাছে ; মানে একটা বাড়তী সুযোগ অাছে । কেননা, সে শারীরিকভাবে কিছুটি ডিজঅ্যাবল অাছে এ কারণে। সুতরাং এই জন্মগত ত্রুটির জন্য অবশ্যই অাল্লাপাক কেয়মাতের ময়দানে তাকে বাড়তী সুযোগ দান করবেন এবং এই শারীরিক কষ্ট দেয়ার কারণে তাকে মাফ করে দেবেন; যদি সে অাল্লাহর উপর ভরসা করেই এই কষ্ট স্বীকার করে নেয় বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
কোন বাচ্চাকে টিকা দিলে সে শারীরিকভাবে কষ্ট পায় এমনকি শরীরে জ্বর অাসতে পারে। বাচ্চাটি কিন্তু মনে করছে যে, তাকে অযাথাই কষ্ট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ভালোর জন্যই যে তাকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে সে সেটা বুঝতে পারছেনা। বান্দার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এরকম। কোন কষ্টের মাঝে কোন ভালো লুকিয়ে অাছে সেটা অামরা জানিনা। সুতরাং এটাকে অাল্লাহর পরীক্ষা হিসাবেই ধরতে হবে এবং কোনভাবেই তার প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া যাবেনা; বিপরীত হলেই অামরা পরীক্ষায় ফেল করবো।
পরিশিষ্টঃ
অাল্লাহপাক অসীম দয়ালু এই জন্য যে, পৃথিবীতে এমন কোন রোগ নেই; যার প্রতিষেধক অাল্লাহপাক দেননি। অনেক রোগের চিকিৎসা যদিও এখন অাবিষ্কার হয়নি কিন্তু সেগুলো নিরাময়যোগ্য । এগুলো অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে তথা গবেষণা করতে বলা হয়েছে। মানুষের কিডনী, চোখ, লিভার ইত্যাদি মোবাইলের পার্সের মত রিপ্লেস করা সম্ভব। দেখা যায়, অনেক বিকলাঙ্গতার চিকিৎসার জ্ঞানও অাল্লাহপাক মানুষকে দিয়েছেন।
অাল্লাহপাক অামাদের সঠিক বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করুণ। অামিন।




সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×