ক্যাবাংসাঙ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী ছাত্রদের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পোসানিকা ভবন তথা প্রশাসন ভবনে।প্রায় সপ্তাহ দুয়েকের অক্লান্ত পরিশ্রমে চমৎকার বলতে গেলে জাকজমকপূর্ণ আয়োজন।যারা আয়োজন করেছেন অনুষ্ঠানটির তারা সবাই মালয়েশিয়াতে থাকলেও হৃদয়ে বাংলাদেশকেই ধারণ করেন।ধর্ম বর্ণ রাজনৈতিক মতাদর্শকে ছাপিয়ে তাই দেশটাই বড় হয়ে ওঠেছে।এটাই বোধ হয় দেশ প্রেম।আর সেটার বহিপ্রকাশ ঘটলো এই বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে ।বাংলা বছরের ১ম দিনটিতে এখানে সরকারী ছুটি নেই।তাই বেছে নেয়া হয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবার।তারিখটি ছিল ২০ এপ্রিল।
চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছিল অনুষ্ঠানের একদিন আগে।এক পর্যােয়ে শুরু হলো রিমঝিম বৃষ্টি।এর মধ্যেও ভেন্যু সুসজ্জিত করার কাজ চলতে থাকে পুরু উদ্যেমে ।বৃষ্টি মাথায় অনুষ্ঠানের সকল কলাকুশলীর অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ।যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য সহ বিভিন্ন ধরণের দেশী খেলা ,কবিতা ,গান মজার মজার গেম শো আর সুন্দর উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে এক কথায় এই মালোয়েশিয়ায় মিনি বাংলাদেশ রচনার প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষন ছিল বেশ কয়েকটি স্টল।যেখানে বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদুদেশী খাবারের ব্যবস্থ করা হয়।স্টল গুলোর ডেকোরেশন ছিল চমৎকার।
অনুস্ঠানের অন্যতম আকর্ষন ছিল ছোট বাচ্চাদের নিয়ে করা অনুষ্ঠান গুলো।তার একটি ছিল যেমন খুশি তেমন আঁকো।প্রবাসী শিশুরা বেশ আনন্দ নিয়ে তাতে অংশ নিয়ে মিনি বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম করিগর হয়ে ওঠে।
উপরে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার কয়েকটি ছবি।
সবচেয়ে জনপ্রিয় স্টলের পুরষ্কার পাওয়া স্টল কলিজার টুউরা স্টল।
স্টলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল আমাদেরই পান্তা ইলিশের স্টল।যে স্টলে মাত্র ৫ রিঙ্গিটে এক প্লেট পান্তা ইলিশ প্যাকেজ।প্যাকেজ পান্তা আর ইলিশ ভাজার সঙ্গে ছিল বিভিন্ন ধরণের ভর্তা সহ লোভনীয় সব আইটেম। ষ্টলটি সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়। এমনকি এক অনুস্ঠানে পান্তা ইলিশের স্টল আমন্ত্রিত হয়েছে।নীচে এর বেশ কয়েকটি ছবি ।
অনুষ্ঠানের অন্যতম ইভেন্ট বিভিন্ন মজাদার খেলাধূলা।যা অনুষ্ঠানে নতুনমাত্রা এনে দিয়েছে। ছিল গেম শো আরও ছিল রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি।রবীন্দ্র সংগীত,ব্যান্ড মিউজিক রম্য নাটক ইত্যাদি।
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গান হিসেবে প্রচলিত কবি গুরুর এসো হে বৈশাখ
গানের মধ্যে দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু।
আর সবকিছু ছাপিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উপস্থিতি হয়ে ওঠে মূখ্য। প্রবাসে বাংলাভাষা আর বাংলার সন্তানদের মিলনমেলার মাধ্যমে ইউকেএম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুশানিকা ভবনে মিনি বাংলাদেশ সৃজিত হয়েছিল এই দিনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।
বি: দ্র: প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে এই পোস্ট দেয়া হয়েছে। তাই ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৯