কেউ জানে না মম প্রাণ কেন যে আজ করছে আনচান
কেন এমনই নির্জ্ঞেয় হয়ে আজ করছে যে কলতান
সেটি লুকোবেনা আর আজ জানে জানুক সকলপ্রাণ।
এ হৃদয় ভালবাসে হৃদিতাকে ভালবাসতে
তাই ছুঁয়ে যাবে সব যতটুকু সুখ লুকোনো থাকে তাতে;
ঢের বড় হযেছে আমার এই দেহ মন তা্ই রাখবেনা আর গোপন
হৃদিতাকে বাসবে ভালো সে যে মম প্রাণের শিহরণ।
যৌক্তিক পৃথিবী কোনদিন হলে সকল ব্যবধান ভুলে
ভাসবে দুজনে জানি যেমতি হংসমিথুন ভাসে জলে।
জীবন একটাই এই ধরণীর বুকে,
জেনেছে এ প্রাণ তা এই মর্তলোকে।
তাই পাছে লোকে কি বলে পরোয়া করে না আর
এ হিয়া যেতে চায় নৃত্যপুরে —আর ভালবাসতে আর নাচতে আবার;
সেই নৃত্যপুরে বাঁধবে তারে বাহুডোরে এবার ।
হৃদিতার বসন্ত পিদিম অনলে যতটুকু আলোকিত এই মন
তার চেয়ে বেশি কিছু আলোর বিচ্ছুরণ চায়না যে এ অবোধ ক্ষণ।
দিশেহারা এই প্রাণে তাই —শুধু হৃদিতাকে কাছে টানে।
তার ওষ্ঠসুধা শরাবুন তহুরার মতন,
তা লেহনে ব্যাকুল আজ এই তনু-মন।
তাই মম প্রান তাকে ভালবেসে যেতে চায় কবিতায়
জীবন একটাই এই মর্তলোকে চিরসত্য মানে তায়
পাছে লোকে কি বলে ভেবে হবে না আর সে পিছু পায়।
জানি যেদিন পৃথিবীর সব যথার্থ হবে —দুটি হৃদয় ভাসবে হেসে খেলে;
যেমতি হংসমিথুন খেলে জলে।
তাই এবার নৃত্যপুরে দুটি প্রাণ হবে মত্ত হয়ে প্রণয়াসিক্ত
অতঃপর তাতে হয়ে যাবে শুধু দুজনের মিলন নৃত্য।
কেউ জানে না মম প্রাণ কেন যে আজ করছে আনচান
কেন এমনই নির্জ্ঞেয় হয়ে আজ করছে যে কলতান
সেটি লুকোবেনা আর আজ —জানে জানুক সকলপ্রাণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩৯